গাজীপুরের শ্রীপুরে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মোফাজ্জলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজমুল ইসলাম ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার ভোর রাতে র্যাব ১ ও ১৩ এর যৌথ অভিযানে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের মতিউর রহমানের বাড়িতে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত মোফজ্জল হোসেন (৩৫) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (কড়ইতলা) এলাকার সরাফত আলীর ছেলে। আর নিহত আব্দুল লতিফ একই এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ঈদের দাওয়াতের কথা বলে ফোন করে শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শিরিনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু মোফাজ্জল হোসেন। পরে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির বাইরে বের হলে মোফাজ্জল আব্দুল লতিফকে বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে।
একপর্যায়ে তার মাথায় আঘাত লাগলে সে মাটিতে পড়ে যায়। পরে লতিফকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আব্দুল লতিফের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল খালেক (৫৬) মোফজ্জল হোসেনকে প্রধান করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আসামী করে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১ বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে র্যাব জানতে পারে লতিফ হত্যার প্রধান মোফাজ্জল হোসেন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানাধীন টেংরিয়া এলাকায় অত্মগোপনে রয়েছে। এরপর র্যাব-১ ও ১৩ দিনাজপুরের আভিযানিক দল হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। র্যাব জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা মোফজ্জল হোসেন স্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়ে
























