০৬:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আ.লীগের কার্যক্রম-২

তৃণমূল সংকট কাটছে না আ.লীগের

❖ ৫ মাসে ২৮ খুন, জুনে ২০টি ঘটনায় আহত ১৮৫
❖ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও শৃঙ্খলা ফিরছে না
❖ সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে -মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সমমনাদের নির্বাচন বর্জনের মুখে উন্মুক্ত নির্বাচনের কৌশল বেছে নেয় ক্ষমতাসীন দলটি। ভোটের মাঠে অঘোষিতভাবে লড়াই হয় আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে দলের এমন কৌশলে মেলে সফলতাও। নির্বাচনে প্রায় ৬০ জন আওয়ামী লীগের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীতা করে জয় লাভ করেন। তবে নির্বাচনের আগে প্রচারণা পর্ব থেকেই বৃদ্ধি পায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। নির্বাচনের পরেও তার রেশ রয়ে যায়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২৮৯টি রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছে। এসব সংঘাতে ২৭ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৭১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত হয়েছে ৩১টি। এসব ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন, আহত হয়েছেন দলটির (আওয়ামী লীগ) ২৬৯ নেতা-কর্মী। তবে দেশের বাইরে নিহত হওয়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হিসাবের মধ্যে ধরেনি। তাকে ধরলে আওয়ামী লীগের নিহতের সংখ্যা পাঁচ মাসে ২৮ জন।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয় তৃণমূলের সংকট কাটিয়ে উঠতে। খোদ দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভেদ ভুলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতে গণভবনে বর্ধিত সভায় অংশ নেন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতারা, ছিলেন দলীয় সংসদ সদস্যরা, পাশাপাশি দলের সমর্থক স্বতন্ত্র এমপিরাও। প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘর্ষ চাই না। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে যেই হোক না কেন। নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দলে অনেক মন কষাকষি হয়েছে। যেটা হয়েছে ভুলে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যদি সমস্যা দেখা দেয়, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি আছি। দেখব। নিজেরা সংঘাত করা যাবে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কেটে গেছে পাঁচ মাস। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সহিংসতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের রেশ পরে উপজেলা ভোটেও। অধিকাংশ স্থানে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। আধিপত্য ধরে রাখতে বর্তমান এমপি ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হানাহানি হয়েই চলেছে। উপজেলা নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগেরে তৃণমূলে এই দ্বন্দ্ব সংঘাত আরো বাড়ছে। আর এই সংঘাতে আয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, জেলা ও তৃণমূলের নেতারা হত্যার শিকার হয়েছেন। সবশেষ জুন মাসে নির্বাচনকে ঘিরে ৪৭টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) জুন মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জুন মাসে পরিলক্ষিত না হলেও সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের কোন্দলের ২০টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৪ জন নিহত ও ১৮৫ জন আহত হয়েছেন।

গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের দলিল লেখকদের অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ ও সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের মনোনীত দলিল লেখক সমিতির কমিটি বিলুপ্তের দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। একই সময়ে সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে পৌরভবনের সামনে থেকে অন্য পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে যাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আহত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। পরে গত ২৬ জুন আশরাফুল ইসলাম বাবুল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জে, ঝিনাইদহের, রাজবাড়ী, চট্টগ্রামে, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জে সংঘাতে জড়িয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যাহ বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলে গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা কোন্দল দেখা দিয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাচনেও তার কিছুটা রেশ পড়েছে। তবে এর সমাধানে চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের কোন্দল নিরসনে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করছেন যাতে তৃণমূলের দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কোন্দল নিরসন করা যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

আ.লীগের কার্যক্রম-২

তৃণমূল সংকট কাটছে না আ.লীগের

আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

❖ ৫ মাসে ২৮ খুন, জুনে ২০টি ঘটনায় আহত ১৮৫
❖ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরও শৃঙ্খলা ফিরছে না
❖ সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে -মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সমমনাদের নির্বাচন বর্জনের মুখে উন্মুক্ত নির্বাচনের কৌশল বেছে নেয় ক্ষমতাসীন দলটি। ভোটের মাঠে অঘোষিতভাবে লড়াই হয় আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে দলের এমন কৌশলে মেলে সফলতাও। নির্বাচনে প্রায় ৬০ জন আওয়ামী লীগের নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীতা করে জয় লাভ করেন। তবে নির্বাচনের আগে প্রচারণা পর্ব থেকেই বৃদ্ধি পায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। নির্বাচনের পরেও তার রেশ রয়ে যায়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২৮৯টি রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছে। এসব সংঘাতে ২৭ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৭১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘাত হয়েছে ৩১টি। এসব ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন, আহত হয়েছেন দলটির (আওয়ামী লীগ) ২৬৯ নেতা-কর্মী। তবে দেশের বাইরে নিহত হওয়া আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হিসাবের মধ্যে ধরেনি। তাকে ধরলে আওয়ামী লীগের নিহতের সংখ্যা পাঁচ মাসে ২৮ জন।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হয় তৃণমূলের সংকট কাটিয়ে উঠতে। খোদ দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিভেদ ভুলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারিতে গণভবনে বর্ধিত সভায় অংশ নেন জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতারা, ছিলেন দলীয় সংসদ সদস্যরা, পাশাপাশি দলের সমর্থক স্বতন্ত্র এমপিরাও। প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘর্ষ চাই না। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে যেই হোক না কেন। নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়ায় দলে অনেক মন কষাকষি হয়েছে। যেটা হয়েছে ভুলে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যদি সমস্যা দেখা দেয়, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি আছি। দেখব। নিজেরা সংঘাত করা যাবে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কেটে গেছে পাঁচ মাস। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সহিংসতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের রেশ পরে উপজেলা ভোটেও। অধিকাংশ স্থানে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। আধিপত্য ধরে রাখতে বর্তমান এমপি ও পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হানাহানি হয়েই চলেছে। উপজেলা নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগেরে তৃণমূলে এই দ্বন্দ্ব সংঘাত আরো বাড়ছে। আর এই সংঘাতে আয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, জেলা ও তৃণমূলের নেতারা হত্যার শিকার হয়েছেন। সবশেষ জুন মাসে নির্বাচনকে ঘিরে ৪৭টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) জুন মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জুন মাসে পরিলক্ষিত না হলেও সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ অন্তর্দ্বন্দের কারণে রাজনৈতিক সহিংসতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের কোন্দলের ২০টি ঘটনায় সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৮৯ জন। এর মধ্যে ৪ জন নিহত ও ১৮৫ জন আহত হয়েছেন।

গত ২২ জুন রাজশাহীর বাঘায় উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের দলিল লেখকদের অতিরিক্ত ফি আদায়ের প্রতিবাদ ও সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের মনোনীত দলিল লেখক সমিতির কমিটি বিলুপ্তের দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ। একই সময়ে সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে পৌরভবনের সামনে থেকে অন্য পক্ষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে যাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে আহত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। পরে গত ২৬ জুন আশরাফুল ইসলাম বাবুল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাজশাহী ছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জে, ঝিনাইদহের, রাজবাড়ী, চট্টগ্রামে, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জে সংঘাতে জড়িয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যাহ বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলে গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো এলাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা কোন্দল দেখা দিয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাচনেও তার কিছুটা রেশ পড়েছে। তবে এর সমাধানে চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের কোন্দল নিরসনে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কাজ করছেন যাতে তৃণমূলের দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কোন্দল নিরসন করা যায়।