০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যান পদে একে অপরের ‘পথের কাঁটা’ আ.লীগ 

আগামী ২১শে মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ছয়জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে পাঁচজন। স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী একজন। একারনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী হওয়ার কারনে একে অপরের “পথের কাটা” হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে মাঠে নামবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে,
চেয়ারম্যান পদে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক মন্ডল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম বেনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল ও শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান সাবেকুন নাহার শিখা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে আবু বকর ছিদ্দিক মন্ডল ও সুমন চৌধুরী আপন শ্বশুর জামাই বলে জানাগেছে। তবে একই পদে আপন শ্বশুর জামাই প্রতিদ্বন্ধিতা করায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী রয়েছে এমপি দুদুর অনুসারী। এক জন প্রার্থী মেয়র হাবিবের অনুসারী।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানাগেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত রয়েছেন। যার একটি অংশ নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়পুরহাট-১ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু, অন্যটিতে পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব। পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপের বিভক্তির প্রভাব গেল দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনেও দৃশ্যমান হয়েছে। এবার প্রতীক হিসেবে নৌকা না থাকায় জটিল হয়ে উঠেছে এই সমীকরণ। প্রার্থী উন্মুক্ত থাকায় ‘নিজের লোককে’ই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বসাতে চান এমপি-মেয়র। একারনে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একে অপরের “পথের কাটা” হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী। অপর দিকে চেয়ারম্যান পদে নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা। তিনিও নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় আছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ মন্ডল, এমপি-মেয়র তারা তাদের মনোনীত প্রার্থী থাকতেই পারে। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মনের ইচ্ছে ছিল যে, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় লোক নির্বাচিত হলে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু তার ছিটাফোঁটাও পায়নি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তিনি আরো বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে যারা নৌকা মার্কার প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য দিন রাত কাজ করেছে আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কোনোদিন তাদের সমর্থন করবেনা।
পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ২১ শে, মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। একারনে দলীয় প্রতীক নেই। প্রার্থী উন্মুক্ত করেছেন। আাগামী নির্বাচনে পাঁচবিবি উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্নাকে আবারও জনগণ ভোট দিবে। তার জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লক্ষ ২ হাজার ৬১৮ জন, পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২ হাজার ২৫ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ০৩ জন ।

চেয়ারম্যান পদে একে অপরের ‘পথের কাঁটা’ আ.লীগ 

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
আগামী ২১শে মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান পদে ছয়জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে পাঁচজন। স্বতন্ত্র নারী প্রার্থী একজন। একারনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী হওয়ার কারনে একে অপরের “পথের কাটা” হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে মাঠে নামবেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাগেছে,
চেয়ারম্যান পদে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্না, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবু বকর ছিদ্দিক মন্ডল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম বেনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন মন্ডল ও শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান সাবেকুন নাহার শিখা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এদের মধ্যে আবু বকর ছিদ্দিক মন্ডল ও সুমন চৌধুরী আপন শ্বশুর জামাই বলে জানাগেছে। তবে একই পদে আপন শ্বশুর জামাই প্রতিদ্বন্ধিতা করায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী রয়েছে এমপি দুদুর অনুসারী। এক জন প্রার্থী মেয়র হাবিবের অনুসারী।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানাগেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত রয়েছেন। যার একটি অংশ নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়পুরহাট-১ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু, অন্যটিতে পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব। পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামীলীগের দুটি গ্রুপের বিভক্তির প্রভাব গেল দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনেও দৃশ্যমান হয়েছে। এবার প্রতীক হিসেবে নৌকা না থাকায় জটিল হয়ে উঠেছে এই সমীকরণ। প্রার্থী উন্মুক্ত থাকায় ‘নিজের লোককে’ই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বসাতে চান এমপি-মেয়র। একারনে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একে অপরের “পথের কাটা” হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী। অপর দিকে চেয়ারম্যান পদে নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা। তিনিও নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় আছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ মন্ডল, এমপি-মেয়র তারা তাদের মনোনীত প্রার্থী থাকতেই পারে। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মনের ইচ্ছে ছিল যে, উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দলীয় লোক নির্বাচিত হলে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু তার ছিটাফোঁটাও পায়নি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তিনি আরো বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনে যারা নৌকা মার্কার প্রার্থীকে পরাজিত করার জন্য দিন রাত কাজ করেছে আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কোনোদিন তাদের সমর্থন করবেনা।
পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ২১ শে, মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। একারনে দলীয় প্রতীক নেই। প্রার্থী উন্মুক্ত করেছেন। আাগামী নির্বাচনে পাঁচবিবি উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুল শহীদ মুন্নাকে আবারও জনগণ ভোট দিবে। তার জয়ের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লক্ষ ২ হাজার ৬১৮ জন, পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ২ হাজার ২৫ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ০৩ জন ।