০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাতার আওতায় ৫৬২০ হিজড়া 

❖ ২০১৬ সাল থেকে ভাতা পাচ্ছেন হিজড়ারা
❖ দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১২৬২৯ জন
❖ ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি ২০১৪ সালে
দেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার। সে অনুযায়ী হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ভাতা, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হিজড়া সম্প্রদায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ। আবহমানকাল থেকেই এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর। এ লক্ষ্যে এ জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, তাদের জন্য সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, তাদের পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্তকরণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১টি জেলায় তা সম্প্রসারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ৬৪টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিবছরই এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রাথমিক জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপমতে, হিজড়াদের সংখ্যা ১২,৬২৯ জন। ২০১৪ সালে ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছর হতে এ কর্মসূচির ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির নগদ সহায়তায় জিটুপি পদ্ধতিতে উপকারভোগীর মোবাইল হিসাবে প্রেরণ করা হচ্ছে।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে হিজড়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে, ৫০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের দুস্থ ও অসচ্ছল হিজড়া ব্যক্তিকে মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে, হিজড়া শিক্ষার্থীদের মাসিক হারে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা  এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা হারে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, কর্মক্ষম হিজড়া ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক অনুদান প্রদান ও আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিতকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, প্রশিক্ষণোত্তর এককালীন নগদ সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরে হিজড়া শিক্ষার্থী শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছে ১৩৫ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৩৫০ জন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছে ৭৬২ জন, ভাতা পেয়েছে ১০৭১ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ১২০ জন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছে ৭৮৯ জন, ভাতা পেয়েছে ১৩০০ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৯৫০ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ১২০ জন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৩৪০ জন, মোট উপকারভোগী ৬৬৬৯ জন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৩৪০ জন, মোট উপকারভোগী ৬৯৭০ জন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৫০০ জন, মোট উপকারভোগী ৭৬৫০ জন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৫০০ জন, মোট উপকারভোগী ৭৫৪৭ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ৫৬২০ জন, মোট উপকারভোগী ৬৮৮০ জন (সম্ভাব্য)।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং উপজেলা ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়সমূহের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান জনবল এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় এ কর্মসূচির বিশেষ ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের গধহধমবসবহঃ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস (গওঝ) এ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা সরাসরি আবেদনগ্রহণপূর্বক হিজড়া ব্যক্তির তথ্য যাচাই করে এ নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রকৃত হিজড়া জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন করে বরাদ্দ অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ২চ পদ্ধতিতে ঊঋঞ-এর মাধ্যমে মোবাইল অ্যাকাউন্টে/এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বিশেষ ভাতা বা শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মৌলিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, আনুষ্ঠানিক মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণোত্তর অফেরতযোগ্য ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ মডিউলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হচ্ছে হেয়ারকাটিং, বিউটিফিকেশন, ড্রাইভিং, কম্পিউটার, সেলাই, কাটিং, ব্লক-বাটিক ও হস্তশিল্প অথবা স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে নির্ধারিত ট্রেডসমূহ। কোনো হিজড়া ব্যক্তি যদি সেবা পেতে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের  হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের উপপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠী যেন সঠিকভাবে ভাতা পায় সেটা নির্ধারণের জন্য আমাদের কমিটি করে দেয়া আছে। কমিটি তাদের তালিকা করার পর ভাতা দেওয়া হয়। সাধারণত, কেউ মারা গেলে তার ভাতা অন্যজনের নামে স্থানান্তর করা হয়। প্রত্যেক অর্থবছরে ভাতা দুইভাবে বাড়ে। এক. ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ে। দুই. ভাতার পরিমাণ বাড়ে। তবে, এবার হিজড়াদের জন্য দেয়া ভাতার পরিমাণ বাড়েনি।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাতার আওতায় ৫৬২০ হিজড়া 

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
❖ ২০১৬ সাল থেকে ভাতা পাচ্ছেন হিজড়ারা
❖ দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১২৬২৯ জন
❖ ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি ২০১৪ সালে
দেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার। সে অনুযায়ী হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ভাতা, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হিজড়া সম্প্রদায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ। আবহমানকাল থেকেই এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর। এ লক্ষ্যে এ জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, তাদের জন্য সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, তাদের পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্তকরণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২১টি জেলায় তা সম্প্রসারণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর হতে ৬৪টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিবছরই এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রাথমিক জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। অন্যদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপমতে, হিজড়াদের সংখ্যা ১২,৬২৯ জন। ২০১৪ সালে ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছর হতে এ কর্মসূচির ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির নগদ সহায়তায় জিটুপি পদ্ধতিতে উপকারভোগীর মোবাইল হিসাবে প্রেরণ করা হচ্ছে।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে হিজড়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হচ্ছে, ৫০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের দুস্থ ও অসচ্ছল হিজড়া ব্যক্তিকে মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে, হিজড়া শিক্ষার্থীদের মাসিক হারে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা  এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা হারে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে, কর্মক্ষম হিজড়া ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক অনুদান প্রদান ও আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিতকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, প্রশিক্ষণোত্তর এককালীন নগদ সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরে হিজড়া শিক্ষার্থী শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছে ১৩৫ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৩৫০ জন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছে ৭৬২ জন, ভাতা পেয়েছে ১০৭১ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ১২০ জন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়েছে ৭৮৯ জন, ভাতা পেয়েছে ১৩০০ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৯৫০ জন, প্রশিক্ষণ পেয়েছে ১২০ জন। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৩৪০ জন, মোট উপকারভোগী ৬৬৬৯ জন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৩৪০ জন, মোট উপকারভোগী ৬৯৭০ জন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৫০০ জন, মোট উপকারভোগী ৭৬৫০ জন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছে ২৫০০ জন, মোট উপকারভোগী ৭৫৪৭ জন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ২৬০০ জন, মোট উপকারভোগী ৫৭৪৫ জন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভাতা পেয়েছেন ৫৬২০ জন, মোট উপকারভোগী ৬৮৮০ জন (সম্ভাব্য)।
অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং উপজেলা ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়সমূহের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান জনবল এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় এ কর্মসূচির বিশেষ ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের গধহধমবসবহঃ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস (গওঝ) এ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা সরাসরি আবেদনগ্রহণপূর্বক হিজড়া ব্যক্তির তথ্য যাচাই করে এ নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রকৃত হিজড়া জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন করে বরাদ্দ অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ২চ পদ্ধতিতে ঊঋঞ-এর মাধ্যমে মোবাইল অ্যাকাউন্টে/এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে বিশেষ ভাতা বা শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মৌলিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, আনুষ্ঠানিক মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণোত্তর অফেরতযোগ্য ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ মডিউলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিষয়সমূহ হচ্ছে হেয়ারকাটিং, বিউটিফিকেশন, ড্রাইভিং, কম্পিউটার, সেলাই, কাটিং, ব্লক-বাটিক ও হস্তশিল্প অথবা স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে নির্ধারিত ট্রেডসমূহ। কোনো হিজড়া ব্যক্তি যদি সেবা পেতে ব্যর্থ হন তাহলে তিনি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের  হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের উপপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানে কাজ করতে পারেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠী যেন সঠিকভাবে ভাতা পায় সেটা নির্ধারণের জন্য আমাদের কমিটি করে দেয়া আছে। কমিটি তাদের তালিকা করার পর ভাতা দেওয়া হয়। সাধারণত, কেউ মারা গেলে তার ভাতা অন্যজনের নামে স্থানান্তর করা হয়। প্রত্যেক অর্থবছরে ভাতা দুইভাবে বাড়ে। এক. ভাতা গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ে। দুই. ভাতার পরিমাণ বাড়ে। তবে, এবার হিজড়াদের জন্য দেয়া ভাতার পরিমাণ বাড়েনি।