বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুর্নবহালের দাবিতে কোটা বিরোধী ছাত্র সমাবেশ আন্দোলনে উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ২০২৪) বেলা ১১ টা থেকে চবি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্ত্বরে এই ছাত্র সমাবেশ-আন্দোলন শুরু হয়েছে।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা “সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে”, “মেধা না কোটা? মেধা, মেধা”, “মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না বৈষম্যের ঠাই নাই, আমার সোনার বাংলায়” প্রভৃতি স্লোগানে মুখরিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
সমাবেশে আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল মালেক বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চয় নিজেদের সন্তান আর নাতি-নাতনির কোটার জন্য লড়াই করেননি। তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরাও ৫৬% কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আগামী চার জুলাই আপিল বিভাগের রায় ঘোষণা পর্যন্ত প্রতিদিন আমরা আমাদের সমাবেশ অব্যাহত রাখবো।

জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের অধিকার আদায় হওয়া না পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বোনা। বাংলার মাটিতে এই বৈষম্য কোটা প্রথা হতে দেওয়া যাবেনা।এই কোটা প্রথা হল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য অভিশাপ। বাংলার মাটিতে মেধাবীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। না হলে মেধাবীদের কান্না কখনও দূর হবেনা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবিগুলো হলো: এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। দুই. ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তিন. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। চার. দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি না মানলে সামনের দিনগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচী ঘোষণা করার হুশিয়ারি দেন।
























