০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীপুরে টিকিট কেটে বড়শি দিয়ে পুকুরে মাছ শিকার 

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা উত্তর পাড়া এলাকায় অবস্থিত আমান উল্লাহ পুকুর। স্থানীয় লোকজনের কেউ এটিকে টেংরা বন্যা বাড়ি মহিলার পুকুর নামেও ডাকে। প্রতিবছরই এই পুকুরে  টিকিট কেটে মাছ শিকার করতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছ শিকারিরা। তাদের জন্য পুকুর  পারে বানানো থাকে মাচা।
সোমবার সকাল থেকে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। মাছ ধরতে রোববার  রাত থেকে পুকুর  পারে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন মাছ শিকারিরা। পুকুর পাড়ে তাঁবু টানিয়ে দিনব্যাপী বড়শি দিয়ে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়।উপজেলার  বিভিন্ন স্থান থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা এতে অংশ নেন।ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মৎস্য শিকারিরা জড়ো হয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা উত্তর পাড়া এলাকায় আমান উল্লাহ পুকুর পাড়ে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন।সোমবার  সকাল ছয়টা থেকে আমান উল্লাহ পুকুরের  তিন পাড়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন কয়েক শ মৎস্য শিকারি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলে মাছ শিকার।
এই মাছ ধরার উৎসবে বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালবাউশ, পাঙাশসহ দেশি প্রজাতির মাছ। টেংরা উত্তর পাড়া এলাকায় মাছ শিকারের  উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। আয়োজকেরা জানান, সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ মাছ ধরার উৎসব সন্ধ্যা  পর্যন্ত চলবে। সরেজমিনে দেখা যায়, আমান উল্লাহ পুকুরের  তিন পাড়ে বাঁশ ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ১২টি মাচা করা হয়েছে। প্রতিটি মাচায় সর্বনিম্ন দুইজন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন পর্যন্ত মাছ ধরতে বসেছেন। প্রতি মাচার ফি ১৫ হাজার টাকা করে। ১২টি মাচায় অন্তত ৪০  মৎস্য শিকারি অংশ নেন।আমান উল্লাহ পুকুরের তিনটি  পাড় ঘুরে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে পানি বেশি থাকায় মাছ তেমন ধরা পড়েনি। মাছেরা এতে মাঝখানে ছোটাছুটি করায় তীরের দিকে কম আসে। গরমে মাছ পুকুরের তীরে আসায় প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।
অন্তত পাঁচজন মৎস্য শিকারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, যে আশা নিয়ে তাঁরা মাছ শিকারে এসেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। কম মাছ ধরা পড়েছে। খরচ ওঠেনি। তবে আনন্দ হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি টেপিরবাড়ী গ্রামের  মৎস্য শিকারি সুমন  বলেন, ‘মাঝারি ও ছোট আকৃতির মাছের সংখ্যা বেশি। কেবল একজন আট কেজি ওজনের ব্রিগেড পেয়েছেন বলে শুনেছি।পুকুরের মালিক জুবায়ের বলেন, নৈসর্গিক ও মনোলোভা পরিবেশে মাছ শিকারের আনন্দ পেতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনি হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিলেন নুরুল হক নুর

শ্রীপুরে টিকিট কেটে বড়শি দিয়ে পুকুরে মাছ শিকার 

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা উত্তর পাড়া এলাকায় অবস্থিত আমান উল্লাহ পুকুর। স্থানীয় লোকজনের কেউ এটিকে টেংরা বন্যা বাড়ি মহিলার পুকুর নামেও ডাকে। প্রতিবছরই এই পুকুরে  টিকিট কেটে মাছ শিকার করতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছ শিকারিরা। তাদের জন্য পুকুর  পারে বানানো থাকে মাচা।
সোমবার সকাল থেকে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। মাছ ধরতে রোববার  রাত থেকে পুকুর  পারে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়ে রেখেছিলেন মাছ শিকারিরা। পুকুর পাড়ে তাঁবু টানিয়ে দিনব্যাপী বড়শি দিয়ে মাছ ধরার আয়োজন করা হয়।উপজেলার  বিভিন্ন স্থান থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা এতে অংশ নেন।ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মৎস্য শিকারিরা জড়ো হয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেংরা উত্তর পাড়া এলাকায় আমান উল্লাহ পুকুর পাড়ে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন।সোমবার  সকাল ছয়টা থেকে আমান উল্লাহ পুকুরের  তিন পাড়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন কয়েক শ মৎস্য শিকারি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলে মাছ শিকার।
এই মাছ ধরার উৎসবে বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, তেলাপিয়া, কালবাউশ, পাঙাশসহ দেশি প্রজাতির মাছ। টেংরা উত্তর পাড়া এলাকায় মাছ শিকারের  উৎসবকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। আয়োজকেরা জানান, সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ মাছ ধরার উৎসব সন্ধ্যা  পর্যন্ত চলবে। সরেজমিনে দেখা যায়, আমান উল্লাহ পুকুরের  তিন পাড়ে বাঁশ ও কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ১২টি মাচা করা হয়েছে। প্রতিটি মাচায় সর্বনিম্ন দুইজন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন পর্যন্ত মাছ ধরতে বসেছেন। প্রতি মাচার ফি ১৫ হাজার টাকা করে। ১২টি মাচায় অন্তত ৪০  মৎস্য শিকারি অংশ নেন।আমান উল্লাহ পুকুরের তিনটি  পাড় ঘুরে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে পানি বেশি থাকায় মাছ তেমন ধরা পড়েনি। মাছেরা এতে মাঝখানে ছোটাছুটি করায় তীরের দিকে কম আসে। গরমে মাছ পুকুরের তীরে আসায় প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।
অন্তত পাঁচজন মৎস্য শিকারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, যে আশা নিয়ে তাঁরা মাছ শিকারে এসেছিলেন, তা পূরণ হয়নি। কম মাছ ধরা পড়েছে। খরচ ওঠেনি। তবে আনন্দ হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি টেপিরবাড়ী গ্রামের  মৎস্য শিকারি সুমন  বলেন, ‘মাঝারি ও ছোট আকৃতির মাছের সংখ্যা বেশি। কেবল একজন আট কেজি ওজনের ব্রিগেড পেয়েছেন বলে শুনেছি।পুকুরের মালিক জুবায়ের বলেন, নৈসর্গিক ও মনোলোভা পরিবেশে মাছ শিকারের আনন্দ পেতে এ আয়োজন করা হয়েছে।