১০:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৬৩ জেলা প্রশাসক

 

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৬৩ জেলা প্রশাসক। নির্বাচন কমিশন (ইসি)র উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এতথ্য জানা গেছে।

নোটিসে বলা হয়েছে, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বিধি ১৮ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এতদ্বারা উল্লিখিত বিধিমালার ১৭ বিধির অধীন রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপীল মীমাংসার জন্য নিম্নে বর্ণিত কর্মকর্তাগণকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করছে।’ নোটিসে দেখা যায়, দেশের ৬৩ জেলার জেলা প্রশাসককে এই পদের জন্য নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। মোট ১৬০টি উপজেলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।

এদিকে, ইসি সূত্র জানায়, দেশের উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। তারা বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো সহিংসতা ছাড়া একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কয়েকটি ধাপে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে, ফলে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতভাবে প্রয়োগ করবেন। বাইরে গিয়ে যেন তারা বলতে পারেন, আমার ভোট আমি দিয়েছি। এ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাটাই এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে যত ভোট দেশে হবে, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরই হবে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ইচ্ছেমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কথা আমরা সবাই বলেছি। তবে এ গুরুত্বপূর্ণ কাজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একা সম্ভব না। নির্বাচন সফল করতে সব বাহিনীকে এক ধারায় নিয়ে যাওয়াটাই এখন কমিশনের প্রধান কাজ। সমন্বয় ছাড়া কখনও এমন মহাযজ্ঞ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন ধাপে ধাপে হবে। তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে কমিশন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন এমন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ২০ এপ্রিলের পর শুরু হবে। এতে ১ম ধাপে ১৫২টি উপজেলার মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা অংশ নেবেন।

কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ সংক্রান্ত বিধিবিধানের উপর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এর আওতায় আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের তফসিলে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ইসির সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, আগামী ৮, ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচন করতে পারবেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৬৩ জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০২৪

 

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৬৩ জেলা প্রশাসক। নির্বাচন কমিশন (ইসি)র উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এতথ্য জানা গেছে।

নোটিসে বলা হয়েছে, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বিধি ১৮ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এতদ্বারা উল্লিখিত বিধিমালার ১৭ বিধির অধীন রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আপীল মীমাংসার জন্য নিম্নে বর্ণিত কর্মকর্তাগণকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ করছে।’ নোটিসে দেখা যায়, দেশের ৬৩ জেলার জেলা প্রশাসককে এই পদের জন্য নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। মোট ১৬০টি উপজেলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।

এদিকে, ইসি সূত্র জানায়, দেশের উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। তারা বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নিচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো সহিংসতা ছাড়া একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কয়েকটি ধাপে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে, ফলে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতভাবে প্রয়োগ করবেন। বাইরে গিয়ে যেন তারা বলতে পারেন, আমার ভোট আমি দিয়েছি। এ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাটাই এখন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে যত ভোট দেশে হবে, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দরই হবে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ইচ্ছেমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কথা আমরা সবাই বলেছি। তবে এ গুরুত্বপূর্ণ কাজ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একা সম্ভব না। নির্বাচন সফল করতে সব বাহিনীকে এক ধারায় নিয়ে যাওয়াটাই এখন কমিশনের প্রধান কাজ। সমন্বয় ছাড়া কখনও এমন মহাযজ্ঞ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন ধাপে ধাপে হবে। তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে কমিশন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন এমন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আগামী ২০ এপ্রিলের পর শুরু হবে। এতে ১ম ধাপে ১৫২টি উপজেলার মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা অংশ নেবেন।

কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ সব নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ সংক্রান্ত বিধিবিধানের উপর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এর আওতায় আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের তফসিলে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ইসির সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, আগামী ৮, ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও নির্বাচন করতে পারবেন।