০৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এআই ব্যবহারের বিধি-বিধান করল জাতিসংঘ

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণসম্পর্কিত প্রথম বৈশ্বিক বিধি-বিধান করেছে জাতিসংঘ। ব্যক্তিগত তথ্য ও মানবাধিকার সুরক্ষাকে উৎসাহিত করা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় এসব বিধি-বিধান সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার সংস্থার সাধারণ পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ১২৩টি দেশের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো ভোটাভুটি ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, এসব বিধি-বিধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথ তৈরি করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে।’

এআই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে, জালিয়াতি বাড়াতে পারে বা বিপুলসংখ্যক মানুষের চাকরি কেড়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্বে চলছে নানা জল্পনা। তাই এআইয়ের ঝুঁকি ঠেকাতে বিশ্বের দেশে দেশে বিধি-বিধান করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের এটাই প্রথম পদক্ষেপ।

গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ এক ডজনেরও বেশি দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সে বিষয়ে প্রথম বিস্তারিত আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রকাশ করেছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপ এগিয়ে আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা চলতি মাসে প্রযুক্তিটি তদারকি করার জন্য একটি অস্থায়ী চুক্তি গ্রহণ করেছেন। তারা বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিধি-বিধান চূড়ান্ত করার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনপ্রণেতাদের চাপ দিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস খুব একটা এগোতে পারেনি। গত অক্টোবরে একটি নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেছে হোয়াইট হাউস। এতে জাতীয় সুরক্ষা জোরদার করার সময় ভোক্তা, শ্রমিক ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি হ্রাস করা যায়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

এআই ব্যবহারের বিধি-বিধান করল জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণসম্পর্কিত প্রথম বৈশ্বিক বিধি-বিধান করেছে জাতিসংঘ। ব্যক্তিগত তথ্য ও মানবাধিকার সুরক্ষাকে উৎসাহিত করা ও ঝুঁকি মোকাবিলায় এসব বিধি-বিধান সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার সংস্থার সাধারণ পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ১২৩টি দেশের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো ভোটাভুটি ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, এসব বিধি-বিধান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি পথ তৈরি করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে।’

এআই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে, জালিয়াতি বাড়াতে পারে বা বিপুলসংখ্যক মানুষের চাকরি কেড়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্বে চলছে নানা জল্পনা। তাই এআইয়ের ঝুঁকি ঠেকাতে বিশ্বের দেশে দেশে বিধি-বিধান করা হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের এটাই প্রথম পদক্ষেপ।

গত নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ এক ডজনেরও বেশি দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায়, সে বিষয়ে প্রথম বিস্তারিত আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রকাশ করেছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপ এগিয়ে আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনপ্রণেতারা চলতি মাসে প্রযুক্তিটি তদারকি করার জন্য একটি অস্থায়ী চুক্তি গ্রহণ করেছেন। তারা বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিধি-বিধান চূড়ান্ত করার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনপ্রণেতাদের চাপ দিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস খুব একটা এগোতে পারেনি। গত অক্টোবরে একটি নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেছে হোয়াইট হাউস। এতে জাতীয় সুরক্ষা জোরদার করার সময় ভোক্তা, শ্রমিক ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুঁকি হ্রাস করা যায়।