➤ চার শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত
➤ ইউক্রেনের ৩৬ ড্রোন ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে সিরিজ হামলা চালিয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। এতে চার শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। গতকাল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গত শনিবার সতর্ক করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেস্কি বলেছিলেন, ভিলনিয়ান্সক গ্রামে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শনিবার সাতজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন শিশু রয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইগোর ক্লিমেঙ্কো বলেছেন, জাপোরিঝঝিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ভিলনিয়ান্সক অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। গভর্নর ইভান ফেদোরভ বলেছেন, দিনের আলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে- যেখানে লোকেরা সপ্তাহান্তে তাদের অবসর সময় কাটাচ্ছিলেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮৫৭ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের ৩৬টি ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল শনিবার রাতভর এসব ড্রোন হামলা হয়। দেশটির আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ওই ড্রোনগুলো ধ্বংস করেছে বলে জানানো হয়েছে। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামের এক পোস্টে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কুরস্ক অঞ্চলে ১৫টি, লিপেৎস্ক অঞ্চলে ৯টি, ভোরোনেঝ ও ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে চারটি করে এবং ওরিওল ও বেলগোরোদ অঞ্চলে দুইটি করে ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সি মিরনভ বলেন, সারা দিন সেখানকার একটি গ্রামে ইউক্রেনের বাহিনী গোলা হামলা চালিয়েছে। তার আগের রাতে ড্রোন হামলায় গ্রামের পাঁচজন নিহত হন। তাদের মধ্যে দুজন শিশু। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই হামলা নিয়ে নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জঞ্জাল ও ধসে পড়া ইটপাথরের স্তূপের মধ্যে একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। ইউক্রেন বাহিনী দিনভর সীমান্তঘেঁষা রাশিয়ার আটটি গ্রামে গোলা হামলা চালিয়েছে। এ সময় একটি গ্রামের দুজন বাসিন্দা আহত হয়েছেন।

























