০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা ভোটে দলীয় শৃঙ্খলা রাখতে কঠোর আ.লীগ

➤এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ
➤ সংঘাত এড়াতে দলীয় শাস্তির সিদ্ধান্ত

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে স্বতস্ফূর্ত ও সংঘাতমুক্ত রাখতে কঠোর হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়াও সংঘাত এড়াতে কঠোর হওয়ার বার্তা দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামের। এ জন্য মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হন, সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে।

অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। সূত্র আরো বলছে, নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-এমপিদের বিষয়টি জানাতে শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনাটি জানাতে মন্ত্রী-এমপিদের নামে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশনার কথা সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমেও পুনরায় জানানো হচ্ছে।

দলের একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয়দের প্রার্থী করার বিষয়টি দলীয় প্রধানের নজরে এসেছে। এতে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হচ্ছে এবং নির্বাচনী সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ছে। দল ও সরকার শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। সে কারণে প্রথমে দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে বলা হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আমরা ধানমন্ডি অফিসে বসেছিলাম। তখন দলের সাধারণ সম্পাদক নেত্রীর নির্দেশটি আমাদের অবগত করেন এবং নেত্রীর নিদের্শ বাস্তবায়ন করতে দ্রুত তাগিদ দেন। আরেকটি সূত্র বলছে, সংঘাত এড়াতে শাস্তির বিষয়টিও বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এমপি-মন্ত্রীরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নানাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও এমপি-মন্ত্রীদের নগ্ন হস্তক্ষেপ প্রকাশ্যে আসায় বিব্রত আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে গত মঙ্গলবার নাটোরের সিংড়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। পাশাপাশি সোনাতলায় প্রার্থী হয়েছেন এমপির ভাই মিহাদুজ্জামান লিটন। এ নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রাতেই সাহাদারা মান্নান এমপি তার অনুসারীদের নিয়ে বৈঠক করে ছেলের পক্ষে কাজ করতে সবাইকে নির্দেশনা দেন।

দামুড়হুদায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু আবারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। একই পদে এমপির ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলামও প্রার্থী হয়েছেন। হাতিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে আশিক আলী ও সুবর্ণচরে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এমপি শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান এবং চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান খান। দলীয় প্রতীক না থাকায় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর অনুরোধে ছেলেকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে দাবি এমপি শাজাহান খানের। তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা থাকলে প্রার্থী হওয়া কোনো দোষের না। তবে আমার তরফ থেকে কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না, হবেও না। নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপের শ্যালক ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শরিফুল হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

উপজেলা ভোটে দলীয় শৃঙ্খলা রাখতে কঠোর আ.লীগ

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

➤এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ
➤ সংঘাত এড়াতে দলীয় শাস্তির সিদ্ধান্ত

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে স্বতস্ফূর্ত ও সংঘাতমুক্ত রাখতে কঠোর হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দলের কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়াও সংঘাত এড়াতে কঠোর হওয়ার বার্তা দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামের। এ জন্য মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারেন, সে জন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়নি। দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হন, সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে।

অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরের ন্যায় নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণও তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের প্রধানের নির্দেশনা পেয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক করেন। এতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরকে সারা দেশে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের স্বজন ও পরিবারের সদস্য নির্বাচন করছেন, সেই তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন। সূত্র আরো বলছে, নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-এমপিদের বিষয়টি জানাতে শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনাটি জানাতে মন্ত্রী-এমপিদের নামে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশনার কথা সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমেও পুনরায় জানানো হচ্ছে।

দলের একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয়দের প্রার্থী করার বিষয়টি দলীয় প্রধানের নজরে এসেছে। এতে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হচ্ছে এবং নির্বাচনী সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ছে। দল ও সরকার শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। সে কারণে প্রথমে দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে বলা হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আমরা ধানমন্ডি অফিসে বসেছিলাম। তখন দলের সাধারণ সম্পাদক নেত্রীর নির্দেশটি আমাদের অবগত করেন এবং নেত্রীর নিদের্শ বাস্তবায়ন করতে দ্রুত তাগিদ দেন। আরেকটি সূত্র বলছে, সংঘাত এড়াতে শাস্তির বিষয়টিও বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এমপি-মন্ত্রীরা যাতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকেও নানাভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও এমপি-মন্ত্রীদের নগ্ন হস্তক্ষেপ প্রকাশ্যে আসায় বিব্রত আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে গত মঙ্গলবার নাটোরের সিংড়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সজল সারিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। পাশাপাশি সোনাতলায় প্রার্থী হয়েছেন এমপির ভাই মিহাদুজ্জামান লিটন। এ নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রাতেই সাহাদারা মান্নান এমপি তার অনুসারীদের নিয়ে বৈঠক করে ছেলের পক্ষে কাজ করতে সবাইকে নির্দেশনা দেন।

দামুড়হুদায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগর টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু আবারও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। একই পদে এমপির ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলামও প্রার্থী হয়েছেন। হাতিয়ায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে আশিক আলী ও সুবর্ণচরে চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইসরাক শাবাব চৌধুরী প্রার্থী হয়েছেন।

মাদারীপুর সদর উপজেলায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন এমপি শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান এবং চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান খান। দলীয় প্রতীক না থাকায় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর অনুরোধে ছেলেকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে দাবি এমপি শাজাহান খানের। তিনি বলেন, জনপ্রিয়তা থাকলে প্রার্থী হওয়া কোনো দোষের না। তবে আমার তরফ থেকে কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না, হবেও না। নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপের শ্যালক ঘোড়াশাল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শরিফুল হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।