১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাভারে রেমেলের প্রভাবে পানির নিচে তলিয়ে সড়ক-মহাসড়ক

 সাভারে ঘূর্ণিঝড় রেমেল এর প্রভাবে রাত থেকেই দমকা হাওয়াসহ সারাদিন ঝুম বৃষ্টি অব্যাহত। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে বাসা বাড়ী সহ সড়ক মহাসড়ক ও বেশ কিছু শাখা সড়ক। সারাদিন বিদ্যুৎ বিহীন নাভিশ্বাসে জনজীবন পানি শুন্যতায় অতিষ্ট হয়ে পরে সাভারবাসী।
এর ফলে শিল্পান্চল সাভার আশুলিয়া শ্রমজীবি৷ কর্মজীবি ও বসবাসকারী মানুষজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে সাভার উপজেলার আশুলিয়া বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর আন্চলিক সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড থেকে জামগড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় আসে পাশের বাসা বাড়ীতে কোমর পরিমাণ পানি জমে যায়।
এছাড়া আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার  আসেপাশের সব শাখা সড়কে জমেছে হাঁটু পরিমাণ ও কিছু জায়গায় কোমর পরিমাণ পানি। এতে করে কর্মস্থলে যেতে ও আসতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পোশাক শ্রমিক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
নারী পোশাক শ্রমিক নিলুফা ইয়াসমিন সবুজ বাংলা’কে বলেন, শিমুল তলা চেয়ারম্যানবাড়ীর পাশে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়  চাকুরী করি। সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় বহু বছর ধরে ।
রাত থেকেই প্রচন্ড বেগে বাতাসের সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বাসার সামনেই সড়কে হাঁটু পরিমান পানি পেরিয়ে কারখানায় যাওয়ার জন্য বের হই। কিছু দূর গিয়ে দেখি আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রিকশা-ভ্যানও মিলছে না সড়কের উপরে ভেসে আছে অসংখ্য গাড়ী। আজ দুপুরে এমন ময়লা পানি অতিক্রম করে বৃষ্টিতে ভিজে খেতে যাওয়াও সম্ভব হবে না। দুপুরে না খেয়েই একবারে ছুটি হলেই বাসায় ফিরতে হবে ।
পানিতে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা বলছেন শুধু ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নয়, সামান্য বৃষ্টিতেই এসব এলাকার সড়ক-শাখাসড়ক ও বাসা বাড়ীর আঙ্গিনা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই এলাকায় বসবাসের শুরু থেকেই আমরা চরম ভোগান্তিতে পোহাচ্ছি আমাদের দেখার কেউ নেই । সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। ময়লা পানি দিয়ে সড়ক পার হওয়া যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। এর কারণে অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে ভুগতে হয় আমাদের।
আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকা সহ আশেপাশের শাখা সড়ক গুলোতে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক গুলো তলিয়ে যায়, ফলে কমে সাধারণ মানুষের চলাফেরা। সড়কের ফুটপাতে বসা দোকান গুলোতে ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়ায় লোকসান গুনতে হয় তাদেরকে । পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের কপাল পুড়ে । তবে সড়কের পানি  নিষ্কাশনের যদি ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমাদের এ ধরনের সমস্যা হতো না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের যত ভোগান্তিতে ভুগতে হচ্ছে নতুন চেয়ারম্যান পানি নিষ্কাশনের আাশ্বাস দিলেও বহু মাস হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ব্যাবস্হা নেয়নি চেয়ারম্যান।
এদিকে সড়কটিতে চলছে সরকারের মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ । এর আগেও পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কটির আশেপাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, সড়কটিতে আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে শ্রমিকরা কাজ করছেন। আশাকরি এক বছরের মধ্যেই আর ভোগান্তি থাকবে না। সড়কটিতে শুধু বৃষ্টির পানিই নয়, বিভিন্ন পোশাক শিল্প কল কারখানার পানিও ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই সড়কে পানি জমে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকেনা । তবে আমরা সড়ক থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্পের ব্যবস্থা করেছি।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাভারে রেমেলের প্রভাবে পানির নিচে তলিয়ে সড়ক-মহাসড়ক

আপডেট সময় : ০৬:২৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
 সাভারে ঘূর্ণিঝড় রেমেল এর প্রভাবে রাত থেকেই দমকা হাওয়াসহ সারাদিন ঝুম বৃষ্টি অব্যাহত। এতে পানিতে তলিয়ে গেছে বাসা বাড়ী সহ সড়ক মহাসড়ক ও বেশ কিছু শাখা সড়ক। সারাদিন বিদ্যুৎ বিহীন নাভিশ্বাসে জনজীবন পানি শুন্যতায় অতিষ্ট হয়ে পরে সাভারবাসী।
এর ফলে শিল্পান্চল সাভার আশুলিয়া শ্রমজীবি৷ কর্মজীবি ও বসবাসকারী মানুষজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে সাভার উপজেলার আশুলিয়া বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর আন্চলিক সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড থেকে জামগড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় আসে পাশের বাসা বাড়ীতে কোমর পরিমাণ পানি জমে যায়।
এছাড়া আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার  আসেপাশের সব শাখা সড়কে জমেছে হাঁটু পরিমাণ ও কিছু জায়গায় কোমর পরিমাণ পানি। এতে করে কর্মস্থলে যেতে ও আসতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পোশাক শ্রমিক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
নারী পোশাক শ্রমিক নিলুফা ইয়াসমিন সবুজ বাংলা’কে বলেন, শিমুল তলা চেয়ারম্যানবাড়ীর পাশে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়  চাকুরী করি। সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় বহু বছর ধরে ।
রাত থেকেই প্রচন্ড বেগে বাতাসের সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বাসার সামনেই সড়কে হাঁটু পরিমান পানি পেরিয়ে কারখানায় যাওয়ার জন্য বের হই। কিছু দূর গিয়ে দেখি আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রিকশা-ভ্যানও মিলছে না সড়কের উপরে ভেসে আছে অসংখ্য গাড়ী। আজ দুপুরে এমন ময়লা পানি অতিক্রম করে বৃষ্টিতে ভিজে খেতে যাওয়াও সম্ভব হবে না। দুপুরে না খেয়েই একবারে ছুটি হলেই বাসায় ফিরতে হবে ।
পানিতে আটকে পড়া ভুক্তভোগীরা বলছেন শুধু ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নয়, সামান্য বৃষ্টিতেই এসব এলাকার সড়ক-শাখাসড়ক ও বাসা বাড়ীর আঙ্গিনা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই এলাকায় বসবাসের শুরু থেকেই আমরা চরম ভোগান্তিতে পোহাচ্ছি আমাদের দেখার কেউ নেই । সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। ময়লা পানি দিয়ে সড়ক পার হওয়া যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে। এর কারণে অস্বাস্হ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে ভুগতে হয় আমাদের।
আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকা সহ আশেপাশের শাখা সড়ক গুলোতে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক গুলো তলিয়ে যায়, ফলে কমে সাধারণ মানুষের চলাফেরা। সড়কের ফুটপাতে বসা দোকান গুলোতে ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়ায় লোকসান গুনতে হয় তাদেরকে । পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের কপাল পুড়ে । তবে সড়কের পানি  নিষ্কাশনের যদি ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমাদের এ ধরনের সমস্যা হতো না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় আমাদের যত ভোগান্তিতে ভুগতে হচ্ছে নতুন চেয়ারম্যান পানি নিষ্কাশনের আাশ্বাস দিলেও বহু মাস হলো পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ব্যাবস্হা নেয়নি চেয়ারম্যান।
এদিকে সড়কটিতে চলছে সরকারের মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ । এর আগেও পানি নিষ্কাশনের জন্য সড়কটির আশেপাশে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, সড়কটিতে আমাদের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে শ্রমিকরা কাজ করছেন। আশাকরি এক বছরের মধ্যেই আর ভোগান্তি থাকবে না। সড়কটিতে শুধু বৃষ্টির পানিই নয়, বিভিন্ন পোশাক শিল্প কল কারখানার পানিও ছেড়ে দেওয়া হয়। তাই সড়কে পানি জমে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকেনা । তবে আমরা সড়ক থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাম্পের ব্যবস্থা করেছি।