সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবিতে মাদারীপুর-৩ নির্বাচনী এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর নামে গণহত্যার দায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। শনিবার দুপুরে কালকিনি উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গাব্রিজ থেকে দুই শতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে কালকিনি থানা মোড় সড়কে বিক্ষোভ করেন দলের নেতাকর্মীরা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালকিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মিজানুর রহমান বেপারী, সাবেক সদস্য সচিব আইনজীবি মো. মিজানুর রহমান মিজান, পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহবায়ক শহিদুজ্জামান তোতা, সাবেক সদস্য সচিব মো. নাসির উদ্দিন ফকির লিটন, উপজেলা বিএনপির নেতা মো. শহীদ খান, সাবেক যুবদল নেতা মাসুদ রানা দুলাল, বিএনপি নেতা রোকুজ্জামান রতন, জেলা যুবদল নেতা কামাল হোসেন, রাজৈর পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ জাকির হোসেন, কালকিনি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইকরামুল ইসলাম লিটন ও উপজেলা যুবদল নেতা শাহিন মৃধাসহ অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা বলেন,
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা, হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যা, কোটা সংস্কার আন্দোলন ছাত্রদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। শাপলা চত্তরে রাতের অন্ধকারে অসংখ্য নিরীহ আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতাদের হত্যা এবং গত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে দানবে পরিণত করার মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়। এসব আন্দোলন সংগ্রামে শহীদের আমরা গভীরভাবে স্মরণ করছি। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। এছাড়া এই ঘটনায় যারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।






















