আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার বেনজীর-আজিজ তৈরি করেছে আর তারা গোটা দেশটাকে গিলে খাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৪ জুন) চট্টগ্রামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম ‘শাহাদাতবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম নগরীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি) ‘চট্টগ্রাম ফোরামের ব্যানারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তিনি জায়গা-জমি কেনেননি। হিন্দুদের জায়গা দখল করেছেন। সরকার তাকে বাঁচাতে গোপনে পাচার করে দিয়েছে। দুর্নীতির কারণে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর। আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার বেনজীর-আজিজ তৈরি করেছে আর তারা গোটা দেশটাকে গিলে খাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী যখন আক্রমণ করল, সবাই পালিয়ে ছিলেন। সেই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বেতার থেকে মেজর জিয়া বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা ঘোষণা করছি’ -যা স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশে। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের এত বিরোধিতা করে; কিন্তু পাসপোর্ট থেকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বাদ দিতে পারেনি। তারা জিয়াউর রহমানকে ছোট করে দেখাতে চায় এবং তার নাম মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু ইতিহাস জিয়াকে ধারণ করেছে। তাকে চাইলেই তাকে মুছে ফেলা যায় না। বাংলাদেশে যা কিছু সুন্দর এবং সম্ভাবনাময় সবকিছুই চালু করেছিলেন জিয়া।’
তিনি বলেন, ‘জিয়া মুক্তবাজার অর্থনীতি চালু করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে লুটের-চুরির রাজত্ব তৈরি করেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ ধর্ম সম্পাদক দিপেন দেওয়ান, সহ উপজাতি সম্পাদক কর্নেল মনিষ দেওয়ান, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এনামুল হক, এড. মফিজুল হক ভুঁইয়া, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড, নসরুল কদির, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, এমদাদুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

























