❖ বিল পাসে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ইউক্রেন
❖ এই বিল পাসে বৈশ্বিক সংকট বাড়বে : রাশিয়া
রিপাবলিকান কট্টরপন্থিদের তীব্র আপত্তির পরেও ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে বহুল আলোচিত বিল পাস হয়েছে। এদিকে সামরিক সহায়তা দিতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অন্যদিকে দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বৈশ্বিক সংকট বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
গত শনিবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির পর এসব বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ৬০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের (৬ হাজার ৮৪ কোটি) সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি। বিপক্ষে ১১২ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য পাস হওয়া বিলে দেশটিকে ২৬ দশমিক ৪ ডলারের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে জো বাইডেন প্রশাসন।
এই বিল দুটি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। এ সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপের মধ্য ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনএ এখন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাসের ঘটনায় বাইডেনের বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। বিল দুটি বাস্তবায়নে এখন মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। শিগগিরই তা সিনেটে তোলা হবে। সেখানে বিল দুটি পাস করার জন্য সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। এর পরই বাইডেন বিলে সই করবেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে এক্সে লেখা এক বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, এ সহায়তা মানুষের জীবন বাঁচাবে এবং যুদ্ধের যৌক্তিক সমাপ্তি টানবে। আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ, উভয় দল ও ব্যক্তিগতভাবে স্পিকার মাইক জনসনের কাছে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কৃতজ্ঞ। এটি ইতিহাসকে সঠিক পথে রাখবে। এ বিল যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাবে, হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করবে এবং আমাদের উভয় দেশকে আরো শক্তিশালী হতে সহায়তা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ সমর্থন আমরা অবশ্যই আমাদের দুই দেশকে আরো শক্তিশালী করতে ও যুদ্ধের ন্যায়সংগত অবসানে কাজে লাগাব, যে যুদ্ধে পুতিন নিশ্চয়ই হারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের এ সহায়তা যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের উজ্জীবিত করবে। নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ‘মার্কিন নেতৃত্বের’ প্রশংসাও করেন তিনি।
অন্যদিকে এক টেলিগ্রাম বার্তায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার মানে হলো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সরাসরি অর্থায়ন করা। তাছাড়া তাইওয়ানকে সহায়তা দেওয়ার মানে হলো চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে ইসরায়েলকে সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়বে।

























