০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেমিক্যালমুক্ত হচ্ছে না ফল

◉ মৌসুমের শুরুতেই সক্রিয় কেমিক্যালে আম পাকানো চক্র
◉ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযান Ñমহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
◉ বাজার তদারকির জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি Ñআবু নূর মো. শামসুজ্জামান, সদস্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কৃর্তৃপক্ষ
◉ ৩৭ হাজার ৪০০ কেজি বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম জব্দ

বাংলাদেশের আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন ইউরোপসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বাড়ছে রপ্তানি আয়। কিন্তু দেশের বাজারে বাজারজাতকৃত আম কতটুকু নিরাপদ- এনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বর্তমানে ফলের দোকান, রাস্তার পাশ কিংবা শহরের অলিগলির ভ্যানে দেখা মিলছে সুস্বাদু ফল আম। মৌসুম শুরুর একমাস আগে থেকেই বাজারে মিলছে এ ফল। তীব্র তাপপ্রবাহে আমসহ মৌসুমি ফল পাকতে শুরু করেছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা সবার মনেই প্রশ্ন উঠেছে আমের পরিপক্বতা নিয়ে। স্বাদ এবং ঘ্রাণহীন অপরিপক্ব এ আমে স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মৌসুম শুরু না হতেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে ‘অপরিপক্ব’ পাকা আম। রাজধানীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এসব আম। বক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকা কেজি দরে।
অধিকাংশ ক্রেতারা বলছেন বেশি লাভের আশায়, মৌসুম শুরুর আগে আম ব্যবসায়ীরা অতিমাত্রায় উৎসাহী হতে দেখা যায়। ভোক্তার হাতে কৌশলে পাকা আমের নামে অপুষ্ট ও অপরিপক্ব আম তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এ আমে স্বাদের ক্ষেত্রে যেমন রয়েছে ঘাটতি তেমনি অপূর্ণতা রয়েছে সুগন্ধেও। রাসায়নিক দিয়ে এসব আম পাকানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো হলে তা কতটুকুই বা স্বাস্থ্যসম্মত?

বিক্রেতারা বলেন, এখন নতুন সিজন তাই আম টক-মিষ্টি হবে। প্রচণ্ড গরমে আম পেকে যাচ্ছে। এই আম আরও আগে আসার কথা। পরিপক্ব হয় নাই বলে আসে নাই।
মৌসুম শুরু আগে বাজারে আম বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে পাকানো হচ্ছে এসব আম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কৃর্তৃপক্ষ কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার) আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান সবুজ বাংলাকে বলেন, বিষয়টি আসলে উদ্ভেগজনক। বর্তমান বাজার তদারকি করার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাজার পর্যবোক্ষণ করে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্তক করেছি। ফলের মৌসুমে কেমিক্যাল মুক্ত ফল নিশ্চিতের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ পরিচালনা করছি।

বর্তমান বাজারে প্রতিনিয়ত কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি এ বিষয়ে জানতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবুজ বাংলাকে জানান, এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না। সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তারা কোন অভিযোগ প্রদান করলে আমরা সেসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করব।
দেশের সাতক্ষীরার হিমসাগর, ল্যাংড়া, ও গোবিন্দভোগ আমের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশব্যাপী। দেশের গোণ্ডি পেরিয়ে সাতক্ষীরার আম রফতানি করা হয় ইউরোপসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। আমের এই সুখ্যাতি ধরে রাখতে এখনো আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেনি জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম পেড়ে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। গত ছয় দিনে জেলার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ হাজার ৪০০ কেজি আম জব্দ করে নষ্ট করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
অপরিপক্ব আম পাড়া বন্ধ করতে গত ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাতক্ষীরা জেলায় এ বছর আমের মুকুল দেরিতে এসেছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও গোবিন্দভোগ, হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম পরিপক্ব অবস্থায় উপনীত হয়নি। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবে। সে মোতাবেক গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে হবে। অসদুপায় অবলম্বনে পাকানো অপরিপক্ব আম খাদ্য হিসেবে গ্রহণে ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অসদুপায় উপায় অবলম্বনে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও থেমে নেই অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম পেড়ে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করার অপচেষ্টা। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অপরিপক্ব আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করার তৎপরতা লিপ্ত রয়েছে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিকে পাকানো হচ্ছে এসব আম। জনস্বার্থে অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। গত সোমবার হতে বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথক অভিযানে জেলার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ হাজার ৪০০ কেজি বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জব্দকৃত এসব আম জনসমক্ষে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আকাশের নেতৃত্বে শহরের সুলতানপুর পিএন স্কুল মাঠে গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে এসব আম বিনষ্ট করা হয়।

 

কেমিক্যালমুক্ত হচ্ছে না ফল

আপডেট সময় : ০৭:১৯:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

◉ মৌসুমের শুরুতেই সক্রিয় কেমিক্যালে আম পাকানো চক্র
◉ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযান Ñমহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
◉ বাজার তদারকির জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছি Ñআবু নূর মো. শামসুজ্জামান, সদস্য, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কৃর্তৃপক্ষ
◉ ৩৭ হাজার ৪০০ কেজি বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম জব্দ

বাংলাদেশের আম দেশের গন্ডি পেরিয়ে এখন ইউরোপসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বাড়ছে রপ্তানি আয়। কিন্তু দেশের বাজারে বাজারজাতকৃত আম কতটুকু নিরাপদ- এনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। বর্তমানে ফলের দোকান, রাস্তার পাশ কিংবা শহরের অলিগলির ভ্যানে দেখা মিলছে সুস্বাদু ফল আম। মৌসুম শুরুর একমাস আগে থেকেই বাজারে মিলছে এ ফল। তীব্র তাপপ্রবাহে আমসহ মৌসুমি ফল পাকতে শুরু করেছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা সবার মনেই প্রশ্ন উঠেছে আমের পরিপক্বতা নিয়ে। স্বাদ এবং ঘ্রাণহীন অপরিপক্ব এ আমে স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মৌসুম শুরু না হতেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে ‘অপরিপক্ব’ পাকা আম। রাজধানীতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এসব আম। বক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকা কেজি দরে।
অধিকাংশ ক্রেতারা বলছেন বেশি লাভের আশায়, মৌসুম শুরুর আগে আম ব্যবসায়ীরা অতিমাত্রায় উৎসাহী হতে দেখা যায়। ভোক্তার হাতে কৌশলে পাকা আমের নামে অপুষ্ট ও অপরিপক্ব আম তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এ আমে স্বাদের ক্ষেত্রে যেমন রয়েছে ঘাটতি তেমনি অপূর্ণতা রয়েছে সুগন্ধেও। রাসায়নিক দিয়ে এসব আম পাকানো হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো হলে তা কতটুকুই বা স্বাস্থ্যসম্মত?

বিক্রেতারা বলেন, এখন নতুন সিজন তাই আম টক-মিষ্টি হবে। প্রচণ্ড গরমে আম পেকে যাচ্ছে। এই আম আরও আগে আসার কথা। পরিপক্ব হয় নাই বলে আসে নাই।
মৌসুম শুরু আগে বাজারে আম বিক্রি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে পাকানো হচ্ছে এসব আম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কৃর্তৃপক্ষ কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার) আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান সবুজ বাংলাকে বলেন, বিষয়টি আসলে উদ্ভেগজনক। বর্তমান বাজার তদারকি করার জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাজার পর্যবোক্ষণ করে প্রাথমিক পর্যায়ে সর্তক করেছি। ফলের মৌসুমে কেমিক্যাল মুক্ত ফল নিশ্চিতের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ পরিচালনা করছি।

বর্তমান বাজারে প্রতিনিয়ত কেমিক্যাল ব্যবহার বিষয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি এ বিষয়ে জানতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সবুজ বাংলাকে জানান, এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না। সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তারা কোন অভিযোগ প্রদান করলে আমরা সেসব স্থানে অভিযান পরিচালনা করব।
দেশের সাতক্ষীরার হিমসাগর, ল্যাংড়া, ও গোবিন্দভোগ আমের সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশব্যাপী। দেশের গোণ্ডি পেরিয়ে সাতক্ষীরার আম রফতানি করা হয় ইউরোপসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। আমের এই সুখ্যাতি ধরে রাখতে এখনো আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেনি জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু বেশি মুনাফা লাভের আশায় একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম পেড়ে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। গত ছয় দিনে জেলার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ হাজার ৪০০ কেজি আম জব্দ করে নষ্ট করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
অপরিপক্ব আম পাড়া বন্ধ করতে গত ২৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাতক্ষীরা জেলায় এ বছর আমের মুকুল দেরিতে এসেছে। এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও গোবিন্দভোগ, হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম পরিপক্ব অবস্থায় উপনীত হয়নি। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করে আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করবে। সে মোতাবেক গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে হবে। অসদুপায় অবলম্বনে পাকানো অপরিপক্ব আম খাদ্য হিসেবে গ্রহণে ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অসদুপায় উপায় অবলম্বনে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও থেমে নেই অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম পেড়ে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাত করার অপচেষ্টা। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অপরিপক্ব আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করার তৎপরতা লিপ্ত রয়েছে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিকে পাকানো হচ্ছে এসব আম। জনস্বার্থে অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। গত সোমবার হতে বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথক অভিযানে জেলার কালিগঞ্জ, দেবহাটা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৭ হাজার ৪০০ কেজি বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো অপরিপক্ব গোবিন্দভোগ আম জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জব্দকৃত এসব আম জনসমক্ষে ধ্বংস করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আকাশের নেতৃত্বে শহরের সুলতানপুর পিএন স্কুল মাঠে গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে এসব আম বিনষ্ট করা হয়।