০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধবদীতে সেতুর পাইলিং; ঝুঁকিতে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়

নরসিংদীর মাধবদীতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মানাধীন সেতুর পাইলিং এর জন্য গর্তের ফলে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই তলা ও তিন তলা ভবন ধসের মুখে পড়েছে।

 

এনিয়ে শংকার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে স্কুলের মূল ভবন। কয়েক বছর পূর্বে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজের সময় বিদ্যালয় সংলগ্ন নুরালাপুর ও গদাইরচর গ্রামের মধ্যে সংযোগ সেতুটির পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ধসে যায়। পরে কয়েক দফায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন না করেই চলে যায়।

 

সর্বশেষ গত বছর পুনরায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেতু সংলগ্ন স্কুলের টিনসেড বিল্ডিংটি ভেঙ্গে দিতে বলে। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেতুর কাজ করার কথা জানায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক্রমে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্তে স্কুলের টিনসেড বিল্ডিং ভাঙ্গার অনুমতি দেয়া হয়। পরে সেখানে সেতুর পাইলিংয়ের কাজে গর্ত করে সেতু নির্মান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ করেই  বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিও কাজ ফেলে চলে গেছে। এমতবস্থায় গত কয়েকদিন পূর্বের বৃষ্টিতে স্কুলের বিদ্যালয়টির মূল ভবনের ফাউন্ডেশনের পিলারের নিচ থেকে মাটি ধসে গিয়ে নদীতে পরে যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোন সময় ভবনটি হেলে পরতে পারে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে ভবনটি ভেঙে নদীতে পরে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফেরদৌস কামাল সবুজ বাংলাকে জানান, প্রথম যখন সেতুটি ভেঙ্গে পরে তখন সেতুর কাজ করার সময় স্কুলের টিনসেড বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে তৎকালীন চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম ফয়সাল গাছের গুড়ি দিয়ে ভাঙন ঠেকান। কিছুদিন পর অজ্ঞাত কারণে সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ রেখে চলে যায়। এখন আবার যখন নতুন করে কাজ করতে আসে তখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেবসহ স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করবেন বলে জানান। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অরক্ষিতভাবে পাইলিংয়ের জন্য টিনসেড বিল্ডিং ভেঙে গর্ত করে। কিন্তু বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও কাজ রেখে চলে যায়। গত রেমালের ঝড়-বৃষ্টির সময় টিনসেড বিল্ডিং ধসে দুইতলা বিল্ডিং পর্যন্ত মাটি সরে গেছে। বর্তমানে দুই তলা বিল্ডিংটি ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আইনুল হক জানান- সেতু নির্মানের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসলে আমরা স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে সেতুর কাজ করতে বলি। পরে বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন সেতুর কাজ শেষে নিজে স্কুলের টিনসেড বিল্ডিংটি করে দিবেন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবেন বলেন। এখন আবারও সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যেহেতু বৃষ্টির মৌসুম যেকোন সময় স্কুলের দুইতলা ভবনটি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

বিষয়টি জানতে চেয়ে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেনকে মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি সম্পর্কে  জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরিনের মুঠোফোনে কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবদীতে সেতুর পাইলিং; ঝুঁকিতে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়

আপডেট সময় : ০৫:৩০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

নরসিংদীর মাধবদীতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মানাধীন সেতুর পাইলিং এর জন্য গর্তের ফলে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই তলা ও তিন তলা ভবন ধসের মুখে পড়েছে।

 

এনিয়ে শংকার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদী গর্ভে বিলিন হতে পারে স্কুলের মূল ভবন। কয়েক বছর পূর্বে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজের সময় বিদ্যালয় সংলগ্ন নুরালাপুর ও গদাইরচর গ্রামের মধ্যে সংযোগ সেতুটির পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ধসে যায়। পরে কয়েক দফায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পন্ন না করেই চলে যায়।

 

সর্বশেষ গত বছর পুনরায় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেতু সংলগ্ন স্কুলের টিনসেড বিল্ডিংটি ভেঙ্গে দিতে বলে। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সেতুর কাজ করার কথা জানায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক্রমে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্তে স্কুলের টিনসেড বিল্ডিং ভাঙ্গার অনুমতি দেয়া হয়। পরে সেখানে সেতুর পাইলিংয়ের কাজে গর্ত করে সেতু নির্মান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ করেই  বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিও কাজ ফেলে চলে গেছে। এমতবস্থায় গত কয়েকদিন পূর্বের বৃষ্টিতে স্কুলের বিদ্যালয়টির মূল ভবনের ফাউন্ডেশনের পিলারের নিচ থেকে মাটি ধসে গিয়ে নদীতে পরে যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোন সময় ভবনটি হেলে পরতে পারে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে ভবনটি ভেঙে নদীতে পরে যেতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফেরদৌস কামাল সবুজ বাংলাকে জানান, প্রথম যখন সেতুটি ভেঙ্গে পরে তখন সেতুর কাজ করার সময় স্কুলের টিনসেড বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরে তৎকালীন চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম ফয়সাল গাছের গুড়ি দিয়ে ভাঙন ঠেকান। কিছুদিন পর অজ্ঞাত কারণে সেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ রেখে চলে যায়। এখন আবার যখন নতুন করে কাজ করতে আসে তখন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বর্তমান চেয়ারম্যান সাহেবসহ স্কুলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করবেন বলে জানান। সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অরক্ষিতভাবে পাইলিংয়ের জন্য টিনসেড বিল্ডিং ভেঙে গর্ত করে। কিন্তু বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও কাজ রেখে চলে যায়। গত রেমালের ঝড়-বৃষ্টির সময় টিনসেড বিল্ডিং ধসে দুইতলা বিল্ডিং পর্যন্ত মাটি সরে গেছে। বর্তমানে দুই তলা বিল্ডিংটি ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আইনুল হক জানান- সেতু নির্মানের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আসলে আমরা স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে সেতুর কাজ করতে বলি। পরে বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন সেতুর কাজ শেষে নিজে স্কুলের টিনসেড বিল্ডিংটি করে দিবেন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করবেন বলেন। এখন আবারও সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যেহেতু বৃষ্টির মৌসুম যেকোন সময় স্কুলের দুইতলা ভবনটি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

বিষয়টি জানতে চেয়ে নুরালাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মোঃ আরিফ হোসেনকে মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি সম্পর্কে  জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরিনের মুঠোফোনে কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি।