১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোটা আন্দোলন : চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর-মুরাদপুর এলাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা আরও একজন বেড়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫.৪৫ মিনিটে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে নিহত দুইজন হলেন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম ও ওয়ার্কশপ কর্মচারী ফারুক। ওয়াসিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়, ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত আকরামকে ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেছে নগর বিএনপি। নগর বিএনপির সাবেক কমিটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসীম আকরাম ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে। সে চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স থার্ড ইয়ারের ছাত্র। বহদ্দারহাটে থাকতো।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৬টা পর্যন্ত নগরীর মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। কারো কারো হাতে অস্ত্রও দেখা গেছে।

মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এরপরে তারাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাতীবান্ধায় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, নৈশপ্রহরীকে বেঁধে গরু লুট

কোটা আন্দোলন : চট্টগ্রামে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

আপডেট সময় : ০৬:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর-মুরাদপুর এলাকায় কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা আরও একজন বেড়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫.৪৫ মিনিটে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে নিহত দুইজন হলেন, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম ও ওয়ার্কশপ কর্মচারী ফারুক। ওয়াসিমের বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায়, ফারুকের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত আকরামকে ছাত্রদলের কর্মী বলে দাবি করেছে নগর বিএনপি। নগর বিএনপির সাবেক কমিটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসীম আকরাম ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে। সে চট্টগ্রাম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স থার্ড ইয়ারের ছাত্র। বহদ্দারহাটে থাকতো।’

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৬টা পর্যন্ত নগরীর মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। কারো কারো হাতে অস্ত্রও দেখা গেছে।

মুরাদপুর-ষোলশহর এলাকায় বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা মুরাদপুর হয়ে অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ষোলশহর এলাকায় যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এরপরে তারাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালায়।