আপনাদের কাছে আমার একটাই দাবি আমার পরিবারের স্বপ্নদ্রষ্টা ছোটভাই আবু সাঈদকে যারা আঘাত করেছে ও হত্যা করেছে তারা কেউ যেন ছাড় না পায়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী এসবকথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফটো সাংবাদিক আদর রহমান, রংপুর জজ কোর্টের আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ, বিশিষ্ট ফটো সাংবাদিক ফিরোজ চেীধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, আমাদের পরিবারে আমরা নয় ভাই বোন। ভাইদের মধ্যে আবু সাঈদ ছিল সবার ছোট। আমাদের পরিবারে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়তে পেরেছে আবু সাঈদ। আশা ছিল আবু সাঈদ বড় হয়ে ভালো কিছু করে আমাদের পরিবারের হাল ধরবে। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। যারা আমার ভাইকে আঘাত করেছে ও এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল সবার কঠোর শাস্তি চাই। তিনি আরও বলেন, আজকের এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আমার ভাই যেদিন শহীদ হয় ওই বিষয়গুলো উঠে এসেছ। সবাইকে ধন্যবাদ সুন্দর আয়োজনের জন্য। এ আলোকচিত্র অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ফটো সাংবাদিক আদর রহমান বলেন, আমি প্রথমে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের জন্য গভীরভাবে সমবেদনা প্রকাশ করছি। আমি ১৬ জুলাইয়ে সাড়ে ৩শ ছবি তুলেছি এর মধ্যে ৫০টি ছবি এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে ১৬ জুলাইয়ের অপ্রকাশিত ছবিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনো যদি আবু সাঈদকে নিয়ে গবেষণা করা হয় তাহলে হয়তো এই ছবিগুলো অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বেরোবি ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসিনা আহসান বলেন, একটি যৌক্তিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আবু সাঈদ গত ১৬ জুলাই শহীদ হয়। এ ঘটনা সারা দেশ দেখেছে। সে বুক পেতে দিয়েছিল এবং পুলিশ তাকে গুলি করেছে। এ প্রদর্শনীতে সে চিত্রগুলো ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা চাই সব হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার হোক। যে যৌক্তিক সংস্কারের জন্য আবু সাঈদ জীবন দিলো তা বাস্তবায়ন হোক। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির আয়োজনে ফটো সাংবাদিক আদর রহমানের তোলা আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শুক্রবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে শনিবার শেষ হয়।


























