◾ মহাপরিকল্পনাকরেজলাবদ্ধতানিরসনেকাজকরার দাবি
◾ চরম ভোগান্তিতেনগরবাসীর ক্ষোভও বেড়েছে
✦ ছয়টাপাম্পদিয়েপানি বেরকরারকাজকরেছি: মো. ফরিদ উদ্দিনআহমদ
✦ সিটিকরপোরেশন সেভাবেকাজকরেনিবলেইজলাবদ্ধতা : মো. মশিউররহমান
✦ ময়লা ফেললেনাগরিককেরজরিমানাকরুকসিটিকরপোরেশন : সৈয়দ মাহবুবুলআলমতাহিন
গত শুক্রবারতুমুলবৃষ্টিতেঢাকায়জলাবদ্ধতারসৃষ্টিহয়। এতে আগেরতুলনায়অনেক বেশিএলাকাডুবেযায়। স্বাভাবিকভাবেইকর্মে বেরহওয়া ও চাকরিপরীক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতেপড়তেহয়। অনেকেই এনিয়ে দুইসিটিকর্পোরেশনেরওপর ক্ষোভপ্রকাশকরেছেন। সবারএকটাইকথা, আগের চেয়ে বেশিএলাকাজলমগ্নহওয়ারকারণকি? তাহলে এত উন্নয়নপ্রকল্পেরটাকা কোথায় গেল?সংশ্লিষ্টরাজলাবদ্ধতানিরসনেমহাপরিকল্পনাকরেকাজকরার দাবিজানাচ্ছেন।
এদিকে, ঢাকা দক্ষিণসিটিকর্পোরেশনতার ফেসবুক পেজেলিখেছে, সকাল ৬ থেকে দুপুর ১২টায় পর্যন্তসময়ে অর্থাৎ ৬ ঘন্টায় রেকর্ড ১৩০ মিলিমিটারবৃষ্টিপাত। অল্পসময়েএতোপরিমাণবৃষ্টিরপানিনিষ্কাশনের ক্ষমতাপৃথিবীর খুব কম শহরেরইরয়েছে। আরঢাকাশহর তোগড়ে ওঠেছে পরিকল্পিতভাবেপরিকল্পনাহীনউপায়ে!
কিন্তু জলাবদ্ধতার ভোগান্তিহতেনগরবাসীকে মুক্তি দিতেসকালহতেইনিরলসভাবেকাজকরেছেকর্পোরেশনেরশতশতকর্মী। সার্বক্ষণিকতদারকিতেছিলেনমাননীয় মেয়রসহসকল স্তরেরকর্মকর্তাবৃন্দ। তারপরেওকিছুসমালোচনাআসবেই। কিন্তু গৎবাঁধাসমালোচনানাকরেগঠনমূলকসমালোচনাকরলেনগরকর্তৃপক্ষ নিশ্চয়উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত বোধকরবে।
তারালিখেছে, আমরাহয়তোভুলেগিয়েছি, একসময় এ পরিমাণবৃষ্টিহলেমূলসড়কহতে ২/৩ দিনেওপানিসরতোনা। আরঅলি-গলিতে কত দিনপানি থাকতোতানিশ্চয়আমরাসবাইভুলেযাননি!
জলাবদ্ধতার ভোগান্তিহতে মুক্তি পেতেঢাকা দক্ষিণসিটিকর্পোরেশনসকলের দায়িত্বশীলনাগরিকভূমিকাপ্রত্যাশাকরে। যত্রতত্রপলি-বর্জ্য না ফেলেতাসংরক্ষণকরেনির্ধারিতবর্জ্য সংগ্রহকারীরনিকটহস্তান্তরকরুন, বাসযোগ্য নগরবিনির্মাণেসহযোগিতাকরুন।
নিজেরএলাকারজলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণসিটিকর্পোরেশনের৪৩ নংওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আরিফ হোসেন দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, শুক্রবারেরবৃষ্টিটাছিলঅনাকাঙ্খিত। ঢাকারভিতরেআমরাআসলে এত ভারিবর্ষণ এত অল্পসময়েআমরা দেখিনি। যেসবরাস্তাগুলোআমাদের ওয়ার্ডে গতকালডুবেছেআমি তো গত নয়বছরকাউন্সিলর সেক্ষেত্রে এই নয়বছরচলাকালে যেসবরাস্তাগুলোকখনোইডুবতে দেখিনাই সেই সব রাস্তাগুলোআমাদের এলাকায়ডুবেগিয়েছিল। তবে, আমরা যেটাধারণাকরেছিলামজুম্মার নামাজেরআগেহয়তবারাস্তারপানিনামবেনা। কিন্তু দুইটারাস্তাবাদ দিয়েপ্রায়বাকিপাঁচটারাস্তারপানিজুম্মার নামাজেরআগেই নেমেগিয়েছিল। মাগরিবেরনামাজেরআগেইআমারএলাকারসমস্তপানি নেমে গেছে।
তিনিবলেন, জলাবদ্ধতানিরসনেআমাদের মহাপরিকল্পনা দরকার। ঢাকাসিটিকর্পোরেশন, ওয়াসাএবংবড় কোনপ্রকল্পএকনেক থেকে পাসকরিয়েনিয়েমহাপরিকল্পনা দরকার। আউটলেটগুলোআমাদের সকলঢাকারপানি যেসবএলাকাগুলোদিয়ে বেরহয়, আমাদের পুরানঢাকারওয়ার্ড নদীতীরবর্তীঅঞ্চল। বুড়িগঙ্গার পাশে। এখানেযখনবৃষ্টিরপানিগুলি বেরহয়সুইজগেটেরমধ্য দিয়ে, সেইসুইজগেটেরপানিইএখনবিপদসীমারকাছাকাছি। বৃষ্টিএবংনদীতেপানিবৃদ্ধি হওয়ারকারণে এই পানিবিপদসীমারকাছাকাছি থাকায়আমাদের ওয়ার্ডেরপানিগুলো খুব তাড়াতাড়িনামতেপারেনি। সেক্ষেত্রেআমিমনেকরি, মহাপরিকল্পনারমধ্য দিয়ে যে ভারিবর্ষণটাকালকেহয়েছে, আমিমনেকরিএটা স্মরণকালেরএকটাভয়াবহ দুর্যোগ। সেক্ষেত্রেআমাদের আউটলেটেরমুখগুলিবড়করাহয়। যেখানদিয়েপানি বেরহয়, এখানেতিনটা গেট আছে। এগুলিযদি নতুনকরেআধুনিকায়নকরাহয় সেক্ষেত্রেএই অঞ্চলেপানিটাজমারকথানা।
নিজেরএলাকারজলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণসিটিকর্পোরেশনের ২০ নংওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ উদ্দিনআহমদ দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, অতিবৃষ্টিতে তোকারওহাত নেই। আমাদের নিয়মিত যে ড্রেনেজব্যবস্থা আছেএবংআমাদের আউটফল যেখানেআছে সেখানেসারাদিনছয়টাপাম্পইচলেছে। বৃষ্টিরপরিমাণটা এত বেশিছিল। এটাপ্রকৃতির সাথে জড়িত। এটানিয়েকিছুবলাযাবেনা। স্বাভাবিকভাবেসাধারনমানুষসবাইপজিটিভলিনিয়েছে। যেহেতুএমনিনর্মালবৃষ্টিতেআমাদের কোথাওপানি থাকেনা। কিন্তু গতকালকেরবৃষ্টি দূর্ভাগ্যজনকভাবেঅনেকবৃষ্টিহয়েছে। গত ৪০ বছরেওযদি দেখিএইরকমঅল্পসময়েরমধ্যে এতপরিমাণবৃষ্টিহয়নি।সবকিছুমিলিয়েআমরাসবাই চেষ্টাকরেছি। আমাদের একশজনকর্মীকাজকরেছে। আমরা যেখানেযত দ্রুত সম্ভব পানিসরিয়ে নেওয়ারব্যবস্থা করেছি। বিশেষকরে, যখনআমরাআউটফলেপানিগুলো বেরকরেদিই, আমাদের মানিকনগরেআপনারাজানেনএকটাপাম্প স্টেশন আছে। সেখানেকিন্তু সারাদিনপাম্পগুলোচলেছে। চেষ্টার কোনত্রুটিহয়নিকিন্তু। প্রথমেইআমরাকাকরাইল, মৎস্যভবন, এই প্রধানসড়কটা খুব অল্পসময়েরমধ্যে কিন্তু ফাঁকাকরতে পেরেছি। সেখানেনতুন ড্রেনেজব্যবস্থার কাজকরাহয়েছে। তারপরেআমাদের বক্স কালভার্টেরএখানেওআমরাসারাদিন চেষ্টাকরেছিকিন্তু কালভার্টেরপানির লেভেলএকদমফুলছিল, যে কারণেপানিআমরাডাউনএখানেকরতেপারিনি। তারপরওআমরা চেষ্টাকরেছি। আমিনিজেওছিলাম। আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীরা চেষ্টাকরেছে।
ঢাকা মেডিকেলকলেজহাসপাতালেরজরুরিবিভাগসহ বেশিরভাগএলাকাপানিরতলায়তলিয়েযায়। এ প্রসঙ্গে তিনিবলেন, প্রতিবছরআমরা বক্স কালভার্টগুলোঠিককরি। বৃষ্টিতেআমারনতুনঅনেকগুলোরাস্তাক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কারণবিটুমিনের মেইনশত্রুহচ্ছেপানি। সেখানেআমাদের জলাবদ্ধতাহয়ে গেছিল। এরমধ্যে আবারগাড়িচলেছে। এসবকিছুমিলিয়েআমরাযদি চেষ্টাকরি, প্রতিবছরআমাদের রাস্তাগুলোর এক ইঞ্চি/দুইইঞ্চিকরেহাইটবাড়ে। এখানেএকটাবিষয়না। আমরা চেষ্টাকরছি। আমাদের আয়ত্ত্ব আরওবাড়ানোরজন্য। এগুলোনিয়েআমাদের পরিকল্পনা নেয়াহয়েছে। যে পরিকল্পনা নেয়াহয়েছে। এতে আশাকরি, ভবিষ্যতে এই সমস্যাটাআরহবেনা। সিনিয়রসাংবাদিক ও বিশ্লেষক মো.মশিউররহমান দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, জলাবদ্ধতারঅন্যতমকারণহচ্ছেএর কোনতদারকিনাই। ঢাকাশহরে যে খালগুলোআছে এগুলোসংস্কারেরজন্য আমরাঅনেকদিনআগেশুনেছিলাম যে, সরকার উদ্যোগ নেবে। সে খাতেবরাদ্দ দেয়া হয়েছেকিন্তু সে অনুযায়ী, কাজহয়নাই। দুইনম্বর হচ্ছে, পল্টনে যে একটাকালভার্ট আছে এই কালভার্টটাকেওনিয়মিতপরিষ্কার করাহয়না। বিভিন্নরাস্তারপাশে যে আমাদের সুয়ারেজলাইনগুলোআছে এগুলো তোপ্রচণ্ডভাবেময়লাআবর্জনা, পলিথিনপড়ে থাকে। যেগুলোনিয়মিতসংস্কার করা দরকার সেটাওকরাহয়না। ঢাকাসিটিকর্পোরেশনেএরআগেআমরাদেখেছিলামওদেরএকটা বিদেশীযন্ত্র আছে যেটাপাইপদিয়েনিচ থেকে ময়লাতুলেআনে। কিন্তু এটাএখনআরআমরা দেখিনা। সবচেয়েবড়কথা, এরআগের যেকোনজলাবদ্ধতায় মেয়রআব্বাস, মেয়র খোকা, সাঈদ খোকনপ্রত্যেকেই যখন কোনজলাবদ্ধতাহয়েছেতারানিজেরানিজেরামাঠে নেমেতদারকিকরতেন। গাড়িনিয়েবিভিন্নযায়গায়ঘুরতেনকিন্তু বর্তমানসময়েঢাকা দক্ষিণের মেয়রকেইনশাআল্লাহআমরা কোথাও দেখিনি। এটানিয়মিততদারকিরজন্য এলাকার যে জনপ্রতিনিধিআছে, তাদেরও খুব একটাসচেতনতাআছেবলেআমরামনেকরিনা।
আইনজীবীজনস্বার্থ বিশ্লেষকসৈয়দ মাহবুবুলআলমতাহিন দৈনিকসবুজবাংলাকেবলেন, আমাদের নাগরিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরানিজেরানিজেদের শহরময়লাকরছি। আমরাপ্লাস্টিকের বোতল, ময়লাআবর্জনাএগুলো ফেলছি। পরে এগুলোরকারণেরসুয়ারেজলাইনব্লকহয়েযায়। এটাআমিবলব, নাগরিকদের একটা দায়িত্বহীনকাজ। আমারকাছেমনেহয় যে, যে নাগরিক ড্রেনে ময়লা ফেলবে সাথে সাথে তাকেজরিমানাকরবে। এছাড়া, ময়লা ফেলাবন্ধহবেনা। নগর কর্তৃপক্ষ চেষ্টাকরলেও এই জলাবদ্ধতারসমস্যা দূর হবেনা।























