০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদে বেতন-বোনাস নিয়ে গোলযোগের আশঙ্কা

🔴উৎপাদন ব্যাহতসহ নানামুখী সংকটে মালিকরা

🔴বেশ কিছু কারখানা শনাক্ত, সতর্ক পুলিশ

 

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের বেশকিছু কারখানায় গোলযোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে এরকম বেশকিছু কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তকৃত কারখানাগুলোতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা। বিকেএমইএ-বিজেএমইএ নেতারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিসহ সার্বিক দিক থেকেই কারখানার মালিকরা নানামুখী সংকটে রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহতসহ নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দিতে না পারায় ঈদের আগে টাকা পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে সংকট আরো ঘনীভূত হতে পারে। তবে ঈদের আগে টাকা পেলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিকেএমইএ-বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কার্যালয়ে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার তৈরি পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ডিআইএফইসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান বলেছেন, ঈদের আগে কোনো গার্মেন্টের মালিক বেতন-ভাতা দিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প কোনো উপায় বের করার জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সম্ভাব্য গোলযোগ হতে পারে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। সেই গোয়েন্দা তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে এ রকম বেশকিছু কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মালিক, পুলিশ প্রশাসন  কার কী করণীয় সেটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের আগে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই যেন শ্রমিক ছাঁটাই বা লে-অফ না করা হয়Ñ এ ব্যাপারে মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

 

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানায় কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। কোনো কোনো কারখানায় সমস্যা হতে পারে এগুলো শনাক্ত করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে। যদি কোনো কারখানায় সমস্যা হয় তাহলে কার কী করণীয় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

 

অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে ঈদের বোনাস যেন এপ্রিলের শুরুতে দেওয়া হয়। ঈদের ছুটির আগেই যেন মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়। মালিক ও শ্রমিকদের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ঈদের ছুটি যেন পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় সে অনুরোধও করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে- এ বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

ঈদের আগে অনেক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। এটির সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান মাহাবুবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মালিকপক্ষ হয়তো অসামর্থ্য হওয়ার কারণে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসে। এসব ক্ষেত্রে বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ পুলিশকে সহায়তা করে। অনেক ক্ষেত্রে এক কারখানার যন্ত্রপাতি অন্য কারখানা মালিক কিনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়েছে। এমনও নজির রয়েছে। ঈদের ছুটির সময় ফাঁকা কলকারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিশেষ টহল ডিউটিতে থাকবে। ঈদের ৭ দিন আগে থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম ও হটলাইন সচল থাকবে (০১৩২০-১৭০০৯৮)।

 

এসব বিষয়ে বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বেশি সংকট রয়েছে। নানা রকমের সংকটে এখনো কারখানাগুলো আবর্তিত। ব্যাংকের সঙ্গে নানা রকম সংকট, আন্তর্জাতিক মার্কেটে অর্ডার কম, রপ্তানিও কম, এমন নানা সংকট রয়েছে। এদিকে আমাদের সবকিছুরই মূল্য বেড়েছে। গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, গ্যাস ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত মানেই নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে না পারলে টাকা না পেলে বেতন-বোনাস দিতে অনেক কারখানা মালিকের সমস্যা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ইনসেনটিভের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এখনো ঈদের বাকি রয়েছে অনেক সময়। এই টাকা যদি ঈদের আগে পায় তবে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া সহজ হবে।

 

বিজেএমইএ’র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হীল রাকিব বলেন, আগের চেয়ে এবার সংকট অনেক বেশি। নানামুখী সংকটে রয়েছে কারখানা মালিকরা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য আরো কঠিন একটা বছর। আরো অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। অনেকেই হয়তো এটি দেখতে পাচ্ছেন না, বর্তমানে ভালো কারখানার মালিকও নানামুখী ভোগান্তিতে পড়ছেন। কারখানার মালিক কোনোভাবেই বেতন-বোনাস বাকি রাখতে চান না। পরিস্থিতির কারণে অনেকেই পিছিয়ে পড়ছেন। নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দিয়েও ঠিকমতো টাকা হাতে পাচ্ছেন না। তবে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় মালিকদের আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করলে এ সমস্যা হবে না বলেও জানান বিজেএমইএ’র শীর্ষ এই নেতা।

 

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ঈদে বেতন-বোনাস নিয়ে গোলযোগের আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

🔴উৎপাদন ব্যাহতসহ নানামুখী সংকটে মালিকরা

🔴বেশ কিছু কারখানা শনাক্ত, সতর্ক পুলিশ

 

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের বেশকিছু কারখানায় গোলযোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে এরকম বেশকিছু কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তকৃত কারখানাগুলোতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা। বিকেএমইএ-বিজেএমইএ নেতারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিসহ সার্বিক দিক থেকেই কারখানার মালিকরা নানামুখী সংকটে রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহতসহ নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দিতে না পারায় ঈদের আগে টাকা পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এক্ষেত্রে সংকট আরো ঘনীভূত হতে পারে। তবে ঈদের আগে টাকা পেলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিকেএমইএ-বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ কার্যালয়ে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার তৈরি পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ডিআইএফইসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান বলেছেন, ঈদের আগে কোনো গার্মেন্টের মালিক বেতন-ভাতা দিতে ব্যর্থ হলে বিকল্প কোনো উপায় বের করার জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সম্ভাব্য গোলযোগ হতে পারে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। সেই গোয়েন্দা তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে এ রকম বেশকিছু কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মালিক, পুলিশ প্রশাসন  কার কী করণীয় সেটাও নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদের আগে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই যেন শ্রমিক ছাঁটাই বা লে-অফ না করা হয়Ñ এ ব্যাপারে মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

 

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান বলেন, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানায় কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যেন না ঘটে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। কোনো কোনো কারখানায় সমস্যা হতে পারে এগুলো শনাক্ত করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে। যদি কোনো কারখানায় সমস্যা হয় তাহলে কার কী করণীয় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

 

অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে ঈদের বোনাস যেন এপ্রিলের শুরুতে দেওয়া হয়। ঈদের ছুটির আগেই যেন মার্চ মাসের বেতন দেওয়া হয়। মালিক ও শ্রমিকদের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ঈদের ছুটি যেন পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় সে অনুরোধও করা হয়েছে। ঈদুল ফিতরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতাকে কেন্দ্র করে কোনো অপশক্তি যেন আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে- এ বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

ঈদের আগে অনেক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন। এটির সমাধানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ প্রধান মাহাবুবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মালিকপক্ষ হয়তো অসামর্থ্য হওয়ার কারণে শ্রমিকরা সড়কে নেমে আসে। এসব ক্ষেত্রে বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ পুলিশকে সহায়তা করে। অনেক ক্ষেত্রে এক কারখানার যন্ত্রপাতি অন্য কারখানা মালিক কিনে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিয়েছে। এমনও নজির রয়েছে। ঈদের ছুটির সময় ফাঁকা কলকারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের বিশেষ টহল ডিউটিতে থাকবে। ঈদের ৭ দিন আগে থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম ও হটলাইন সচল থাকবে (০১৩২০-১৭০০৯৮)।

 

এসব বিষয়ে বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক বেশি সংকট রয়েছে। নানা রকমের সংকটে এখনো কারখানাগুলো আবর্তিত। ব্যাংকের সঙ্গে নানা রকম সংকট, আন্তর্জাতিক মার্কেটে অর্ডার কম, রপ্তানিও কম, এমন নানা সংকট রয়েছে। এদিকে আমাদের সবকিছুরই মূল্য বেড়েছে। গ্যাসের মূল্য বেড়েছে, গ্যাস ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত মানেই নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি দিতে না পারলে টাকা না পেলে বেতন-বোনাস দিতে অনেক কারখানা মালিকের সমস্যা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ইনসেনটিভের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এখনো ঈদের বাকি রয়েছে অনেক সময়। এই টাকা যদি ঈদের আগে পায় তবে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া সহজ হবে।

 

বিজেএমইএ’র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হীল রাকিব বলেন, আগের চেয়ে এবার সংকট অনেক বেশি। নানামুখী সংকটে রয়েছে কারখানা মালিকরা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সাল আমাদের জন্য আরো কঠিন একটা বছর। আরো অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের। অনেকেই হয়তো এটি দেখতে পাচ্ছেন না, বর্তমানে ভালো কারখানার মালিকও নানামুখী ভোগান্তিতে পড়ছেন। কারখানার মালিক কোনোভাবেই বেতন-বোনাস বাকি রাখতে চান না। পরিস্থিতির কারণে অনেকেই পিছিয়ে পড়ছেন। নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দিয়েও ঠিকমতো টাকা হাতে পাচ্ছেন না। তবে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় মালিকদের আরো আন্তরিক হয়ে কাজ করলে এ সমস্যা হবে না বলেও জানান বিজেএমইএ’র শীর্ষ এই নেতা।