০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশেষায়িত হাসপাতালেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত বিশেষ চিকিৎসাসেবা

• সুচিকিৎসার সঙ্গে আরামের খোঁজে রোগীরা ছোটেন এসব হাসপাতালে

• ঊর্ধ্বমুখী খরচের শতভাগই বহন করেন রোগীরা

• সব হাসপাতালে পাওয়া যায় না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

• বিশেষায়িত হাসপাতালে হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যয় দ্বিগুণ

হাসপাতাল চত্বর হবে খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, হাসপাতালের গার্ড থেকে শুরু করে চিকিৎসক সবাই হবেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং রোগীবান্ধব। যেখানে সবকিছুই হবে রোগীর পক্ষে। চিকিৎসার পাশাপাশি যারা আরাম খোঁজেন এমন রোগীই যান রাজধানীর বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। যেখানে খরচ বেশি হলেও রোগীদের মতে মেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা। যদিও প্রায়ই রোগীর প্রতি অবহেলার অভিযোগ ওঠে কোন কোন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রোগী মৃত্যুর অভিযোগও আসে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই চলছে দেশের বেসরকারি বিশেষায়িত নামধারী হাসপাতালগুলো।

যেখানে সেবা নিতে রোগীকে শতভাগ খরচ নিজেকেই বহন করতে হয়। দেশের রোগীদের বিশেষ চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের উদ্যোগ হিসেবে রাজধানী ঢাকাতেই বেশিরভাগ হাসপাতাল রয়েছে। কিডনি, ক্যানসার, চক্ষু, নাক, কান, গলা, নিউরো চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে ঢাকায় একটি করে বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। অবশ্য এগুলো সবগুলোই সরকারি হাসপাতাল। বেসরকারি বেশকিছু হাসপাতাল নিজেদের নামের সঙ্গে বিশেষায়িত হাসপাতাল শব্দটি ব্যবহার করলেও তারা নিজেদের কোনো নির্দিষ্ট খাতে সেভাবে বিশেষায়িত হিসেবে উল্লেখ করেনি চক্ষু ও ট্রমা সেন্টার ছাড়া অন্যান্য হাসপাতালগুলো। হাসপাতালগুলো বিশেষায়িত নাম ব্যবহার করলেও সব হাসপাতাল সবসময় বিষেশায়িত হাসপাতাল দেয় বিষয়টি এমন নয় বলেই মনে করেন চিকিৎসা বিশ্লেষকেরা। এই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় উর্ধ্বমুখী।

সরকারি হাসপাতালে যেখানে হৃদরোগের চিকিৎসা শুরু হয় ১৫ হাজার টাকায় সেখানে বেসরকারি হাসপাতালে এর চিকিৎসা শুরু হতেই ব্যয় হয় লাখ টাকা। হৃদরোগ চিকিৎসার প্যাকেজে ধরা হয়, ৫-৬ লাখ টাকা। যা সরকারি হাসপাতালে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব। এখানে থাকে অর্থের চাপ। কোনোভাবে অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই। টাকা নেই তো সেবা নেই বেসরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি, এখানে শয্যাসংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫ হাজার ৫৫টি, যেখানে শয্যা সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ১৮৩টি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৬৯টি।

এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৪৩২টি। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৩২২টি, ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১১০টি। বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৭৩৭টি। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরে ৪৯৪টি, ঢাকা জেলায় ২৬৭টি এবং অন্যান্য জেলায় ২৪৩টি, যা দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই সামান্য। বিশেষায়িত সরকারি ১১টি ইনস্টিটিউটে মাত্র ২০০ আইসিইউ সুবিধা আছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রায় ৬৩ শতাংশ চিকিৎসা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত প্রদান করছে। চিকিৎসাখাতে ব্যক্তিগত খরচ শতকরা ৬৩ শতাংশ থেকে বেড়ে পরে ৬৭ শতাংশ হয়েছে; যা পুরোটাই ব্যক্তি খরচে হয়। দেশে বেসরকারি খাতে পরিচালিত অনেক হাসপাতালের নামের সঙ্গে |

বিশেষায়িত হাসপাতাল লেখা থাকলেও সবসময় সেগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল এমনটি মনে করেন না অনেক চিকিৎসক। চিকিৎসকদের মতে, বিশেষায়িত বলা হলেও প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেখানে সবধরনের চিকিৎসা সেবাই দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ডা. রশীদ-ই-মাহবুব দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, যেকোনো বড় হাসপাতালে গেলে গ্রেড ভেরি করতে পারে। ম্যান বিহাইন্ড দ্য মেশিন। একটি হাসপাতালে অনেক শাখায় অনেক বিশেষজ্ঞ থাকে। আবার একই শাখায় অনেক বিশেষজ্ঞ থাকে। সবাই তো একরকম সার্ভিস দিতে পারে না। জ্ঞানের ক্ষেত্রেও না, দক্ষতার ক্ষেত্রেও না। গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড যেটা বলে, ১০০ রোগী দেখল তার কয়জন রোগী সুস্থ হলো? কয়জন রোগী মারা গেল? কয়জন রোগী দেখার ক্ষেত্রে তার অবহেলা ছিল? মেডিক্যাল ইনস্টিটিটিউশনগুলোতে যেমন হিস্টোপ্যাথলজি ডিফিকাল্ট জব, এখানে পৃথিবীর সবখানেই ভুল হয়। ভুলের সংখ্যাটা কত সেটার উপর নির্ভর করে সে কেমন ডক্টর? উন্নত বিশ্বে যে দেখে তারটা আবার দ্বিতীয় চেকআপ হয়। কিন্তু এসব তো আমাদের দেশে হয় না। আন্তর্জাতিকভাবে যেটা মূল্যায়ন করা হয়, একজন চিকিৎসকের চিকিৎসায় কত রোগীর মৃত্যু হলো কতজন সুস্থ হলো? আমাদের দেশে তো এটা হয় না। ফলে, চিকিৎসকের ভুলের বিষয়টা অধরাই থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আবার সব ধরনের চিকিৎসা আমরা এখনও দিতে পারছি না। গাইনি, অর্থোপেডিকস, ট্রান্সপ্লান্ট, ফুসফুস এসব চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা আছে। আমাদের দেশে এখনও এইরকম কোনো হাসপাতাল তৈরি হয়নি যেটাকে আমরা বলতে পারি যে, এই হাসপাতালটা সবচেয়ে ভাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, আমাদের দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পোচপাসটা খুব ভালো কিন্তু তারা যে হারে টাকা নেয় সেই হারে সেবাটা সবসময় রোগীরা পায় না। এজন্য প্রায়ই রোগীরা অভিযোগ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে নিয়মকানুন আছে এগুলোর ধারেকাছে দিয়েও আমাদের বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো যেতে পারে না। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্ডে এই হাসপাতালগুলো খারাপ না। কিন্তু দেখা যায়, রোগী সবসময় সন্তুষ্ট হয় না। আবার এরা তো চার্জটা বেশি নেয়। কারণ, তারা বাংলাদেশী ফ্রেমে চার্জ করে। আমাদের অর্থনীতিতে, আমাদের সীমিত ক্ষমতায়, আমাদের প্রযুক্তি এবং দক্ষতার দিক থেকে চিন্তা করতে গেলে দেশের

সভ্য ও মার্জিত সমাজ গঠনে সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হবে- মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী

বিশেষায়িত হাসপাতালেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত বিশেষ চিকিৎসাসেবা

আপডেট সময় : ০৮:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

• সুচিকিৎসার সঙ্গে আরামের খোঁজে রোগীরা ছোটেন এসব হাসপাতালে

• ঊর্ধ্বমুখী খরচের শতভাগই বহন করেন রোগীরা

• সব হাসপাতালে পাওয়া যায় না বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

• বিশেষায়িত হাসপাতালে হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যয় দ্বিগুণ

হাসপাতাল চত্বর হবে খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, হাসপাতালের গার্ড থেকে শুরু করে চিকিৎসক সবাই হবেন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং রোগীবান্ধব। যেখানে সবকিছুই হবে রোগীর পক্ষে। চিকিৎসার পাশাপাশি যারা আরাম খোঁজেন এমন রোগীই যান রাজধানীর বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে। যেখানে খরচ বেশি হলেও রোগীদের মতে মেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা। যদিও প্রায়ই রোগীর প্রতি অবহেলার অভিযোগ ওঠে কোন কোন হাসপাতালের বিরুদ্ধে। রোগী মৃত্যুর অভিযোগও আসে। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই চলছে দেশের বেসরকারি বিশেষায়িত নামধারী হাসপাতালগুলো।

যেখানে সেবা নিতে রোগীকে শতভাগ খরচ নিজেকেই বহন করতে হয়। দেশের রোগীদের বিশেষ চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালের উদ্যোগ হিসেবে রাজধানী ঢাকাতেই বেশিরভাগ হাসপাতাল রয়েছে। কিডনি, ক্যানসার, চক্ষু, নাক, কান, গলা, নিউরো চিকিৎসার জন্য সরকারি পর্যায়ে ঢাকায় একটি করে বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। অবশ্য এগুলো সবগুলোই সরকারি হাসপাতাল। বেসরকারি বেশকিছু হাসপাতাল নিজেদের নামের সঙ্গে বিশেষায়িত হাসপাতাল শব্দটি ব্যবহার করলেও তারা নিজেদের কোনো নির্দিষ্ট খাতে সেভাবে বিশেষায়িত হিসেবে উল্লেখ করেনি চক্ষু ও ট্রমা সেন্টার ছাড়া অন্যান্য হাসপাতালগুলো। হাসপাতালগুলো বিশেষায়িত নাম ব্যবহার করলেও সব হাসপাতাল সবসময় বিষেশায়িত হাসপাতাল দেয় বিষয়টি এমন নয় বলেই মনে করেন চিকিৎসা বিশ্লেষকেরা। এই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যয় উর্ধ্বমুখী।

সরকারি হাসপাতালে যেখানে হৃদরোগের চিকিৎসা শুরু হয় ১৫ হাজার টাকায় সেখানে বেসরকারি হাসপাতালে এর চিকিৎসা শুরু হতেই ব্যয় হয় লাখ টাকা। হৃদরোগ চিকিৎসার প্যাকেজে ধরা হয়, ৫-৬ লাখ টাকা। যা সরকারি হাসপাতালে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব। এখানে থাকে অর্থের চাপ। কোনোভাবে অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই। টাকা নেই তো সেবা নেই বেসরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি, এখানে শয্যাসংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫ হাজার ৫৫টি, যেখানে শয্যা সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ১৮৩টি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৬৯টি।

এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৪৩২টি। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৩২২টি, ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১১০টি। বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৭৩৭টি। এরমধ্যে ঢাকা মহানগরে ৪৯৪টি, ঢাকা জেলায় ২৬৭টি এবং অন্যান্য জেলায় ২৪৩টি, যা দেশের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই সামান্য। বিশেষায়িত সরকারি ১১টি ইনস্টিটিউটে মাত্র ২০০ আইসিইউ সুবিধা আছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রায় ৬৩ শতাংশ চিকিৎসা বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত প্রদান করছে। চিকিৎসাখাতে ব্যক্তিগত খরচ শতকরা ৬৩ শতাংশ থেকে বেড়ে পরে ৬৭ শতাংশ হয়েছে; যা পুরোটাই ব্যক্তি খরচে হয়। দেশে বেসরকারি খাতে পরিচালিত অনেক হাসপাতালের নামের সঙ্গে |

বিশেষায়িত হাসপাতাল লেখা থাকলেও সবসময় সেগুলো বিশেষায়িত হাসপাতাল এমনটি মনে করেন না অনেক চিকিৎসক। চিকিৎসকদের মতে, বিশেষায়িত বলা হলেও প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেখানে সবধরনের চিকিৎসা সেবাই দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ডা. রশীদ-ই-মাহবুব দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, যেকোনো বড় হাসপাতালে গেলে গ্রেড ভেরি করতে পারে। ম্যান বিহাইন্ড দ্য মেশিন। একটি হাসপাতালে অনেক শাখায় অনেক বিশেষজ্ঞ থাকে। আবার একই শাখায় অনেক বিশেষজ্ঞ থাকে। সবাই তো একরকম সার্ভিস দিতে পারে না। জ্ঞানের ক্ষেত্রেও না, দক্ষতার ক্ষেত্রেও না। গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড যেটা বলে, ১০০ রোগী দেখল তার কয়জন রোগী সুস্থ হলো? কয়জন রোগী মারা গেল? কয়জন রোগী দেখার ক্ষেত্রে তার অবহেলা ছিল? মেডিক্যাল ইনস্টিটিটিউশনগুলোতে যেমন হিস্টোপ্যাথলজি ডিফিকাল্ট জব, এখানে পৃথিবীর সবখানেই ভুল হয়। ভুলের সংখ্যাটা কত সেটার উপর নির্ভর করে সে কেমন ডক্টর? উন্নত বিশ্বে যে দেখে তারটা আবার দ্বিতীয় চেকআপ হয়। কিন্তু এসব তো আমাদের দেশে হয় না। আন্তর্জাতিকভাবে যেটা মূল্যায়ন করা হয়, একজন চিকিৎসকের চিকিৎসায় কত রোগীর মৃত্যু হলো কতজন সুস্থ হলো? আমাদের দেশে তো এটা হয় না। ফলে, চিকিৎসকের ভুলের বিষয়টা অধরাই থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আবার সব ধরনের চিকিৎসা আমরা এখনও দিতে পারছি না। গাইনি, অর্থোপেডিকস, ট্রান্সপ্লান্ট, ফুসফুস এসব চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা আছে। আমাদের দেশে এখনও এইরকম কোনো হাসপাতাল তৈরি হয়নি যেটাকে আমরা বলতে পারি যে, এই হাসপাতালটা সবচেয়ে ভাল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, আমাদের দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পোচপাসটা খুব ভালো কিন্তু তারা যে হারে টাকা নেয় সেই হারে সেবাটা সবসময় রোগীরা পায় না। এজন্য প্রায়ই রোগীরা অভিযোগ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে নিয়মকানুন আছে এগুলোর ধারেকাছে দিয়েও আমাদের বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো যেতে পারে না। এটা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্ডে এই হাসপাতালগুলো খারাপ না। কিন্তু দেখা যায়, রোগী সবসময় সন্তুষ্ট হয় না। আবার এরা তো চার্জটা বেশি নেয়। কারণ, তারা বাংলাদেশী ফ্রেমে চার্জ করে। আমাদের অর্থনীতিতে, আমাদের সীমিত ক্ষমতায়, আমাদের প্রযুক্তি এবং দক্ষতার দিক থেকে চিন্তা করতে গেলে দেশের