চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
আন্দোলনকারীরা ষোলশহর রেল স্টেশন ও দুই নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। দুই পক্ষ একে অপরের দিকে ইট-পাথর ছুড়ছেন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং দুই নম্বর গেট ও ষোলশহর এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রুখতে শাটল ট্রেনের চাবি নিয়ে রেল চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ সময় শাটল ট্রেনে করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের চট্টগ্রাম শহরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পরিবহণের প্রধান বাহন শাটল ট্রেন এখনো বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জানা যায়, কোটা আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক রাফিকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। এ সময় তারা রাফির ছাত্রত্ব বাতিলসহ তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন। খবর পেয়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসের দিকে আসতে থাকেন। এ সময় আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি ছাত্রীদের হেনস্থারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রীরা প্রক্টর অফিসে প্রবেশ করলে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ প্রক্টর অফিসের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে নগরীর ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন জানান, ‘রাজনৈতিক দলের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমাণ শাটল ট্রেনের চালকের কাছ থেকে জোরপূর্বক ট্রেনের চাবি ছিনিয়ে নিয়েছে। এ কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।’


























