০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইবিতে শিক্ষকবিহীন হলে পরীক্ষা দিলেন গুচ্ছের পরীক্ষার্থীরা

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার এ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষকবিহীন কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

 

 

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী বিজ্ঞান ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়। শিক্ষক না থাকায় কয়েকজন কর্মকর্তা উক্ত কক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন ছিলো না কোনো শিক্ষক। উক্ত রুমে পরীক্ষা চলাকালীন ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারগণ।

 

 

 

প্রধান পরিদর্শক মো: তহিদুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। তাই ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

 

এ বিষয়ে ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো: মনজুরুল হক বলেন, ওই পরীক্ষার হলে ইনভিজিলেটর ছিলো কি-না তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয় বরং কর্মকর্তারাও সবাই পরিদর্শক হিসেবে ছিলো। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবে। কারণ আমাদের যতোসংখ্যক শিক্ষক সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে এটা তো জোরজবরদস্তির কোন বিষয় নয় যে কোন শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

 

 

 

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ক (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৪৪২ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আগামী ০৩ মে বি (মানবিক) এবং ১০ মে সি ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত

ইবিতে শিক্ষকবিহীন হলে পরীক্ষা দিলেন গুচ্ছের পরীক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৪:৫২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার এ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কেন্দ্রে শিক্ষকবিহীন কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

 

 

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ড. ওয়াজেদ আলী বিজ্ঞান ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়। শিক্ষক না থাকায় কয়েকজন কর্মকর্তা উক্ত কক্ষে দায়িত্ব পালন করেন।

 

 

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড. ওয়াজেদ আলী ভবনের ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের জন্য দায়িত্বরত শিক্ষক ছিলেন মাত্র ২ জন। তবে ২০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা চলাকালীন ছিলো না কোনো শিক্ষক। উক্ত রুমে পরীক্ষা চলাকালীন ডিউটি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রারগণ।

 

 

 

প্রধান পরিদর্শক মো: তহিদুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১ নম্বর কক্ষে কোনো শিক্ষক নেই। তাই ২০১, ২০২ ও ২০৩ নম্বর কক্ষের প্রধান পরিদর্শক হিসেবে উপ-রেজিস্ট্রারদের সহায়তায় তিনি ২০১ নম্বর রুমে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

 

এ বিষয়ে ইউনিট সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো: মনজুরুল হক বলেন, ওই পরীক্ষার হলে ইনভিজিলেটর ছিলো কি-না তা ফাইল দেখে বলতে হবে। পরীক্ষায় যে শুধুমাত্র শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করেছেন তা নয় বরং কর্মকর্তারাও সবাই পরিদর্শক হিসেবে ছিলো। সুতরাং তাদেরও পরিদর্শকের সমমর্যাদা। প্রধান পরিদর্শক সব দেখভাল করবে। কারণ আমাদের যতোসংখ্যক শিক্ষক সবাইকে প্রত্যেক রুমে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, পরীক্ষার হলে একজনও কক্ষ পরিদর্শক নেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটার কথা নয়। আমরা প্রতিটি রুমেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক দিয়েছিলাম। পাশাপাশি কর্মকর্তারাও ইনভিজিলেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে এটা তো জোরজবরদস্তির কোন বিষয় নয় যে কোন শিক্ষককে বাধ্য করে আনা হবে। আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ছিলাম তখন পিয়নদের দিয়েও দায়িত্ব পালন করিয়েছি।

 

 

 

উল্লেখ্য, গুচ্ছের ইবি কেন্দ্রের ক (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৪৪২ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আগামী ০৩ মে বি (মানবিক) এবং ১০ মে সি ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।