১২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষের যাতায়াত খরচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়

পরিবহন সুবিধা না পেলেও বছরের পর বছর পরিবহন ফি দিচ্ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা। এমনকি কত দিচ্ছে, কোথায় দিচ্ছে সেটাও অজানা শিক্ষার্থীদের কাছে! শুধু তাই নয়, ভর্তি বিবরণীতে পরিবহন খাত বলে যে একটা খাত আছে সেটাও কোনো শিক্ষার্থী জানেনা। জানবেই বা কিভাবে কলেজ কতৃপক্ষ কখনো শিক্ষার্থীদের কাছে পূর্ণাঙ বিবরণী প্রকাশ করে না!

পরিবহন খাত সম্পর্কে জানতে সরাসরি কলেজে গেলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পরিবহন নেই। তাহলে পরিবহনের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তার খোজে পুরো কলেজ ঘুরলে অবশেষে চোখে পড়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ঢাকা লেখা সাদা রঙের মাইক্রোবাস। এটার সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় গাড়িটি কলেজের অধ্যক্ষ যাতায়াতের কাজে ব্যবহার করেন। গাড়ির টাকা কোথায় থেকে আসে জানতে চাইলে কলেজে কর্মরত একজন বলে এটার খরচ ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমি জানিনা, তবে এটাই জানি এগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়! শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আসলে কত টাকা নেওয়া হয় এমন প্রশ্ন নিয়ে আবারও কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলে কেউ বিষয়টি জানে না বলে জানিয়ে দেয়। অবশেষে নাম জানাতে অনিচ্ছুক একজনের কাছ থেকে দু’টো ভর্তি বিবরণী সংগ্রহ করা হয়। যেখানে দেখা যায় প্রতি শিক্ষার্থী কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। উল্লেখ্য কলেজে মোট ৮৮৩৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। সে হিসাবে বছরে প্রায়ই ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭ শত টাকা আদায় করা হয় যে টাকাটা অধ্যক্ষের পরিবহন খাতে ব্যয় হয়ে থাকে!

এখানে কথা হচ্ছে একটি মাইক্রোবাসের পিছনে কি এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আবারও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বলে আমার জানা মতে ড্রাইভারের বেতন ১৭ হাজার টাকার মতো এর বেশি হবে না। আচ্ছা ধরে নিলাম ড্রাইভারের বেতন ১৭ হাজার টাকা সে হিসাবে বছরে ড্রাইভারকে বেতন দেওয়া হয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭ শত টাকা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বাদ দিলে অবশিষ্ট থাকে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭ শত টাকা।

যার হিসাব খোজতে ফোন করা হয় কলেজে হিসাব নিরক্ষক সফিক আহমেদকে, কিন্তু তিনি জানান অধ্যক্ষ স্যার ছাড়া আমি এসমস্ত হিসাব কাউকে দিতে পারবো না, আপনার তথ্যের প্রয়োজন হলে অধ্যক্ষ স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। অধ্যক্ষ স্যারই তথ্য দিবেন আমি দিতে পারবো না! উল্লেখ্য এর আগে তথ্য চাইতে গেলে শফিকের বিরুদ্ধে এক কলেজ সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে! এবিষয়ে অধ্যক্ষ মোহসীন কবিরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনি অফিসে আসেন সরাসরি কথা হবে। আপনি কে বলছেন কি বলছেন সরাসরি কথা হবে অফিসে আসেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যক্ষের যাতায়াত খরচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

পরিবহন সুবিধা না পেলেও বছরের পর বছর পরিবহন ফি দিচ্ছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থীরা। এমনকি কত দিচ্ছে, কোথায় দিচ্ছে সেটাও অজানা শিক্ষার্থীদের কাছে! শুধু তাই নয়, ভর্তি বিবরণীতে পরিবহন খাত বলে যে একটা খাত আছে সেটাও কোনো শিক্ষার্থী জানেনা। জানবেই বা কিভাবে কলেজ কতৃপক্ষ কখনো শিক্ষার্থীদের কাছে পূর্ণাঙ বিবরণী প্রকাশ করে না!

পরিবহন খাত সম্পর্কে জানতে সরাসরি কলেজে গেলে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পরিবহন নেই। তাহলে পরিবহনের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তার খোজে পুরো কলেজ ঘুরলে অবশেষে চোখে পড়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ঢাকা লেখা সাদা রঙের মাইক্রোবাস। এটার সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় গাড়িটি কলেজের অধ্যক্ষ যাতায়াতের কাজে ব্যবহার করেন। গাড়ির টাকা কোথায় থেকে আসে জানতে চাইলে কলেজে কর্মরত একজন বলে এটার খরচ ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমি জানিনা, তবে এটাই জানি এগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়! শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আসলে কত টাকা নেওয়া হয় এমন প্রশ্ন নিয়ে আবারও কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলে কেউ বিষয়টি জানে না বলে জানিয়ে দেয়। অবশেষে নাম জানাতে অনিচ্ছুক একজনের কাছ থেকে দু’টো ভর্তি বিবরণী সংগ্রহ করা হয়। যেখানে দেখা যায় প্রতি শিক্ষার্থী কাছ থেকে ১০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হয়। উল্লেখ্য কলেজে মোট ৮৮৩৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। সে হিসাবে বছরে প্রায়ই ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭ শত টাকা আদায় করা হয় যে টাকাটা অধ্যক্ষের পরিবহন খাতে ব্যয় হয়ে থাকে!

এখানে কথা হচ্ছে একটি মাইক্রোবাসের পিছনে কি এত টাকা ব্যয় করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আবারও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তাদের মধ্যে একজন বলে আমার জানা মতে ড্রাইভারের বেতন ১৭ হাজার টাকার মতো এর বেশি হবে না। আচ্ছা ধরে নিলাম ড্রাইভারের বেতন ১৭ হাজার টাকা সে হিসাবে বছরে ড্রাইভারকে বেতন দেওয়া হয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭ শত টাকা থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বাদ দিলে অবশিষ্ট থাকে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭ শত টাকা।

যার হিসাব খোজতে ফোন করা হয় কলেজে হিসাব নিরক্ষক সফিক আহমেদকে, কিন্তু তিনি জানান অধ্যক্ষ স্যার ছাড়া আমি এসমস্ত হিসাব কাউকে দিতে পারবো না, আপনার তথ্যের প্রয়োজন হলে অধ্যক্ষ স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। অধ্যক্ষ স্যারই তথ্য দিবেন আমি দিতে পারবো না! উল্লেখ্য এর আগে তথ্য চাইতে গেলে শফিকের বিরুদ্ধে এক কলেজ সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে! এবিষয়ে অধ্যক্ষ মোহসীন কবিরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনি অফিসে আসেন সরাসরি কথা হবে। আপনি কে বলছেন কি বলছেন সরাসরি কথা হবে অফিসে আসেন।