খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা হলেও গড় রোগী ভর্তি থাকে ৫শ’ এর বেশি। বাড়তি এসব রোগীরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন ওয়ার্ডের মেঝে আর বারান্দায় থেকে। ফলে ৪৯ জন চিকিৎসকের পক্ষে রোগীদের নিয়মানুযায়ী চিকিৎসাসেবা কষ্টকর হয়ে পড়ে। এ হাসপাতালে বিগত দিনে যেসব উন্নত ডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন তারা অধিকাংশই পদোন্নতি নিয়ে মেডিকেল কলেজে যোগদান করেছেন। বর্তমানে এসব চিকিৎসকরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করলেও কাজ করে থাকেন নিজেদের ইচ্ছামত।
সূত্র জানায়, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আলাদা প্রশাসন হওয়ায় তারা ইচ্ছামত কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এদের প্রতি কড়াকড়ি আরোপ করতেও পারেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা যদি হাসপাতালে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতেন তাহলে চিকিৎসক সংকট অনেকটা কাটতো।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চিকিৎসক সংকট থাকার পরও বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মানুযায়ী দায়িত্ব পালন করেন না। ফলে রোগীদের জন্য শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ায় সহকারি রেজিস্ট্রার ও মেডিকেল অফিসাররা। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একদিকে চিকিৎসক সংকট অন্যদিকে, অবহেলায় হাসপাতালটিতে নামকাওয়াস্তে চলছে সেবা। একটু জটিল রোগী ভর্তি হলেই রেফার্ড করা হয় অন্য কোন হাসপাতালে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সহকারি রেজিস্ট্রার চিকিৎসক জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সঠিকভাবে হাসপাতালে না আসার কারণে তাদের ও মাঝে মধ্যেই ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে দিশেহারা হতে হয় তাদের। তবু সবকিছু তারা নিরবে সহ্য করছেন।


























