০৬:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য ইউরোপের দরজা বন্ধ হতে চলেছে। আগের মতো আবেদন করলেই তাকে আর আশ্রয় দেওয়া হবে না। এ নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নীতিমালাটি চূড়ান্ত হবে। তখন সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবে আর কে নিজ দেশে ফেরত যাবে। ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন চার বছরের বিতর্ক আর আলোচনা শেষে নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে একমত হয়েছে।

 

 

মূলত অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানবপাচার রোধে এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকলো দেশগুলো। রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার করা হয়েছে নতুন আইনে। যেখানে আছে দশটি ধারা। প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। দায়িত্ব ভাগ করে নেবে সদস্য দেশগুলো। এছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরেই যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও।

 

 

ঢাকার ইইউ প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক আশ্রয়কারীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তবে যে ব্যক্তি দেশে ফিরলে জীবনের হুমকি আছে তার জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে। নতুন নিয়মে অবৈধ অভিবাসন কমবে, সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথ। এই নীতি বাস্তবায়ন হলে উপকৃত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশিদের মধ্যে দক্ষ এবং মেধাবীরা দারুণ সুযোগ পাবে। অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানবপাচার রোধও ফলপ্রসূ হবে।

 

 

নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি সরকারও। এর বিপরীতে নীতি নির্ধারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ২০২৩ সালের শুধু ইউক্রেন থেকেই পালিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে প্রায় ১১ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। বছরের গড় হিসেবে যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাৎসরিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে ২০২৩ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে আবেদন করেছেন ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। ২০১৫ সালের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১১১ জন বাংলাদেশি এই আবেদন করেছেন।

 

 

সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ইতালি আর ফ্রান্সে। আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে রোমানিয়াও। ইউরোপের রাজনৈতিক আশ্রয় বিষয়ক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম বলছে, তালিকার শুরুতেই রয়েছে সিরিয়া। বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ষষ্ঠ।

জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ধ হচ্ছে ইউরোপের দরজা

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য ইউরোপের দরজা বন্ধ হতে চলেছে। আগের মতো আবেদন করলেই তাকে আর আশ্রয় দেওয়া হবে না। এ নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নীতিমালাটি চূড়ান্ত হবে। তখন সিদ্ধান্ত হবে কে থাকবে আর কে নিজ দেশে ফেরত যাবে। ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন চার বছরের বিতর্ক আর আলোচনা শেষে নতুন অভিবাসন আইন নিয়ে একমত হয়েছে।

 

 

মূলত অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং মানবপাচার রোধে এমন সিদ্ধান্তের দিকে ঝুঁকলো দেশগুলো। রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় অভিবাসন নীতির সংস্কার করা হয়েছে নতুন আইনে। যেখানে আছে দশটি ধারা। প্রতিটি দেশের সীমান্তে বসছে কড়া নিরাপত্তা। দায়িত্ব ভাগ করে নেবে সদস্য দেশগুলো। এছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ সীমান্তের বাইরেই যাচাই করা হবে। তা গ্রহণ না হলে ফিরতে হবে নিজ দেশে। প্রতিটি দেশের সীমান্তে থাকছে আশ্রয়কেন্দ্রও।

 

 

ঢাকার ইইউ প্রধান চার্লস হোয়াইটলি জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক আশ্রয়কারীকেই দেওয়া হবে আইনজীবী। প্রতারণা করে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আর থাকছে না। তবে যে ব্যক্তি দেশে ফিরলে জীবনের হুমকি আছে তার জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে। নতুন নিয়মে অবৈধ অভিবাসন কমবে, সুগম হবে দক্ষ শ্রমিকের পথ। এই নীতি বাস্তবায়ন হলে উপকৃত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশিদের মধ্যে দক্ষ এবং মেধাবীরা দারুণ সুযোগ পাবে। অভিবাসনের জন্য তারা বৈধ উপায়ে আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি ভালো পেশা, জীবনমানও নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে সরকারের মানবপাচার রোধও ফলপ্রসূ হবে।

 

 

নতুন আইনের কড়া সমালোচনা করেছে ইউরোপের কট্টর দক্ষিণ ও বামপন্থিরা। সেই তালিকায় আছে হাঙ্গেরি সরকারও। এর বিপরীতে নীতি নির্ধারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ২০২৩ সালের শুধু ইউক্রেন থেকেই পালিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে প্রায় ১১ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। বছরের গড় হিসেবে যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৭ শতাংশ বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাৎসরিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে ২০২৩ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে আবেদন করেছেন ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। ২০১৫ সালের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ১১১ জন বাংলাদেশি এই আবেদন করেছেন।

 

 

সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ইতালি আর ফ্রান্সে। আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে রোমানিয়াও। ইউরোপের রাজনৈতিক আশ্রয় বিষয়ক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম বলছে, তালিকার শুরুতেই রয়েছে সিরিয়া। বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ষষ্ঠ।