১২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গুড়ায় বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি, এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদন্ড

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট থেকে ভেকু (এস্কেভেটর) দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগে দুলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত মাটি ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার সাভার গ্রামের বাসিন্দা। এসময় মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ির তিন চালককে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এরা হলেন, আব্দুল্লাহ প্রামানিক, রুহুল আমিন ও রিপন কুমার হলদার।
বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশের একটি দল তাকে সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট হতে প্রায় মাস খানেক ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিলেন কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী। বাঁধের এসব মাটি তারা বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিলেন। অনেক গভীর করে সেখান থেকে মাটি কাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ে।
বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তারা সেখান থেকে মাটি না কাটার নির্দেশ দেন। এতে কয়েকদিন মাটি কাটা বন্ধ রাখলেও পুনরায় ভেকু দিয়ে সেখান থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন তারা।
এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহারের নির্দেশে বুধবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী’র নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা  হয়।
সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ প্রামানিককে ২ হাজার, রুহুল আমিনকে ৫ হাজার ও রিপন কুমার হলদারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ (খ) ধারা লঙ্ঘন করায় উক্ত আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দন্ডিত ব্যক্তিকে পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

ভাঙ্গুড়ায় বাঁধের মাটি কেটে বিক্রি, এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০৮:০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট থেকে ভেকু (এস্কেভেটর) দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগে দুলাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্ডপ্রাপ্ত মাটি ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী ফরিদপুর উপজেলার সাভার গ্রামের বাসিন্দা। এসময় মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ির তিন চালককে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এরা হলেন, আব্দুল্লাহ প্রামানিক, রুহুল আমিন ও রিপন কুমার হলদার।
বুধবার (৫ জুন) রাতে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় ভাঙ্গুড়া থানা-পুলিশের একটি দল তাকে সহযোগিতা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়া পাড়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বরোপিট হতে প্রায় মাস খানেক ধরে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিলেন কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ী। বাঁধের এসব মাটি তারা বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিলেন। অনেক গভীর করে সেখান থেকে মাটি কাটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ে।
বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তারা সেখান থেকে মাটি না কাটার নির্দেশ দেন। এতে কয়েকদিন মাটি কাটা বন্ধ রাখলেও পুনরায় ভেকু দিয়ে সেখান থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু করেন তারা।
এ অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহারের নির্দেশে বুধবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী’র নেতৃত্বে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা  হয়।
সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মাটি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ প্রামানিককে ২ হাজার, রুহুল আমিনকে ৫ হাজার ও রিপন কুমার হলদারকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী বলেন, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ (খ) ধারা লঙ্ঘন করায় উক্ত আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী এক ব্যক্তিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দন্ডিত ব্যক্তিকে পুলিশের সহযোগিতায় পাবনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।