০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে ওয়াসার সুপেয় পানির বুথ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত সুপেয় পানির এটিএম বুথ। তবে ঈদের আগের দিন ও পরের দিন সরকারি ছুটি থাকলেও এ দুদিন বুথ যথারীতি খোলা থাকবে।

ঢাকা ওয়াসার আজিমপুর এলাকায় অবস্থিত এটিএম বুথের কর্মকর্তা ওমর ফারুক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা যারা বুথ পরিচালনা করি তারা ঈদের নামাজ পড়ব তাই এদিন অফিস থেকে বুথ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে মাত্র একদিন হওয়ায় পানি যারা নিতে আসে তাদের কোনো অসুবিধা হবে না। আগের দিন এবং পরের দিন ইচ্ছেমতো পানি নিতে পারবে।

বর্তমানে প্রতি লিটার পানি কিনতে হচ্ছে ৮০ পয়সায়। এটিএম বুথের সার্বিক দায়িত্বে আছেন প্রকল্প পরিচালক রামেশ্বর দাস।

ঢাকা ওয়াসা সূত্র জানায়, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু- এই চার নদীর মাঝখানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। একসময় এই নদীগুলোর পানি সুপেয় পানি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও আগের সেই সোনালী অতীত এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে এই অঞ্চলের মানুষ সবসময় সুপেয় পানির সংকটে ভুগেছে। সেটা অতীতের ইতিহাস দেখলে জানা যায়, ১৮৭৪ সালে পানিশোধন কেন্দ্র স্থাপন করে তৎকালীন ঢাকার শাসকেরা। তারা তখন এই নদীগুলোর পানি শোধন করে খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করত। পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে কালের পরিক্রমায় ঢাকা ওয়াসা দায়িত্ব পায়। ২০১১ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসা নগরীতে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহের কাজ করছে। তবে, তারা শতভাগ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাই কখনো বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কথা বলে, কখনো এটিএম বুথ বসিয়ে সুপেয় পানি দেয়।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার ৩২১টি পানির এটিএম বুথ রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪ লাখ লিটার পানি বিক্রি করছে ঢাকা ওয়াসা।

ব্যাংকের এটিএম বুথের অনুকরণে বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপের সঙ্গে বছর দশেক আগে ঢাকা ওয়াসা পানির এটিএম বুথ স্থাপন করে। এটিএম বুথ থেকে গ্রাহককে পানি সংগ্রহ করতে হলে বুথ সংলগ্ন অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে একটি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। কার্ড সংগ্রহ করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, একটি ছবিসহ ৫০ টাকা জমা দিতে হয়। বুথ থেকেই কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হয়। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়।

এরপর ওই কার্ডটি এটিএম বুথে প্রবেশ করালে পানি আসে, তা দিয়ে প্রয়োজনীয় পাত্র ভরে নেওয়া যায়। কার্ড সরিয়ে নিলে ট্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। যতটুকু পরিমাণ পানি পড়ে ওই পরিমাণ অর্থ কার্ড থেকে কেটে রাখা হয়। কার্ডের টাকা শেষ হয়ে গেলে আবারও কার্ড রিচার্জ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ড্রিংকওয়েল ও ঢাকা ওয়াসা যৌথভাবে এটিএম স্থাপনসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে ওয়াসার সুপেয় পানির বুথ

আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বন্ধ থাকবে ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত সুপেয় পানির এটিএম বুথ। তবে ঈদের আগের দিন ও পরের দিন সরকারি ছুটি থাকলেও এ দুদিন বুথ যথারীতি খোলা থাকবে।

ঢাকা ওয়াসার আজিমপুর এলাকায় অবস্থিত এটিএম বুথের কর্মকর্তা ওমর ফারুক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা যারা বুথ পরিচালনা করি তারা ঈদের নামাজ পড়ব তাই এদিন অফিস থেকে বুথ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে মাত্র একদিন হওয়ায় পানি যারা নিতে আসে তাদের কোনো অসুবিধা হবে না। আগের দিন এবং পরের দিন ইচ্ছেমতো পানি নিতে পারবে।

বর্তমানে প্রতি লিটার পানি কিনতে হচ্ছে ৮০ পয়সায়। এটিএম বুথের সার্বিক দায়িত্বে আছেন প্রকল্প পরিচালক রামেশ্বর দাস।

ঢাকা ওয়াসা সূত্র জানায়, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু- এই চার নদীর মাঝখানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। একসময় এই নদীগুলোর পানি সুপেয় পানি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও আগের সেই সোনালী অতীত এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে এই অঞ্চলের মানুষ সবসময় সুপেয় পানির সংকটে ভুগেছে। সেটা অতীতের ইতিহাস দেখলে জানা যায়, ১৮৭৪ সালে পানিশোধন কেন্দ্র স্থাপন করে তৎকালীন ঢাকার শাসকেরা। তারা তখন এই নদীগুলোর পানি শোধন করে খাবার পানি হিসেবে ব্যবহার করত। পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে কালের পরিক্রমায় ঢাকা ওয়াসা দায়িত্ব পায়। ২০১১ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসা নগরীতে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা পানি সরবরাহের কাজ করছে। তবে, তারা শতভাগ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাই কখনো বৃষ্টির পানি ধরে রাখার কথা বলে, কখনো এটিএম বুথ বসিয়ে সুপেয় পানি দেয়।

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার ৩২১টি পানির এটিএম বুথ রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪ লাখ লিটার পানি বিক্রি করছে ঢাকা ওয়াসা।

ব্যাংকের এটিএম বুথের অনুকরণে বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপের সঙ্গে বছর দশেক আগে ঢাকা ওয়াসা পানির এটিএম বুথ স্থাপন করে। এটিএম বুথ থেকে গ্রাহককে পানি সংগ্রহ করতে হলে বুথ সংলগ্ন অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে একটি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। কার্ড সংগ্রহ করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, একটি ছবিসহ ৫০ টাকা জমা দিতে হয়। বুথ থেকেই কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হয়। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়।

এরপর ওই কার্ডটি এটিএম বুথে প্রবেশ করালে পানি আসে, তা দিয়ে প্রয়োজনীয় পাত্র ভরে নেওয়া যায়। কার্ড সরিয়ে নিলে ট্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। যতটুকু পরিমাণ পানি পড়ে ওই পরিমাণ অর্থ কার্ড থেকে কেটে রাখা হয়। কার্ডের টাকা শেষ হয়ে গেলে আবারও কার্ড রিচার্জ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ড্রিংকওয়েল ও ঢাকা ওয়াসা যৌথভাবে এটিএম স্থাপনসহ সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।