১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে কৃষি খাতের বরাদ্দ

➤কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা
➤উপকূলীয় এলাকায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম চলমান
➤খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা আগামী অর্থবছরে তা ২৯ লাখ টনে উন্নীত করা হবে
➤৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস চাল বিতরণ

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজাটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রয়েছে এবং তা অদূর ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। সারে ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় উন্নয়ন সহায়তার আওতায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম চলমান আছে।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা দিতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সমগ্র বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের প্রায় ১ কোটি পরিবারের নিকট টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। খাদ্যের অপচয় রোধে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা ২১.৮৬ লাখ মে.টনে উন্নীত করা হয়েছে এবং আগামী অর্থবছরে তা ২৯ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

 

সরকারের পদক্ষেপের কারণে ফসলের উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন ছিল ৩২৮ দশমিক ৯৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়ে ৪৬৭ দশমিক ০৩ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ভুট্টা উৎপাদন ৭৮০ শতাংশ, আলু উৎপাদন ৯৮ শতাংশ ও সবজি উৎপাদন ৬৭৫ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি খাতের এ উৎপাদন-বিপ্লবের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে চাল, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বেড়েছে কৃষি খাতের বরাদ্দ

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

➤কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা
➤উপকূলীয় এলাকায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম চলমান
➤খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা আগামী অর্থবছরে তা ২৯ লাখ টনে উন্নীত করা হবে
➤৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস চাল বিতরণ

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজাটে কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে ভর্তুকি দেওয়া অব্যাহত রয়েছে এবং তা অদূর ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। সারে ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যান্ত্রিকীকরণকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ২০১০ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ১ লাখ ৩৩ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় উন্নয়ন সহায়তার আওতায় ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের কার্যক্রম চলমান আছে।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা এবং নিম্ন আয়ের মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সুরক্ষা দিতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের ৫০ লাখ পরিবারকে বছরে কর্মাভাবকালীন ৫ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সমগ্র বাংলাদেশে নিম্ন আয়ের প্রায় ১ কোটি পরিবারের নিকট টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। খাদ্যের অপচয় রোধে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা ২১.৮৬ লাখ মে.টনে উন্নীত করা হয়েছে এবং আগামী অর্থবছরে তা ২৯ লাখ টনে উন্নীত করা হবে।

 

সরকারের পদক্ষেপের কারণে ফসলের উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদন ছিল ৩২৮ দশমিক ৯৬ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়ে ৪৬৭ দশমিক ০৩ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ভুট্টা উৎপাদন ৭৮০ শতাংশ, আলু উৎপাদন ৯৮ শতাংশ ও সবজি উৎপাদন ৬৭৫ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি খাতের এ উৎপাদন-বিপ্লবের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশ্বে চাল, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।