০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হয়ে আছে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ৫জুলাই থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। কবে নাগাদ শুরু হতে পারে! সেটি নিয়ে নিশ্চিত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছেনা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বিভাগ ভিত্তিক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।
গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান মুঠোফোনে সবুজ বাংলাকে জানান, চলতি সপ্তাহে রিজেন্ট বোর্ডের সভা হবে। সভায় আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এবং কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। চলতি সপ্তাহ শেষের দিকে চলে আসলেও বোর্ডের সভা বসাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পারছেনা প্রশাসন।
আগামী সপ্তাহে রিজেন্ট বোর্ডের সভা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। যতদ্রুত সম্ভব বোর্ডের সভাটি করবো। এবং সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য রিজেন্ট বোর্ডের সভার প্রয়োজন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য আগামী সপ্তাহে(সম্ভাব্য রবিবার) বিভাগীয় সভাপতিদের সাথে আলোচনা করা হবে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে বিভাগীয় সভাপতিরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের(সিআর) সাথে কথা বলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।
এদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। বিভাগভিত্তিক বিবৃতি শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
অন্যদিকে, গত ১১আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বশেমুরবিপ্রবি সমন্বয়কদের এক বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দাবির পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জনপ্রিয় সংবাদ

বন্ধ হয়ে আছে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম

আপডেট সময় : ০১:০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ৫জুলাই থেকে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। কবে নাগাদ শুরু হতে পারে! সেটি নিয়ে নিশ্চিত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছেনা গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে বিভাগ ভিত্তিক বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।
গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান মুঠোফোনে সবুজ বাংলাকে জানান, চলতি সপ্তাহে রিজেন্ট বোর্ডের সভা হবে। সভায় আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এবং কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। চলতি সপ্তাহ শেষের দিকে চলে আসলেও বোর্ডের সভা বসাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত পারছেনা প্রশাসন।
আগামী সপ্তাহে রিজেন্ট বোর্ডের সভা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। যতদ্রুত সম্ভব বোর্ডের সভাটি করবো। এবং সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য রিজেন্ট বোর্ডের সভার প্রয়োজন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য আগামী সপ্তাহে(সম্ভাব্য রবিবার) বিভাগীয় সভাপতিদের সাথে আলোচনা করা হবে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে বিভাগীয় সভাপতিরা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের(সিআর) সাথে কথা বলে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।
এদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। বিভাগভিত্তিক বিবৃতি শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, যতদ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
অন্যদিকে, গত ১১আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বশেমুরবিপ্রবি সমন্বয়কদের এক বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দাবির পক্ষে এবং বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।