❖ শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ালেন একজন
❖ ‘সংস্কারপন্থী’ প্রার্থী বাছাইয়ের আহ্বান হাসান রুহানির
গত মাসে ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি বাছাইয়ে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে শেষ মুহূর্তে গত বুধবার ছয় প্রার্থীর একজন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজিজাদেহ হাশেমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এবার এই পদে প্রার্থী হওয়া ছয়জনের পাঁচজনই রক্ষণশীল, একজন সংস্কারপন্থী। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর আজ অনেকটা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে যাচ্ছেন ইরানের জনগণ। ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউ এই নির্বাচনে জয় পাবেন। এ নির্বাচনের ফল খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করবে। খামেনির বর্তমান বয়স ৮৫ বছর। ধারণা করা হচ্ছে, যিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট হবেন, তিনি পরবর্তী সময়ে খামেনির উত্তরসূরি নির্বাচনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকবেন। এবারের নির্বাচনের আগে খামেনি তাই প্রার্থী হিসেবে তার রক্ষণশীল ধারণা পোষণ করে এমন ব্যক্তিদের আধিপত্য নিশ্চিত করেছেন। খামেনির পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো জনসম্মুখে কোনো প্রার্থীকে সমর্থনের কথা জানানো হয়নি। তবে গত মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তৃতায় খামেনি বলেন, ‘যিনি মনে করেন আমেরিকার আনুকূল্য ছাড়া কিছুই করা যাবে না, তিনি দেশটা ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।
এদিকে ‘সংস্কারপন্থী’ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি মনে করেন হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির স্থলাভিষিক্ত যোগ্য প্রার্থী সেই হবেন যিনি আগামী দিনে ইরানের নানাদিকের সংস্কারে মনোনিবেশ করবেন। তিনি বলেছেন, ইরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার যে অপছায়া রয়েছে তা অপসারণে মাসুদ পেজেশকিয়ান কাজ করতে পারে। পশ্চিমাদের ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটাই অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। রুহানি মাসউদ পেজেশকিয়ানের সততা এবং আনুগত্যের প্রশংসা করেন।
ইরান যেভাবে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে তাতে বিশ্লেষকদের ধারণা শুধু নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে পেজেশকিয়ানকে অনুমোদন করেছে গার্ডিয়ান কাউন্সিল। কারণ ইরানে রক্ষণশীল নেতৃত্ব ক্ষমতায় থাকলেও দেশটির সাধারণের মধ্যে ‘সংস্কারপন্থী’ নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি বলে ধারণ করেন বিশ্লেষকরা। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আরও রয়েছেন, তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি, ধর্মীয় নেতা মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি এবং শহীদ ফাউন্ডেশনের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেন গাজিজাদেহ-হাশেমি।


























