০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের চার উপজেলার ভোটে বিজয়ী যারা

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। অন্য তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের প্রত্যেকেই ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। এই তিন উপজেলা হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ। এর মধ্যে বিতর্ক,পাল্টা বিতর্ককে সঙ্গী করে চন্দনাইশের নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। অপর দিকে স্রোতের বিপরীতে চলেও বোয়ালখালীতে বড় ধরনের জয় পেয়েছেন জাহেদুল হক। অন্যদিকে অনিয়মের নানা অভিযোগের পরও পটিয়ায় যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম বিপুল ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। গত বুধবার (২৯ মে) এই উপজেলাগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন আহমেদ। মোটর সাইকেল প্রতীকের এই প্রার্থী পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯ ভোট। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৪ হাজার ভোট। চন্দনাইশের উপজেলা পরিষদের এবারের নির্বাচনে দুই প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং অফিসে প্রতীক বরাদ্দের দিকে প্রার্থী আবু আহমদে চৌধুরীর কথিত মন্তব্য এলাকায় চা ল্যে জন্ম দেয়। নির্বাচনের তিন দিন আগে নির্বাচন কমিশন আবু আহমদ চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল করলে তিনি আদালতে আপিলের মাধ্যমে প্রর্থীতা ফিরে পান। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অসীন থাকায় কেউ সারাসরি না বললেও নিজ দলে আবু আহমদ চৌধুরীর জনপ্রিয়তা তলানিতে থাকলেও তিনি প্রার্থী হতে অনড় অবস্থানে থাকা ও বহুল প্রচারিত প্রয়োজনে ‘শত লাশ ফেলে দেবো’ মন্তব্যের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা নির্বাচনে প্রকাশ্যে ঘোড়া প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। অন্যদিকে নির্বাচনের দুই দিন আগে চট্টগ্রামের একটি আদালত প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। এই দুই ঘটনা প্রতিদ্বন্ধি শিবিরে দ্ইু প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনার খোরাকের জন্ম দেয়। অবশেষে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জসিম উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হন। অপর দিকে চন্দনাইশ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন মাওলানা সোলাইমান ফারুকী। বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ প্রতীকের রুপম দেব পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৯ ভোট। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খালেদা আকতার চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ।

 

 

 

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচনে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম। ১২৭টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৫৪১ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪২ ভোট। এ উপজেলায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ হাজার ৬১৫ ভোটারের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পটিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখনো পর্যন্ত কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকের আবু ছালেহ মুহাম্মদ শাহরিয়ার পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৫০ ভোট। বই প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ডা. এমদাদুল হাসান পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৩ ভোট। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়েছেন কলস প্রতীকের মাজেদা বেগম শিরু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রজাপতি প্রতীকের সাজেদা বেগম পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৩১ ভোট। ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিংগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হলে এই দুই পদে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ১১ হাজার ভোটের ব্যবধান গড়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহেদুল হক। হেলিকপ্টার প্রতীকের তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকের মোহাম্মদ শফিক পেয়েছেন ১৯ হাজার ১১০ ভোট। বোয়ালখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের মোহাম্মদ মীর নওশাদ। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩১০ ভোট। তালা প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সেলিম উদ্দীন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৩৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের উম্মে সালমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রজাপতি প্রতীকের শামীম আরা বেগম পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪০১ ভোট।

 

 

অন্যদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় উপজেলা চেয়াারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক (আনারস) প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে কাজী মোজাম্মেল হক (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮০৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম. এ মান্নান মান্না (চমশা) ৩১ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আবু জাফর (টিয়াপাখি) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৩৭ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চুমকি চৌধুরী (হাঁস) প্রতীকে ৪৫ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী পারভীন আক্তার (কলস) প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮২ ভোট। (ছবি আছে)

 

 

ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় লকার থেকে গায়েব হয়ে গেছে প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণালংকার। গত ২৯ মে এ ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয় ১ জুন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্বর্ণালংকারের মালিক রোকেয়া বারী। চট্টেশ্বরী সড়কের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী ২৯ মে লকার খুলে দেখতে পান, সেখানে সংরক্ষিত ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার নেই।

 

 

পরে তিনি চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জানা গেছে, গায়েব হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে- ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ), যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের অলঙ্কার, যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল, যার ওজন ১১ ভরি।

 

 

রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মো. মারজিক বলেন, ইসলামী ব্যাংকের লকারে প্রায় ১৬১ ভরি স্বর্ণ ছিল। তার মধ্যে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব হয়েছে। ১৬-১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন মা। পাশাপাশি তার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে। গত বুধবার দুপুরে তিনি কিছু স্বর্ণালংকার লকার থেকে আনতে যান। এ সময় লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লকার খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। চাবি দিয়ে লকার রুমের দরজা খোলার পর তার জন্য বরাদ্দ রাখা লকার খোলা পান। পরে তিনি বিষয়টি চকবাজার থানার ওসিকে অবহিত করেন। ওসি ব্যাংকে গিয়ে দেখতে পান লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি স্বর্ণালংকার আছে। এসব স্বর্ণ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছে। আমরা আদালতে মামলা করবো।

 

 

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, অভিযোগকারীকে মামলা দায়ের করতে বলেছি। যদি মামলা দায়ের করেন, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

চট্টগ্রামের চার উপজেলার ভোটে বিজয়ী যারা

আপডেট সময় : ০৬:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। অন্য তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের প্রত্যেকেই ১০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন। এই তিন উপজেলা হচ্ছে চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ। এর মধ্যে বিতর্ক,পাল্টা বিতর্ককে সঙ্গী করে চন্দনাইশের নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। অপর দিকে স্রোতের বিপরীতে চলেও বোয়ালখালীতে বড় ধরনের জয় পেয়েছেন জাহেদুল হক। অন্যদিকে অনিয়মের নানা অভিযোগের পরও পটিয়ায় যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম বিপুল ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। গত বুধবার (২৯ মে) এই উপজেলাগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন আহমেদ। মোটর সাইকেল প্রতীকের এই প্রার্থী পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৯ ভোট। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৪ হাজার ভোট। চন্দনাইশের উপজেলা পরিষদের এবারের নির্বাচনে দুই প্রার্থী নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং অফিসে প্রতীক বরাদ্দের দিকে প্রার্থী আবু আহমদে চৌধুরীর কথিত মন্তব্য এলাকায় চা ল্যে জন্ম দেয়। নির্বাচনের তিন দিন আগে নির্বাচন কমিশন আবু আহমদ চৌধুরীর প্রার্থীতা বাতিল করলে তিনি আদালতে আপিলের মাধ্যমে প্রর্থীতা ফিরে পান। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অসীন থাকায় কেউ সারাসরি না বললেও নিজ দলে আবু আহমদ চৌধুরীর জনপ্রিয়তা তলানিতে থাকলেও তিনি প্রার্থী হতে অনড় অবস্থানে থাকা ও বহুল প্রচারিত প্রয়োজনে ‘শত লাশ ফেলে দেবো’ মন্তব্যের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা নির্বাচনে প্রকাশ্যে ঘোড়া প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। অন্যদিকে নির্বাচনের দুই দিন আগে চট্টগ্রামের একটি আদালত প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদের উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। এই দুই ঘটনা প্রতিদ্বন্ধি শিবিরে দ্ইু প্রার্থীর বিরুদ্ধে সমালোচনার খোরাকের জন্ম দেয়। অবশেষে নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জসিম উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হন। অপর দিকে চন্দনাইশ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছেন মাওলানা সোলাইমান ফারুকী। বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উড়োজাহাজ প্রতীকের রুপম দেব পেয়েছেন ৮ হাজার ২১৯ ভোট। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খালেদা আকতার চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ।

 

 

 

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাচনে ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী দিদারুল আলম। ১২৭টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৫৪১ ভোট। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪২ ভোট। এ উপজেলায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ হাজার ৬১৫ ভোটারের একটি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পটিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখনো পর্যন্ত কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উড়োজাহাজ প্রতীকের আবু ছালেহ মুহাম্মদ শাহরিয়ার পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৫০ ভোট। বই প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ডা. এমদাদুল হাসান পেয়েছেন ২৩ হাজার ৭৩ ভোট। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ হাজার ৮৯৪ ভোট পেয়েছেন কলস প্রতীকের মাজেদা বেগম শিরু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রজাপতি প্রতীকের সাজেদা বেগম পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৩১ ভোট। ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব পিংগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়া কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হলে এই দুই পদে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ১১ হাজার ভোটের ব্যবধান গড়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাহেদুল হক। হেলিকপ্টার প্রতীকের তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকের মোহাম্মদ শফিক পেয়েছেন ১৯ হাজার ১১০ ভোট। বোয়ালখালী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন টিউবওয়েল প্রতীকের মোহাম্মদ মীর নওশাদ। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩১০ ভোট। তালা প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী সেলিম উদ্দীন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৩৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফুটবল প্রতীকের উম্মে সালমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রজাপতি প্রতীকের শামীম আরা বেগম পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪০১ ভোট।

 

 

অন্যদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় উপজেলা চেয়াারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল হক (আনারস) প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে কাজী মোজাম্মেল হক (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮০৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম. এ মান্নান মান্না (চমশা) ৩১ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আবু জাফর (টিয়াপাখি) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৩৭ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চুমকি চৌধুরী (হাঁস) প্রতীকে ৪৫ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী পারভীন আক্তার (কলস) প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৮২ ভোট। (ছবি আছে)

 

 

ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় লকার থেকে গায়েব হয়ে গেছে প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণালংকার। গত ২৯ মে এ ঘটনা ঘটলেও তা জানাজানি হয় ১ জুন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্বর্ণালংকারের মালিক রোকেয়া বারী। চট্টেশ্বরী সড়কের বিটিআই বেভারলী হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী ২৯ মে লকার খুলে দেখতে পান, সেখানে সংরক্ষিত ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার নেই।

 

 

পরে তিনি চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। জানা গেছে, গায়েব হওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে- ৪০ পিস হাতের চুরি (বড় সাইজ), যার ওজন ৬০ ভরি। গলা ও কানের অলঙ্কার, যার ওজন ২৫ ভরি। ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন। ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি। ৩০ জোড়া কানের দুল, যার ওজন ১১ ভরি।

 

 

রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মো. মারজিক বলেন, ইসলামী ব্যাংকের লকারে প্রায় ১৬১ ভরি স্বর্ণ ছিল। তার মধ্যে ১৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব হয়েছে। ১৬-১৭ বছর ধরে চকবাজারের ইসলামী ব্যাংকের একটি লকার ব্যবহার করে আসছেন মা। পাশাপাশি তার নামে একটি অ্যাকাউন্টও রয়েছে। গত বুধবার দুপুরে তিনি কিছু স্বর্ণালংকার লকার থেকে আনতে যান। এ সময় লকারের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লকার খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান। চাবি দিয়ে লকার রুমের দরজা খোলার পর তার জন্য বরাদ্দ রাখা লকার খোলা পান। পরে তিনি বিষয়টি চকবাজার থানার ওসিকে অবহিত করেন। ওসি ব্যাংকে গিয়ে দেখতে পান লকারে মাত্র ১০-১১ ভরি স্বর্ণালংকার আছে। এসব স্বর্ণ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই সরিয়ে ফেলেছে। আমরা আদালতে মামলা করবো।

 

 

চকবাজার থানার ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, অভিযোগকারীকে মামলা দায়ের করতে বলেছি। যদি মামলা দায়ের করেন, আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ম্যানেজার শফিকুল মওলা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।