০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জবিতে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীত নিষিদ্ধ করতে জবি কোষাধ্যক্ষের আশ্বাস

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে সব ধরনের আইনি সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন জবি কোষাধ্যক্ষ।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।

এদিন সকাল নয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে ৫টি দাবি বাস্তবায়নে ২৪ ঘন্টার  আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এই পাঁচ দাবির মধ্যে বিশ্বিবদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি বাতিল বলে ঘোষণা দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। এতে সম্মতি জানান বৈঠকে উপস্থিত সব অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টারা।

এ ছাড়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠন করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জকসু (ছাত্র সংসদ) নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ট্রেজারার। এরই সঙ্গে আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যে অফলাইনে ক্লাস শুরুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়। বাকি সকল দাবি শিক্ষার্থীদের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, সামনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পাশ করা হবে। যে সকল শিক্ষক উগ্র লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করতেন তারা শিক্ষার্থীদের মাপ চেয়ে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করুন তা না হলে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের রাজনীতি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তার সাথে যত ধরনের আইনি সহায়তা দরকার তার সাহায্য করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তত।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের ভয় ভীতি না দেখিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন।  ক্লাস শুরু হলে কোন শিক্ষার্থী যেন কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করছি  তোমরা আমাদের অভিভাবক হিসেবে সম্মান করে অফলাইন ক্লাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই তারা আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম দাবি ক্যম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি (শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র) আজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। রাজনীতি করার অধিকার সকলের আছে তবে ক্যাম্পাসের গেট থেকে প্রবেশ করা মাত্র তাকে শুধু একজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও একজন ছাত্র হিসেবেই প্রবেশ করতে হবে। আমাদের ১৩টি দাবির সবটি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন বৈঠকে থাকা কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টারা।

জনপ্রিয় সংবাদ

জবিতে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীত নিষিদ্ধ করতে জবি কোষাধ্যক্ষের আশ্বাস

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে সব ধরনের আইনি সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন জবি কোষাধ্যক্ষ।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকে এ ঘোষণা দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।

এদিন সকাল নয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে ৫টি দাবি বাস্তবায়নে ২৪ ঘন্টার  আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এই পাঁচ দাবির মধ্যে বিশ্বিবদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সব ধরনের রাজনীতি বাতিল বলে ঘোষণা দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। এতে সম্মতি জানান বৈঠকে উপস্থিত সব অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টারা।

এ ছাড়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠন করে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জকসু (ছাত্র সংসদ) নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ট্রেজারার। এরই সঙ্গে আগামী ১৮ আগস্টের মধ্যে অফলাইনে ক্লাস শুরুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হয়। বাকি সকল দাবি শিক্ষার্থীদের দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ আরও বলেন, সামনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পাশ করা হবে। যে সকল শিক্ষক উগ্র লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করতেন তারা শিক্ষার্থীদের মাপ চেয়ে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করুন তা না হলে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধরনের রাজনীতি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তার সাথে যত ধরনের আইনি সহায়তা দরকার তার সাহায্য করার জন্য আমি সবসময় প্রস্তত।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের ভয় ভীতি না দেখিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন।  ক্লাস শুরু হলে কোন শিক্ষার্থী যেন কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়। শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করছি  তোমরা আমাদের অভিভাবক হিসেবে সম্মান করে অফলাইন ক্লাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই তারা আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম দাবি ক্যম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি (শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্র) আজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। রাজনীতি করার অধিকার সকলের আছে তবে ক্যাম্পাসের গেট থেকে প্রবেশ করা মাত্র তাকে শুধু একজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও একজন ছাত্র হিসেবেই প্রবেশ করতে হবে। আমাদের ১৩টি দাবির সবটি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন বৈঠকে থাকা কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টারা।