১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৈকতে পর্যটকের ভিড়,”ঘূর্ণিঝড় রেমাল” আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার নেই 

Oplus_0

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকের ভিড়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে ভিড় করছেন কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটক ওস্থানীয় লোকজন। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক ও বিচ কর্মী, পুলিশ প্রশাসনের সাথে চোর পুলিশ খেলা চলছে।  বিচ কর্মী ও পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য তাড়িয়ে দিলে অন্যদিকে আবার নেমে পড়ছে। আগত পর্যটকদের রেমাল দেখার আগ্রহ থেমে নেই। ঢাকার মিরপুর থেকে বেড়াতে আসা সৈয়দ আলম বলেন, ” আমার বেড়াতে এসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়েছি ছেলে মেয়েদের মানাতে না পেরে সমুদ্রে চলে এসেছি। বিচ কর্মিদের বাঁধার মুখে পড়ে আমরা রোমে ফিরে যাচ্ছি।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। রোববার (২৬ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার শহরের নিকটতম সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা সমিতি পাড়ায় জোয়ারের পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। মানুষ নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে চলে এসেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ সূত্রে জানা যায়, জরুরী প্রয়োজনে মজুদ রাখা হয়েছে ৪৮৬ মেট্রিকটন জি আর চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সঙ্গে গৃহ নির্মাণ মজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা।
অথচ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের নিকট বিকেল পর্যন্ত কোন ধরনের শুকনো খাবার ও পানীয় সরবরাহ করতে দেখা যায়নি। সৈকত পাড়ার সুরত আলম তার পরিবার নিয়ে পৌর প্রিপ্রার্রেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে আসেন সকাল থেকে এ পযন্ত তারা কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাননি। নাজিরার টেকের খালেদা আক্তার বলেন, আমাদেরকে সেচ্ছাসেবকগণ জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছে। সাথে তেমন কিছু আনতে পারিন। দুপুর থেকে এখন রাত আটটা কেউ আমাদের খোঁজ নেইনি। শুঁকনো খাবার তো দূরের কথা সামান্য খাবার পানির ও ব্যাবস্হা নেই। না খেয়ে মরার চেয়ে ঘূর্ণিঝড়ে মরবো, এখানে থাকবেস না বাসায় চলে যাবো।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

সৈকতে পর্যটকের ভিড়,”ঘূর্ণিঝড় রেমাল” আশ্রয় কেন্দ্রে খাবার নেই 

আপডেট সময় : ০৯:০০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকের ভিড়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দেখতে ভিড় করছেন কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটক ওস্থানীয় লোকজন। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক ও বিচ কর্মী, পুলিশ প্রশাসনের সাথে চোর পুলিশ খেলা চলছে।  বিচ কর্মী ও পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য তাড়িয়ে দিলে অন্যদিকে আবার নেমে পড়ছে। আগত পর্যটকদের রেমাল দেখার আগ্রহ থেমে নেই। ঢাকার মিরপুর থেকে বেড়াতে আসা সৈয়দ আলম বলেন, ” আমার বেড়াতে এসে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়েছি ছেলে মেয়েদের মানাতে না পেরে সমুদ্রে চলে এসেছি। বিচ কর্মিদের বাঁধার মুখে পড়ে আমরা রোমে ফিরে যাচ্ছি।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। রোববার (২৬ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কক্সবাজার শহরের নিকটতম সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা সমিতি পাড়ায় জোয়ারের পানি বেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। মানুষ নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে চলে এসেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ সূত্রে জানা যায়, জরুরী প্রয়োজনে মজুদ রাখা হয়েছে ৪৮৬ মেট্রিকটন জি আর চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সঙ্গে গৃহ নির্মাণ মজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা।
অথচ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের নিকট বিকেল পর্যন্ত কোন ধরনের শুকনো খাবার ও পানীয় সরবরাহ করতে দেখা যায়নি। সৈকত পাড়ার সুরত আলম তার পরিবার নিয়ে পৌর প্রিপ্রার্রেটরী উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে আসেন সকাল থেকে এ পযন্ত তারা কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা পাননি। নাজিরার টেকের খালেদা আক্তার বলেন, আমাদেরকে সেচ্ছাসেবকগণ জোর করে পাঠিয়ে দিয়েছে। সাথে তেমন কিছু আনতে পারিন। দুপুর থেকে এখন রাত আটটা কেউ আমাদের খোঁজ নেইনি। শুঁকনো খাবার তো দূরের কথা সামান্য খাবার পানির ও ব্যাবস্হা নেই। না খেয়ে মরার চেয়ে ঘূর্ণিঝড়ে মরবো, এখানে থাকবেস না বাসায় চলে যাবো।