মনোহরদী(নরসিংদী) প্রতিনিধি
মনোহরদীতে রেলিংবিহীন সংকীর্ন একটি সেতুপথে ঝুকিপূর্ণ চলাচল অব্যহত রয়েছে অনেকদিন।ফলে যে কোন সময় এখানে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে ষোলআনা।তথাপি অনন্যোপায় এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়েই এ সেতুপথ পেরোতে বাধ্য হচ্ছেন প্রতিদিন।
মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর খালপাড়-চরগোহালবাড়ীয়া সংযোগ সেতুটি মাত্র ৬ ফুট প্রশস্থতা বিশিষ্ট। এ সংকীর্ন সেতুটির আবার নেই কোন রেলিং।ভেঙ্গে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে তা বহুদিন। ফলে এ সেতুপথটি দিয়ে চলাচল এখন এক বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে গিয়ে ঠেকেছে। এলাকাবাসী জানান,প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগে সেতুটি নির্মিত হয়।বর্তমানে এর অধিকাংশ পিলারের অবস্থাই জরাজীর্ণ ও ভাঙ্গাচোরা। আর এ পথ দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে সাইকেল,হোন্ডা অটোরিকশা ও সিএনজির মতো যানবাহন। সেতুটির সংকীর্নতার কারনে দুটো হালকা যানবাহনও একসাথে পাশাপাশি পেরোতে পারছে না।তদুপরি সেতুটির ভাঙ্গা রেলিঙ,জরাজীর্ণ পিলারের কারনে যে কোন সময় এটি জানমালের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাতে পারে বলে আশন্কা করা হচ্ছে।এ ছাড়া প্রতিদিন এ পথে দুটি গ্রামের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়,নজমুন্নেসা বালিকা বিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,
কৃষ্ণপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট,বড়চাপা ও নেয়ানগর কলেজসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহু শিক্ষার্থী এ সেতুপথটি ব্যবহার করে চলাচল করে থাকে প্রতিদিন। সেতুটির সংস্কার অথবা পুনঃ নির্মানের দাবী শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। কৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম আকন্দ জানান,সেতু পথটি আসলেই বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।এ বিষয়ে তিনি সর্বোচ্চ তৎপরতা অব্যহত রেখেছেন তবু কেন যেন তার কিছু হচ্ছে না।এ ব্যাপারে মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন তিনি এবং দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চেষ্টা করবেন তিনি।























