০২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বারহাট্টায় রহস্যজনক গৃহবধূ মৃত্যু

নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলা চিরাম  নৈহাটি গ্রামে  গৃহবধূর( ২০) রহস্যজনক মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে।চিরাম  ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নৈহাটি  গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শশুরবাড়ীর লোকজন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার কথা বললেও নিহতের স্বজনদের দাবী  তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাকীর মিয়া পিতা কাসেম মিয়া ছেলে  একই গ্রামের বাসিন্দা   নিহতের নাম  সামিয়া  আক্তার(২০ ),পিতা স্বাধীন মিয়া ।নিহতের মা  বলেন, গত ১ বছর  আগে  বাকীর এবং আমার মেয়ের  সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে   পরে মেয়ের বিয়ে দিলেও টাকা পয়সার অভাবে মেয়ের  জামাইকে তেমন কিছু দিতে পারেননি। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন  প্রায় সময় আমার মেয়েকে মানসিকভাবে অত্যাচার করতো। প্রেমের সম্পর্ক বিয়েকে  ওরা মেনে নিতে পারে নাই।  কিছুদিন পর পর আমার মেয়ের সঙ্গে জামাই সম্পর্ক দূরত্ব বেড়ে যায়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার  (২০ জুন   ) বিকাল  প্রায় ৫ টার দিকে খবর পান তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে আশা হয়েছে। হাসপাতালে এসে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান।
মা দাবী করেন,  মেয়ের জামাই এবং শশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়েকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। লাশের বিষয়  বারহাট্টা  থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) লিমন হোসেন জানান, লাশের গলায় ফাঁসির দাগ ব্যাতিত শরীরের অন্য কোন জায়গায় কোন ধরনের নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বারহাট্টা  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  তিনি বলেন  গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক  ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা   হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ পাঠানো হচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর যথাযথ কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হবে।নিহতের স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ এখনো পর্যন্ত লিখিত কোন ধরনের অভিযোগ দেয়নি, এ ঘটনা নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

বারহাট্টায় রহস্যজনক গৃহবধূ মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৫:৩৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলা চিরাম  নৈহাটি গ্রামে  গৃহবধূর( ২০) রহস্যজনক মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে।চিরাম  ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নৈহাটি  গ্রামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শশুরবাড়ীর লোকজন ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার কথা বললেও নিহতের স্বজনদের দাবী  তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাকীর মিয়া পিতা কাসেম মিয়া ছেলে  একই গ্রামের বাসিন্দা   নিহতের নাম  সামিয়া  আক্তার(২০ ),পিতা স্বাধীন মিয়া ।নিহতের মা  বলেন, গত ১ বছর  আগে  বাকীর এবং আমার মেয়ের  সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে   পরে মেয়ের বিয়ে দিলেও টাকা পয়সার অভাবে মেয়ের  জামাইকে তেমন কিছু দিতে পারেননি। কিন্তু মেয়ের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন  প্রায় সময় আমার মেয়েকে মানসিকভাবে অত্যাচার করতো। প্রেমের সম্পর্ক বিয়েকে  ওরা মেনে নিতে পারে নাই।  কিছুদিন পর পর আমার মেয়ের সঙ্গে জামাই সম্পর্ক দূরত্ব বেড়ে যায়।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার  (২০ জুন   ) বিকাল  প্রায় ৫ টার দিকে খবর পান তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে আশা হয়েছে। হাসপাতালে এসে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পান।
মা দাবী করেন,  মেয়ের জামাই এবং শশুরবাড়ির লোকজন তাঁর মেয়েকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। লাশের বিষয়  বারহাট্টা  থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) লিমন হোসেন জানান, লাশের গলায় ফাঁসির দাগ ব্যাতিত শরীরের অন্য কোন জায়গায় কোন ধরনের নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বারহাট্টা  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  তিনি বলেন  গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক  ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা   হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহ পাঠানো হচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর যথাযথ কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হবে।নিহতের স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ এখনো পর্যন্ত লিখিত কোন ধরনের অভিযোগ দেয়নি, এ ঘটনা নিয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।