১০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরো স্থল সীমান্তের নিয়ন্ত্রণের দাবি

➤যুদ্ধ আরো সাত মাস চলতে পারে : ইসরায়েল
➤ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল ব্রাজিল
➤গাজা যুদ্ধে জিততে পারবে না ইসরায়েল : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
➤ইসরায়েল সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি : এরদোগান

ফিলাডেলফি করিডর একটি বাফার জোন। এলাকাটি প্রায় ৩৩০ ফুট প্রশস্ত এবং যা মিসরের সঙ্গে ১৩ কিলোমিটার সীমান্তের গাজা পাশ দিয়ে চলে গেছে। গাজার একমাত্র স্থলসীমান্ত ইসরায়েলের সঙ্গে। এর পুরো স্থলসীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দখলাদার ইসরায়েল। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, সেখানে ২০টি সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে, যে পথ দিয়ে অস্ত্র পাচার করে আসছিল হামাস। তবে মিসরীয় টিভি দেশটির কর্মকর্তার বরাতে বলেছে, ওই সুড়ঙ্গের কথা বলে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণের রাফাহতে তাদের অভিযানকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মিসরীয় বাহিনীর এক গার্ড নিহত হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটল।

 

গত বুধবার আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আইডিএফ সেনারা মিসর ও রাফাহ সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। করিডরটি হামাসের জন্য একটি লাইফলাইন, করিডরটি দিয়ে হামাস নিয়মিতভাবে গাজা উপত্যকায় অস্ত্র পাচার করে। সেনারা ওই এলাকায় পাওয়া সুড়ঙ্গগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না যেসব টানেল মিসরে প্রবেশ করেছে।

 

এর আগে মিসর বলেছিল, তারা আন্তঃসীমান্ত টানেল ধ্বংস করেছে। ফলে কোনো অস্ত্র চোরাচালান আর সম্ভব নয় সেখানে। তবে একটি উচ্চ পর্যায়ের মিসরীয় সূত্র আল-কাহেরা নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ফিলিস্তিনি শহর রাফায় অভিযান চালিয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টার জন্য এই অভিযোগগুলো করছে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনী তিন সপ্তাহ আগে গাজার পাশে রাফাহ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এরপর থেকে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

যুদ্ধ আরো সাত মাস চলতে পারে : গত বুধবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে কানে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেবি বলেছেন, হামাস ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সামরিক ও শাসন করা সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করতে আমরা আরো সাত মাস লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আশা করছি। এর অর্থ চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ চলতে পারে মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্তবর্তী রাফাহতে চলমান ইসরায়েলি অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জাচি হানেবি বলেন, ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সীমান্তসংলগ্ন এলাকাকে চোরাচালানের রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান মিত্রদের ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

গাজা যুদ্ধে জিততে পারবে না ইসরায়েল :
গত বুধবার মালদোভানের রাজধানী চিসিনাউতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে এবং সেখানে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার ও সরকার প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যকীয়। এ ধরনের একটি পরিকল্পনা ছাড়া সামনের দিকে আগানো সম্ভব নয়। এছাড়া গাজায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েল সত্যিই সফল হয়েছে। গাজার ভবিষ্যত নির্ধারণে ইসরায়েলকে এককভাবে দায়ী করা উচিত নয়। যুদ্ধ পরবর্তী হামাস আবার গাজার নিয়ন্ত্রণ নিবে, যা অপ্রত্যাশিত। এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নিয়ে ইসরায়েলকে পরিকল্পনা করার বিষয়ে চাপ দিচ্ছে। তাদের দাবি যুদ্ধের পর একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) মাধ্যমে গাজা পরিচালিত হোক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে নয় বরং গাজা এবং পশ্চিম তীর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। এজন্য তারা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল ব্রাজিল :
ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ঘিরে কয়েক মাস ধরেই দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। এরই মধ্যে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল ব্রাজিল। গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত ফ্রেডেরিকো মেয়ারকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ব্রাজিল সরকার। তাকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বদলি করা হয়েছে। সেখানে তিনি জাতিসংঘে ব্রাজিলের স্থায়ী মিশনে যোগ দেবেন। ব্রাজিলের এ পদক্ষেপের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

ইসরায়েল সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি :
গত বুধবার তুরস্কের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল একেপি পার্টির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইসরায়েল কেবল গাজার জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি। ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন না মানবে এবং আন্তর্জাতিক আইন মানার প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রই নিরাপদ নয়। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ নিজেদের কর্মীদেরও রক্ষা করতে পারছে না। তাহলে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন? গাজায় জাতিসংঘের চেতনা মরে গেছে। ইসলামি বিশ্বের কাছে আমার কিছু কথা বলার আছে, আপনারা একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কীসের অপেক্ষা করছেন?

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পুরো স্থল সীমান্তের নিয়ন্ত্রণের দাবি

আপডেট সময় : ০৯:২৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

➤যুদ্ধ আরো সাত মাস চলতে পারে : ইসরায়েল
➤ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল ব্রাজিল
➤গাজা যুদ্ধে জিততে পারবে না ইসরায়েল : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
➤ইসরায়েল সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি : এরদোগান

ফিলাডেলফি করিডর একটি বাফার জোন। এলাকাটি প্রায় ৩৩০ ফুট প্রশস্ত এবং যা মিসরের সঙ্গে ১৩ কিলোমিটার সীমান্তের গাজা পাশ দিয়ে চলে গেছে। গাজার একমাত্র স্থলসীমান্ত ইসরায়েলের সঙ্গে। এর পুরো স্থলসীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে দখলাদার ইসরায়েল। ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, সেখানে ২০টি সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে, যে পথ দিয়ে অস্ত্র পাচার করে আসছিল হামাস। তবে মিসরীয় টিভি দেশটির কর্মকর্তার বরাতে বলেছে, ওই সুড়ঙ্গের কথা বলে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণের রাফাহতে তাদের অভিযানকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মিসরীয় বাহিনীর এক গার্ড নিহত হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটল।

 

গত বুধবার আইডিএফ মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আইডিএফ সেনারা মিসর ও রাফাহ সীমান্তে ফিলাডেলফি করিডর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। করিডরটি হামাসের জন্য একটি লাইফলাইন, করিডরটি দিয়ে হামাস নিয়মিতভাবে গাজা উপত্যকায় অস্ত্র পাচার করে। সেনারা ওই এলাকায় পাওয়া সুড়ঙ্গগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না যেসব টানেল মিসরে প্রবেশ করেছে।

 

এর আগে মিসর বলেছিল, তারা আন্তঃসীমান্ত টানেল ধ্বংস করেছে। ফলে কোনো অস্ত্র চোরাচালান আর সম্ভব নয় সেখানে। তবে একটি উচ্চ পর্যায়ের মিসরীয় সূত্র আল-কাহেরা নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ফিলিস্তিনি শহর রাফায় অভিযান চালিয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টার জন্য এই অভিযোগগুলো করছে ইসরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনী তিন সপ্তাহ আগে গাজার পাশে রাফাহ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এরপর থেকে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

যুদ্ধ আরো সাত মাস চলতে পারে : গত বুধবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে কানে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেবি বলেছেন, হামাস ও প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সামরিক ও শাসন করা সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করতে আমরা আরো সাত মাস লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আশা করছি। এর অর্থ চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ চলতে পারে মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্তবর্তী রাফাহতে চলমান ইসরায়েলি অভিযানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জাচি হানেবি বলেন, ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সীমান্তসংলগ্ন এলাকাকে চোরাচালানের রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান মিত্রদের ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভের বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

গাজা যুদ্ধে জিততে পারবে না ইসরায়েল :
গত বুধবার মালদোভানের রাজধানী চিসিনাউতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের পরাজয় নিশ্চিত করতে এবং সেখানে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার ও সরকার প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যকীয়। এ ধরনের একটি পরিকল্পনা ছাড়া সামনের দিকে আগানো সম্ভব নয়। এছাড়া গাজায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতে ইসরায়েল সত্যিই সফল হয়েছে। গাজার ভবিষ্যত নির্ধারণে ইসরায়েলকে এককভাবে দায়ী করা উচিত নয়। যুদ্ধ পরবর্তী হামাস আবার গাজার নিয়ন্ত্রণ নিবে, যা অপ্রত্যাশিত। এ অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নিয়ে ইসরায়েলকে পরিকল্পনা করার বিষয়ে চাপ দিচ্ছে। তাদের দাবি যুদ্ধের পর একটি সংস্কারকৃত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) মাধ্যমে গাজা পরিচালিত হোক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কাছে নয় বরং গাজা এবং পশ্চিম তীর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই রাখতে হবে। এজন্য তারা হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল ব্রাজিল :
ইসরায়েলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ঘিরে কয়েক মাস ধরেই দুই দেশের মধ্যে টানাপড়েন চলছিল। এরই মধ্যে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল ব্রাজিল। গত বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত ফ্রেডেরিকো মেয়ারকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় ব্রাজিল সরকার। তাকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বদলি করা হয়েছে। সেখানে তিনি জাতিসংঘে ব্রাজিলের স্থায়ী মিশনে যোগ দেবেন। ব্রাজিলের এ পদক্ষেপের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

ইসরায়েল সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি :
গত বুধবার তুরস্কের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল একেপি পার্টির আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইসরায়েল কেবল গাজার জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবতার জন্য হুমকি। ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন না মানবে এবং আন্তর্জাতিক আইন মানার প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রই নিরাপদ নয়। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ নিজেদের কর্মীদেরও রক্ষা করতে পারছে না। তাহলে আপনি কী ধরনের পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন? গাজায় জাতিসংঘের চেতনা মরে গেছে। ইসলামি বিশ্বের কাছে আমার কিছু কথা বলার আছে, আপনারা একটি সাধারণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কীসের অপেক্ষা করছেন?