১২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা

ইসরায়েলে হামলা চালানো হবেই : ইরান

➤হামলা ঠেকাতে ইরানকে বোঝানোর চেষ্টা জর্ডানের
➤ঠিক কখন ইরান হামলা করবে সেটা জানে না যুক্তরাষ্ট্র
➤ইসরায়েলি সরকারের গালে ‘চপেটাঘাত’ হামাসের
➤গাজায় আরও ২ স্কুলে বিমান হামলা, শিশুসহ নিহত ৩০

 

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুখরের হামলার প্রতিশোধ নিতে দখলদার ইসরায়েলে হামলা চালানো হবেই বলে জানিয়েছে ইরান। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধেও; সে বিষয়টি নিয়ে ভাববে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, আরব বিশ্ব এবং মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তারা যেন ইসরায়েলে হামলা না চালায়। কিন্তু জবাবে ইরান ও হিজবুল্লাহ জানিয়েছে তারা হামলা চালাবেই। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধার যে শঙ্কা তৈরি হবে সেটি তারা বিবেচনায় নেবে না। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উত্তেজনা নিরসনে জর্ডান এবং লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানে গিয়েছিলেন। কিন্তু আরব দূতদের ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধে তাতে তাদের কিছু করার নেই। সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের ওপর কয়েকদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইরান। ইরানের সম্ভাব্য হামলার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল।
দখলদার ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা ঠেকানোর শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই তেহরানে গেছেন সাফাদি। দুই দশকের মধ্যে ইরানে এটাই কোনো জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর। জর্ডানকে মূলত পশ্চিমা মিত্রদেশ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গাজা সংঘাতের মুখে জর্ডান এত দিন ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অভ্যন্তরীণ চাপে রয়েছে জর্ডান কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাহায্য করছিল জর্ডান। কিন্তু জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েছে সরকার।
তিনটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন এক মিডিয়া বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে যেন পুরো মাত্রার যুদ্ধ শুরু না হয় এবং ইরান ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা না চালায় তার প্রচেষ্টা চালাছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, গত সোমবার থেকেই ইসরায়েলে হামলা শুরু করতে পারে ইরান ও হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলে ঠিক কখন ইরান হামলা করবে সেটা জানে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা সোমবার থেকেই এই হামলা শুরু হতে পারে।

ইসরায়েলি সরকারের গালে ‘চপেটাঘাত’ হামাসের
ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের কাছে হলন শহরে ছুরিকাঘাতে এক ইহুদি নারীসহ দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ তেলআবিবে চালানো অভিযানের সফল বাস্তবায়নকে অভিনন্দন জানিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ কমিটিগুলো বলেছে, এটি ফিলিস্তিনি বীর যোদ্ধাদের দৃঢ়তার সামনে ইসরায়েলি শাসকদের পরাজয়ের লক্ষণ। এ বিষয়ে হামাস বলেছে, রোববারের অভিযান ছিল দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের মুখে একটি কড়া চপেটাঘাত। সফল অভিযানটি পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো দৈনন্দিন অপরাধ এবং গণহত্যার একটি স্বাভাবিক এবং বাস্তব প্রতিক্রিয়া। সংগঠনটি তাদের যোদ্ধাদের অপরাধী ইসরায়েলি খুনিদের মোকাবিলা করার জন্য এ ধরনের আরও বেদনাদায়ক অপারেশন চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। এদিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি যে যুবক অভিযানটি পরিচালনা করেছিল, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, ছুরিকাঘাতকারী ছিল পশ্চিম তীরের বাসিন্দা এবং এ ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অন্য কেউ তাকে সহযোগিতা করেছিল।

গাজার আরো ২ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, শিশুসহ নিহত ৩০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির দুটি স্কুলে চালানো এই হামলায় নিহতদের ৮০ শতাংশই শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ। হামলার শিকার স্কুল দুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের পশ্চিমে হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু। এর আগে শনিবার গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালালে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫২টি স্কুলসহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত অন্তত ১৭২টি কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা

ইসরায়েলে হামলা চালানো হবেই : ইরান

আপডেট সময় : ০১:০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

➤হামলা ঠেকাতে ইরানকে বোঝানোর চেষ্টা জর্ডানের
➤ঠিক কখন ইরান হামলা করবে সেটা জানে না যুক্তরাষ্ট্র
➤ইসরায়েলি সরকারের গালে ‘চপেটাঘাত’ হামাসের
➤গাজায় আরও ২ স্কুলে বিমান হামলা, শিশুসহ নিহত ৩০

 

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুখরের হামলার প্রতিশোধ নিতে দখলদার ইসরায়েলে হামলা চালানো হবেই বলে জানিয়েছে ইরান। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধেও; সে বিষয়টি নিয়ে ভাববে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, আরব বিশ্ব এবং মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল তারা যেন ইসরায়েলে হামলা না চালায়। কিন্তু জবাবে ইরান ও হিজবুল্লাহ জানিয়েছে তারা হামলা চালাবেই। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধার যে শঙ্কা তৈরি হবে সেটি তারা বিবেচনায় নেবে না। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উত্তেজনা নিরসনে জর্ডান এবং লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানে গিয়েছিলেন। কিন্তু আরব দূতদের ইরান জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে হামলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। এতে যদি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বাধে তাতে তাদের কিছু করার নেই। সংবাদমাধ্যম এনবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের ওপর কয়েকদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে ইরান। ইরানের সম্ভাব্য হামলার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ইসরায়েল।
দখলদার ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলা ঠেকানোর শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সেখানে ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই তেহরানে গেছেন সাফাদি। দুই দশকের মধ্যে ইরানে এটাই কোনো জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর। জর্ডানকে মূলত পশ্চিমা মিত্রদেশ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেখানে অনেক ফিলিস্তিনি জনগণ রয়েছে। গাজা সংঘাতের মুখে জর্ডান এত দিন ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে। এখন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার অভ্যন্তরীণ চাপে রয়েছে জর্ডান কর্তৃপক্ষ। গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরান যখন হামলা করেছিল, তখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সাহায্য করছিল জর্ডান। কিন্তু জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। জনগণের ক্ষোভের মুখে পড়েছে সরকার।
তিনটি অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন এক মিডিয়া বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে যেন পুরো মাত্রার যুদ্ধ শুরু না হয় এবং ইরান ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা না চালায় তার প্রচেষ্টা চালাছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, গত সোমবার থেকেই ইসরায়েলে হামলা শুরু করতে পারে ইরান ও হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলে ঠিক কখন ইরান হামলা করবে সেটা জানে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা সোমবার থেকেই এই হামলা শুরু হতে পারে।

ইসরায়েলি সরকারের গালে ‘চপেটাঘাত’ হামাসের
ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবের কাছে হলন শহরে ছুরিকাঘাতে এক ইহুদি নারীসহ দুজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ তেলআবিবে চালানো অভিযানের সফল বাস্তবায়নকে অভিনন্দন জানিয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ কমিটিগুলো বলেছে, এটি ফিলিস্তিনি বীর যোদ্ধাদের দৃঢ়তার সামনে ইসরায়েলি শাসকদের পরাজয়ের লক্ষণ। এ বিষয়ে হামাস বলেছে, রোববারের অভিযান ছিল দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের মুখে একটি কড়া চপেটাঘাত। সফল অভিযানটি পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর চালানো দৈনন্দিন অপরাধ এবং গণহত্যার একটি স্বাভাবিক এবং বাস্তব প্রতিক্রিয়া। সংগঠনটি তাদের যোদ্ধাদের অপরাধী ইসরায়েলি খুনিদের মোকাবিলা করার জন্য এ ধরনের আরও বেদনাদায়ক অপারেশন চালানোর আহ্বান জানিয়েছে। এদিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি যে যুবক অভিযানটি পরিচালনা করেছিল, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, ছুরিকাঘাতকারী ছিল পশ্চিম তীরের বাসিন্দা এবং এ ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অন্য কেউ তাকে সহযোগিতা করেছিল।

গাজার আরো ২ স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, শিশুসহ নিহত ৩০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় কমপক্ষে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকাটির দুটি স্কুলে চালানো এই হামলায় নিহতদের ৮০ শতাংশই শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কিছু মানুষ। হামলার শিকার স্কুল দুটিতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল। গাজা শহরের বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত দুটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের পশ্চিমে হাসান সালামা এবং আল-নাসর স্কুলকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। নিহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই শিশু। এর আগে শনিবার গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান হামলা চালালে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ১৫২টি স্কুলসহ বাস্তুচ্যুত মানুষদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত অন্তত ১৭২টি কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে।