গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ওই প্রতারক ভুক্তভোগীর বসতবাড়ী জবর দখলের চেষ্টা করে খুন করার হুমকি দেয়। পরে তার বাড়ী থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালাল লুটে নেয়। বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮জনের বিরুদ্ধে তিনি শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সিরাজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় খৎনাকারী (আজম)।
অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেন (৩৫) এবং ভুক্তভোগীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানিশিমুল গ্রামের তহিরুল ইসলামের মেয়ে সাহিদা (৪৫)। ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০০ সালে সাহিদাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের বছর খানেক পর থেকে তার স্ত্রী সাহিদা উপার্জনের অর্থ বিভিন্ন সময় আতœসাত করতে থাকে। তিনি তার স্ত্রীকে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে চার সন্তান রয়েছে। পরে তিনি সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাদের দাম্পত্য কলহ মিটিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয় স্থানীয় কবির হোসেন। তিনি নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ৮০ হাজার টাকা দিতে বলেন। ওই টাকা দিয়ে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। কবির হোসেনের কথায় সরল বিশ^াসে ভুক্তভোগী তাকে দুই দফায় ৬০ হাজার টাকা দেয়। পরে প্রতারক কবির হোসেন তালবাহানা শুরু করে। মামলা করান জন্য চাপ দিলে সে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রতারক ভুক্তভোগীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মিথ্যা, বানোয়াট বক্তব্য রেকর্ড করে তার ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সম্মান হানী করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জিজ্ঞাসা করলে খুন জখমের হুমকি দেয়। ওইদিন রাত সাড়ে ১০ টায় কবির হোসেনসহ তার সহেযাগীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে নিয়ে তার বসতবাড়ীর মেইন গেইটের তালা কেটে বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করে। তারা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ ঘরের মূল্যআন মালামল লুটে নেয়। তাদেরকে বাধা দিলে কবির হোসেন ভুক্তভোগীর গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন চলেআসলে অভিযুক্তরা খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে তাদের মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।























