১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণহত্যা দিবস ঘিরে শিল্পকলার আর্টক্যাম্প

 

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের সহায়তায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য গণহত্যা। গণহত্যার জ¦লন্ত সাক্ষী হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে চার সহস্রাধিক বধ্যভূমি। ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নানাভাবে দাবি উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তারই সমর্থনে এই দিবসটিকে শিল্পের আলোয় সাজিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরতে বহুবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে সেমিনার, সংলাপ, আর্ট ক্যাম্প, চারুকলা, গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার প্রযোজনার পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

গতকাল দেশের বিশিষ্ট চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭১ এ রাজধানীর যেসব স্থানে বর্বর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে তার মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মিরপুর জল্লাদখানা, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, রোকেয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সকাল ১১ টা থেকে একযোগে রাজধানীর এই ৫ টি স্থানে আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার উপর ছবি আঁকেন দেশের বরেণ্য ও বিশিষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল চারুশিল্পীরা। এতে অংশ নেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী বীরেন সোম, শিল্পী মলয় বালা, শিল্পী নিসার হোসেন, শিল্পী রোকেয়া সুলতানা, শিল্পী সামিনা নাফিজ, শিল্পী আব্দুল মান্নান, শিল্পী ফরিদা জামান, শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুসসহ ৫০ জন চারুশিল্পী। ছবিগুলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংরক্ষন সাপেক্ষে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘২৫ শে মার্চ ভয়াল রাতে নিরীহ বাঙালির উপর পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ ও গণহত্যার ভয়াবহতা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। সংস্কৃতির সব ধরনের মাধ্যমে সেই ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা উপলব্ধি করতে পারে। আমরা বাঙালি আমরা সাহসী জাতি। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। সেই গৌরব আমরা অক্ষুণ্ন রাখবো’ একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এই আর্টক্যাম্পে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন চারুকলা বিভাগের সৈয়দা মাহবুবা করিম, রেজাউল হাশেম, মোস্তাক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুজন এবং তৈমুর হান্নান।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

গণহত্যা দিবস ঘিরে শিল্পকলার আর্টক্যাম্প

আপডেট সময় : ০৭:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

 

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসরদের সহায়তায় ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য গণহত্যা। গণহত্যার জ¦লন্ত সাক্ষী হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে চার সহস্রাধিক বধ্যভূমি। ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নানাভাবে দাবি উপস্থাপন করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তারই সমর্থনে এই দিবসটিকে শিল্পের আলোয় সাজিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তুলে ধরতে বহুবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে সেমিনার, সংলাপ, আর্ট ক্যাম্প, চারুকলা, গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার প্রযোজনার পোস্টার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

গতকাল দেশের বিশিষ্ট চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭১ এ রাজধানীর যেসব স্থানে বর্বর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে তার মধ্যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, মিরপুর জল্লাদখানা, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, রোকেয়া হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সকাল ১১ টা থেকে একযোগে রাজধানীর এই ৫ টি স্থানে আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার উপর ছবি আঁকেন দেশের বরেণ্য ও বিশিষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল চারুশিল্পীরা। এতে অংশ নেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী বীরেন সোম, শিল্পী মলয় বালা, শিল্পী নিসার হোসেন, শিল্পী রোকেয়া সুলতানা, শিল্পী সামিনা নাফিজ, শিল্পী আব্দুল মান্নান, শিল্পী ফরিদা জামান, শিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুসসহ ৫০ জন চারুশিল্পী। ছবিগুলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সংরক্ষন সাপেক্ষে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ‘২৫ শে মার্চ ভয়াল রাতে নিরীহ বাঙালির উপর পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ ও গণহত্যার ভয়াবহতা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। সংস্কৃতির সব ধরনের মাধ্যমে সেই ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা উপলব্ধি করতে পারে। আমরা বাঙালি আমরা সাহসী জাতি। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। সেই গৌরব আমরা অক্ষুণ্ন রাখবো’ একাডেমির চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এই আর্টক্যাম্পে সমন্বয়কারী হিসেবে ছিলেন চারুকলা বিভাগের সৈয়দা মাহবুবা করিম, রেজাউল হাশেম, মোস্তাক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুজন এবং তৈমুর হান্নান।