০৯:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজেটে সংস্কৃতির বরাদ্দে হতাশা

প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৭৭৯ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে তা শূন্য দশমিক ১০। সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের এ বরাদ্দ অত্যন্ত কম বলছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব আছে। ফলে অর্থের সঠিক ব্যবহার হয় না।

 

 

তবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, পরিকল্পনা সম্মিলিতভাবেই করা হয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে অর্থের সঠিক ব্যবহার না হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ (৬৯৯ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল সংস্কৃতি খাতে। আগের দুই বাজেটেও বরাদ্দের হারে একই ধারাবাহিকতা ছিল। গত ১৫ বছরের মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ দশমিক ১৬ শতাংশ। তখনকার বাজেটের অনুপাতে টাকার পরিমাণ ছিল ২১৪ কোটি।

 

কয়েক বছর ধরে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। নতুন অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে এখন তারা একই দাবি জানাচ্ছেন। দেশের সংস্কৃতিচর্চা শিল্পকলা একাডেমির সীমানার মধ্যে আটকা পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সেখানে সাধারণ মানুষ নিজেদের সংযুক্ত করতে পারে না।

 

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহ্কাম উল্লাহ্ এক বিবৃতিতে সদ্য ঘোষিত বাজেটে সংস্কৃতির অপ্রতুল বরাদ্দে হতাশা প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহারে ঘুষ-দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে প্রত্যয়ের কথা আওয়ামী লীগ বলেছিলÑ ঘোষিত বাজেটে সে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নীতি-আদর্শ-নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন আধুনিক প্রগতিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ গড়ার কোনো পরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়। সংস্কৃতিকে অবহেলা করে কখনো মননশীল জাতি গড়ে তোলা যায় না। তৃণমূল থেকে রাজধানী পর্যন্ত একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ গড়ে তোলার জন্য সদিচ্ছার পাশাপাশি অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তন ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, প্রত্যেক জেলা শহর ও রাজধানীতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন মিলনায়তন ও মহড়া কক্ষ নির্মাণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুকলার স্থায়ী প্রশিক্ষক নিয়োগ এবং অসচ্ছল শিল্পীদের বাস্তবসম্মত সম্মানী প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়ও এ সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই। স্বভাবতই এ বাজেট সংস্কৃতিকর্মীদের হতাশ করেছে। উপস্থাপিত বাজেট পাস হবার পূর্বেই উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনার দাবি জানানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচার না হওয়া পর্যন্ত, আমরা রাজপথ ছাড়ব না: জুমা

বাজেটে সংস্কৃতির বরাদ্দে হতাশা

আপডেট সময় : ০৬:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৭৭৯ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে তা শূন্য দশমিক ১০। সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের এ বরাদ্দ অত্যন্ত কম বলছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ, বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব আছে। ফলে অর্থের সঠিক ব্যবহার হয় না।

 

 

তবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, পরিকল্পনা সম্মিলিতভাবেই করা হয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে অর্থের সঠিক ব্যবহার না হওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ (৬৯৯ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল সংস্কৃতি খাতে। আগের দুই বাজেটেও বরাদ্দের হারে একই ধারাবাহিকতা ছিল। গত ১৫ বছরের মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ দশমিক ১৬ শতাংশ। তখনকার বাজেটের অনুপাতে টাকার পরিমাণ ছিল ২১৪ কোটি।

 

কয়েক বছর ধরে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। নতুন অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে এখন তারা একই দাবি জানাচ্ছেন। দেশের সংস্কৃতিচর্চা শিল্পকলা একাডেমির সীমানার মধ্যে আটকা পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সেখানে সাধারণ মানুষ নিজেদের সংযুক্ত করতে পারে না।

 

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তিশিল্পী মো. আহ্কাম উল্লাহ্ এক বিবৃতিতে সদ্য ঘোষিত বাজেটে সংস্কৃতির অপ্রতুল বরাদ্দে হতাশা প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহারে ঘুষ-দুর্নীতি-সাম্প্রদায়িকতামুক্ত আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে প্রত্যয়ের কথা আওয়ামী লীগ বলেছিলÑ ঘোষিত বাজেটে সে কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য নীতি-আদর্শ-নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন আধুনিক প্রগতিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ গড়ার কোনো পরিকল্পনা দৃশ্যমান নয়। সংস্কৃতিকে অবহেলা করে কখনো মননশীল জাতি গড়ে তোলা যায় না। তৃণমূল থেকে রাজধানী পর্যন্ত একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ গড়ে তোলার জন্য সদিচ্ছার পাশাপাশি অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তন ও মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, প্রত্যেক জেলা শহর ও রাজধানীতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন মিলনায়তন ও মহড়া কক্ষ নির্মাণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নাটক, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও চারুকলার স্থায়ী প্রশিক্ষক নিয়োগ এবং অসচ্ছল শিল্পীদের বাস্তবসম্মত সম্মানী প্রদানের দাবি জানিয়ে আসছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায়ও এ সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদী কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই। স্বভাবতই এ বাজেট সংস্কৃতিকর্মীদের হতাশ করেছে। উপস্থাপিত বাজেট পাস হবার পূর্বেই উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনার দাবি জানানো হয়।