স্টাফ রিপোর্টার 
নরসিংদীতে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মাহবুবুল হাসানের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছে। জানাজার নামাজে হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি স্বজনদের। গত মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ১২ টায় দিকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ৩ টায় স্থানীয় খালপাড় শাহী ঈদগাহে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এসময় জানাজার নামাজে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী সদর আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতিক), নরসিংদী-২ পলাশ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আশরাফ খাঁন দীলিপ,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাত উদ্দিন আহমেদ মনির, সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, পাঁচদোনা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, চরদিগলদী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন শাহিন সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি মেহেরপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিটিং শেষে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গে কয়েকজন সমর্থক হেঁটে ভগিরথপুর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা চালায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। পরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা মাহাবুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে কোপাতে থাকে। এতে তার মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পাপ্পু ও রাহাত নামের আরও দুজন আহত হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যানকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, স্থানীয় রাজনীতি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাহাবুবুল হাসানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার অমিত প্রান্তের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মামলা পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৮ মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। এরই দ্বন্দ্বে মাহবুবকে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেন নিহতের ভাই হাফেজ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ।
নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
