সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিবাদমান একটি জমি থেকে পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের আন্দ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৯৯৯ লাইনে ফোন করার পর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে ধান কাটা বন্ধ করে ধানগুলো জমিতেই রেখে চলে যায় প্রতিপক্ষরা।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান জুয়েল জানান, আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আন্দ্রা এলাকায় ১৯৯১ সালে ক্রয় সূত্রে পাওয়া ৪১ শতক জমি ৩২ বছর যাবৎ খাজনা খারিজ দিয়ে আমরা তা ভোটদখল করে আসছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আহসান হাবীব সোহেলসহ ৪/৭ জন ব্যক্তি আমাদের জমি বে দখল করার চেষ্টা করছে।
তারা রাতের আধারে জমিতে ধান রোপন করে তা জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের জমির খারিজ বাতিলসহ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর মিসকেস করে প্রতিপক্ষরা। কিন্তু নামজারির ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার কথা থাকলেও প্রতিপক্ষরা ১২/১৩ বছর পর আপিল আবেদন করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পূর্বের নামজারিটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, হঠাৎ করেই শুক্রবার সকালে প্রতিপক্ষরা লোকজন নিয়ে তাদের জমি থেকে ধান কেটে নিতে শুরু করে। পরে ৯৯৯ লাইনে ফোন দেওয়ার পর পুলিশের তৎপরতাই ধান কাটা বন্ধ করে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ব্যবস্থার দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে আহসান হাবীব সোহেল বলেন, আমরা জমিতে ধান রোপন করেছিলাম আবার আমরাদের লোকজন আমাদের রোপন করা ধান কাটতে গিয়েছি। থানা পুলিশ ফোন করার পর সাথে সাথে ধান কাটা বন্ধসহ আমাদের লোকজন সেখান থেকে চলে যায়।জমিটির বিষয় নিয়ে একাধিকবার বসার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হলেও তারা মূলত বসে নাই। তিনি আরো বলেন, কাজ যার জমি তার। তাদের কাগজ ঠিক থাকলে তারা জমি পাবে আর আমাদের কাগজ ঠিক থাকলে আমরা জমি পাবো।
রায়গঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশীদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাটা ধানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, আহসান হাবীব সোহেল পক্ষরাই মূলত ধান রোপন করেছিল আবার তারাই ধান কাটতে গিয়েছে। জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের থাকার কারণে ঘটনা স্থল থানা পুলিশ পরিদর্শন করে ধান কাটা বন্ধ করে দিয়েছে।
























