১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনোনয়ন জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল

 

 

⏺উপজেলা নির্বাচন
⏺সব প্রার্থীকেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে
⏺প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বছরের প্রথম ধাপে যে উপজেলাগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এর সবগুলোর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র এই সময়ের মধ্যে জমা দিতে ইসি নির্দেশনা দিয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এরই মধ্যে সব উপজেলায় কার্যনির্ধারণ সূচক নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

 

এবারই প্রথমবারের মতো আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।

 

সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। এ সময় তিনি বলেন, কারিগরি ও পদ্ধতিগত সুবিধার্থে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের অপেক্ষা না করে পূর্বেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

 

উপজেলা নির্বাচন বিধিমালায় এমন সংশোধন আনার পর প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রয়োজন হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় এ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারবেন প্রার্থীরা।

 

ইসি সূত্র জানায়, ইসির ওয়েবসাইট  http://ecs.gov.bd/  -এ গিয়ে প্রার্থীদের প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে ইউজার নেইম, পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে। এরপর এনআইডি বায়োমেট্রিক ফিচারে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর চেহারা শনাক্ত করা হবে। এরপর লগইন করে মনোনয়নপত্র মিলবে। এই মনোনয়নপত্র পাওয়ার পর প্রার্থী পোর্টালে পর্যায়ক্রমে মনোনয়ন, ব্যক্তিগত তথ্যাদি, হলফনামা ও অন্যান্য কাগজপত্র স্ক্যান করে যুক্ত করবেন। এরপর অনলাইন পেমেন্ট করে জামানতের অর্থ জমা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। অনলাইনে পাওয়া প্রতিটি মনোনয়নপত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের স্থান, তারিখ, সময় এবং প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ ও বাছাইয়ের নোটিস অনলাইনে প্রার্থীকে পাঠাবেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনে অনলাইনে জমা দেওয়া কাগজপত্রের মূল কপি বাছাইয়ের দিন দাখিলের জন্য বলতে পারেন। তবে, ইসির শর্তানুযায়ী, একই এলাকার জন্য এক ব্যক্তি একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন না।

 

ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এক নোটিসে দক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সাথে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান নির্বাচন প্রক্রিয়ার সফল ও সার্থক প্রতিফলন ঘটে। ফলে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এ লক্ষ্যে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব প্রদান করাই সমীচীন বলে নির্বাচন কমিশন মনে করে। নির্বাচন কমিশন আশা করে যে, যেহেতু দেশের উপজেলাগুলো ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সীমিত সেহেতু সুষ্ঠু সুন্দর ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতার প্রতি লক্ষ্য রেখে এরূপ দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের মধ্য হতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে।

 

ইসির সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, আগামী ৮, ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচন করতে পারবেন।

 

এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়। এদিকে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর তৎকালীন কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। পরে জেলা পরিষদের ভোটে এ সুযোগ থাকলেও প্রার্থীদের অনাগ্রহে তাতে সাড়া পায়নি ইসি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বর্তমান কমিশন আচরণবিধি প্রতিপালনের সুবিধার কথাও বিবেচনায় নিয়েছে, তাই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা উন্মুক্ত রেখেছে ইসি। কিন্তু ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তেমন সাড়া মেলেনি। এবার ইসির পক্ষ থেকে বিধি সংশোধন করে ভোটে সব পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলো।

 

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি ও চতুর্থ ধাপে ৫২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

 

 

⏺উপজেলা নির্বাচন
⏺সব প্রার্থীকেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে
⏺প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে

উপজেলা নির্বাচন ঘিরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বছরের প্রথম ধাপে যে উপজেলাগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এর সবগুলোর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র এই সময়ের মধ্যে জমা দিতে ইসি নির্দেশনা দিয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাচন ঘিরে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এরই মধ্যে সব উপজেলায় কার্যনির্ধারণ সূচক নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

 

এবারই প্রথমবারের মতো আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে।

 

সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। এ সময় তিনি বলেন, কারিগরি ও পদ্ধতিগত সুবিধার্থে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের অপেক্ষা না করে পূর্বেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

 

উপজেলা নির্বাচন বিধিমালায় এমন সংশোধন আনার পর প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রয়োজন হলে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় এ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারবেন প্রার্থীরা।

 

ইসি সূত্র জানায়, ইসির ওয়েবসাইট  http://ecs.gov.bd/  -এ গিয়ে প্রার্থীদের প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে ইউজার নেইম, পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে। এরপর এনআইডি বায়োমেট্রিক ফিচারে প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর চেহারা শনাক্ত করা হবে। এরপর লগইন করে মনোনয়নপত্র মিলবে। এই মনোনয়নপত্র পাওয়ার পর প্রার্থী পোর্টালে পর্যায়ক্রমে মনোনয়ন, ব্যক্তিগত তথ্যাদি, হলফনামা ও অন্যান্য কাগজপত্র স্ক্যান করে যুক্ত করবেন। এরপর অনলাইন পেমেন্ট করে জামানতের অর্থ জমা দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। অনলাইনে পাওয়া প্রতিটি মনোনয়নপত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের স্থান, তারিখ, সময় এবং প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ ও বাছাইয়ের নোটিস অনলাইনে প্রার্থীকে পাঠাবেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনে অনলাইনে জমা দেওয়া কাগজপত্রের মূল কপি বাছাইয়ের দিন দাখিলের জন্য বলতে পারেন। তবে, ইসির শর্তানুযায়ী, একই এলাকার জন্য এক ব্যক্তি একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন না।

 

ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এক নোটিসে দক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সাথে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান নির্বাচন প্রক্রিয়ার সফল ও সার্থক প্রতিফলন ঘটে। ফলে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এ লক্ষ্যে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাগণকে দায়িত্ব প্রদান করাই সমীচীন বলে নির্বাচন কমিশন মনে করে। নির্বাচন কমিশন আশা করে যে, যেহেতু দেশের উপজেলাগুলো ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সীমিত সেহেতু সুষ্ঠু সুন্দর ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনিক ক্ষমতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতার প্রতি লক্ষ্য রেখে এরূপ দায়িত্ববান কর্মকর্তাদের মধ্য হতে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করার জন্য গুরুত্ব দিতে হবে।

 

ইসির সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, আগামী ৮, ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচন করতে পারবেন।

 

এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়। এদিকে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমায় বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর তৎকালীন কমিশন অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। পরে জেলা পরিষদের ভোটে এ সুযোগ থাকলেও প্রার্থীদের অনাগ্রহে তাতে সাড়া পায়নি ইসি। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৩৯ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বর্তমান কমিশন আচরণবিধি প্রতিপালনের সুবিধার কথাও বিবেচনায় নিয়েছে, তাই অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমার বিষয়ে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা উন্মুক্ত রেখেছে ইসি। কিন্তু ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তেমন সাড়া মেলেনি। এবার ইসির পক্ষ থেকে বিধি সংশোধন করে ভোটে সব পদে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হলো।

 

ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি ও চতুর্থ ধাপে ৫২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।