দাগনভূঞা বাজারে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে চলছে রমরমা বাণিজ্য। অটোরিক্সা ও অবৈধ সিএনজি ষ্টেশন সহ কিছু প্রভাবশালীর ছত্রচায়ায় বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত হকারদের দখলে রয়েছে । ফলে রাস্তায় চলতে গিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন পথচারীরা। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি বলে মনে করেন দাগনভূঞা বাজারে আসা পথচারীরা।
দাগনভূঞা বাজারের মুল জিরো পয়েন্ট, বসুরহাট রোড, চৌধুরীহাট রোড, ফাজিলের ঘাট রোড, চৌমুহনীরোড , ফেনী রোড ও নামার বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই ফুটপাথ দখল করে হকাররা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা এবং গড়ে উঠেছে অটোরিক্সা ও অবৈধ সিএনজি ষ্টেশন।
ফুটপাত! পায়ে চলার পথ। অথচ এই পথের অনেকটাই রয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের দখলে। এমনিতেই গাড়ির চাপ তার ওপর ফুটপাত দখল। তাই ঝুঁকি নিয়েই রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে পথচারীদের।
দাগনভূঞা বাজারের মুল জিরো পয়েন্টের ও বসুরহাট রোডের চিত্র আরও ভয়াবহ। এখানে ফুটপাথ দখল করে গড়ে উঠেছে, চায়ের দোকান, ফলের দোকান এবং কাঁচাবাজারও।
পথচারী মোহাম্মদ ওলী আহম্মদ শিপন সবুজ বাংলাকে বলেন, ফুটপাত হচ্ছে জনগণের চলার জন্য। কিন্তু ফুটপাতের সুবিধা পথচারীরা পান না। ফুটপাত মেরামত করা হয় না। তদারকিও হয় না। ফলে বাজারে আসা পথচারীরা প্রচুর ভোগান্তিতে পড়ছেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেন, যে বাজারে বা শহরে জনগণ আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে, সে বাজার হচ্ছে সভ্য বাজার বা সভ্য শহর । সভ্য শহর বা বাজার বানানো খুব সহজ, শুধু নিয়মতান্ত্রিক অবস্থায় সবকিছু নিয়ে আসা। অবৈধভাবে ফুটপাত দখলের সঙ্গে এর পরিকল্পনাতেও ঘাটতি আছে। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সেজন্য বাজারে আসা পথচারী ও পৌরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
বাজার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন হায়দার লিটন বলেন, রাস্তার উপর অবৈধ সিএনজি স্টেশন ও ফুটপাত বাজারের পরিবেশ নষ্ঠ ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করে।রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচায়ায় বারবার উচ্ছেদ অভিযানের পরও হকাররা ফুটপাতে ব্যবসা করে। স্থায়ী উচ্ছেদের জন্য আমার বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
সড়কের উপর থেকে হকারদের উচ্ছেদ ও অবৈদ অটোরিক্সা সিএনজি স্টেশন সরিয়ে সড়কে উম্মুক্ত করে যানযট নিরসনে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা সহ বাজারের সৌন্দর্য বর্ধনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান বাজার ব্যবসায়ী ও পথচারীরা।
এব্যাপারে পৌরসভার সচিব সূর্য কান্তি সাহের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


























