০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধি বর্হিভূতভাবে কক্সবাজার সিটি কলেজের এডহক কমিটি মনোনয়ন

 

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী সিটি কলেজে গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রস্তাবনা উপেক্ষা করে এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করায় শিক্ষক ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গঠিত এডহক কমিটি থেকে আজ বিদ্যোৎসাহী একজন সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে পদত্যাগপত্রও পেশ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা কলেজ অধ্যক্ষ প্রেরিত প্রস্তাবনা মতে এডহক কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ কে থিং অং বলেন, সংশোধিত প্রস্তাবনার আলোকেই সভাপতি মনোনীত হওয়ার কথা। এর বাইরে আমি আর বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে কলেজ পরিদর্শক আবদুল হাই সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের সাথে শিক্ষকরা আলোচনা করেছি এবং সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ স্যার প্রস্তাবনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠিয়েছেন। আমরা প্রস্তাবনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আশা করছি।’
প্রসঙ্গ, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ বিগত ৩১.০৮.২০২৪খ্রি. কলেজের সকল বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র শিক্ষকদেরকে নিয়ে এডহক কমিটি গঠনের ব্যাপারে পরামর্শ সভা করেন। উক্ত পরামর্শ সভায় উপস্থিত সকল শিক্ষক কলেজের বৃহৎ স্বার্থে নতুন এডহক কমিটি গঠনের মতামত প্রদান করেন। নতুন কমিটিতে অরাজনৈতিক ও শিক্ষাবিদ ব্যক্তিদের নিয়ে কলেজের এডহক কমিটি গঠনের মতামত দেন। সভায় অধ্যক্ষ উপস্থিত সকল শিক্ষকদেরকে সভাপতির নাম প্রস্তাব করার জন্য আহ্বান জানান। এতে একজন শিক্ষক ব্যতীত উপস্থিত সকল শিক্ষক কক্সবাজার সরকারি কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ প্রফেসর কামরুল আহসান এবং প্রফেসর গিয়াস উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু বিগত সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী একজন শিক্ষক বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, ব্যক্তিত্বহীন ও পতিত স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট একটি অখ্যাত বেসরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব জসীম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন।
অধ্যক্ষ ক্য থিং অং শিক্ষকদের দাবীর মুখে জনাব প্রফেসর কামরুল আহসানকে সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করতে সম্মত হন। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের দোসর দূর্নীবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনি ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক সাংসদ অত্র কলেজের ২০০৯- ২০২২ইং পর্যন্ত কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতির পদ কুক্ষীগত করে কলেজকে পরিবারতন্ত্রে রুপান্তরকারী অধ্যক্ষ সকল শিক্ষকের মতামতকে উপেক্ষা করে সকলের অগোচরে বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দানের জন্য ১৬.০৯.২০২৪খ্রি. তারিখে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে প্রস্তাব পঠান। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সকল শিক্ষকের দাবীর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ পূর্বের প্রস্তাবনা বাতিল করে ২২.০৯.২০২৪খ্রি. কমিটির নতুন প্রস্তাবনা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় বরাবর অনুমোদনের জন্য পাঠান।
যে প্রস্তাবনায় বিতর্কিত সাবেক অধ্যক্ষ জসীম উদ্দিনের নাম ছিল না। অধ্যক্ষ আবার সকল শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করে পরিবর্তীত রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্বপদে বহাল থাকার নিমিত্তে তার অনুগত একজন শিক্ষককে দিয়ে সবার অগোচরে বাতিলকৃত পূর্বের ফাইল নিয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসির কাছে পাঠান। উক্ত শিক্ষক পরিবর্তিত রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ভিসি মহোদয়কে দিয়ে বাতিলকৃত ফাইল থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে ২৫.০৯.২০২৪খ্রি. অনুমোদন নিয়ে আসেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

বিধি বর্হিভূতভাবে কক্সবাজার সিটি কলেজের এডহক কমিটি মনোনয়ন

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী সিটি কলেজে গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রস্তাবনা উপেক্ষা করে এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করায় শিক্ষক ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। গঠিত এডহক কমিটি থেকে আজ বিদ্যোৎসাহী একজন সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে পদত্যাগপত্রও পেশ করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা কলেজ অধ্যক্ষ প্রেরিত প্রস্তাবনা মতে এডহক কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

কলেজ অধ্যক্ষ কে থিং অং বলেন, সংশোধিত প্রস্তাবনার আলোকেই সভাপতি মনোনীত হওয়ার কথা। এর বাইরে আমি আর বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে কলেজ পরিদর্শক আবদুল হাই সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের সাথে শিক্ষকরা আলোচনা করেছি এবং সর্বসম্মতিক্রমে আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ স্যার প্রস্তাবনা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠিয়েছেন। আমরা প্রস্তাবনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত আশা করছি।’
প্রসঙ্গ, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ বিগত ৩১.০৮.২০২৪খ্রি. কলেজের সকল বিভাগীয় প্রধান ও সিনিয়র শিক্ষকদেরকে নিয়ে এডহক কমিটি গঠনের ব্যাপারে পরামর্শ সভা করেন। উক্ত পরামর্শ সভায় উপস্থিত সকল শিক্ষক কলেজের বৃহৎ স্বার্থে নতুন এডহক কমিটি গঠনের মতামত প্রদান করেন। নতুন কমিটিতে অরাজনৈতিক ও শিক্ষাবিদ ব্যক্তিদের নিয়ে কলেজের এডহক কমিটি গঠনের মতামত দেন। সভায় অধ্যক্ষ উপস্থিত সকল শিক্ষকদেরকে সভাপতির নাম প্রস্তাব করার জন্য আহ্বান জানান। এতে একজন শিক্ষক ব্যতীত উপস্থিত সকল শিক্ষক কক্সবাজার সরকারি কলেজের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ প্রফেসর কামরুল আহসান এবং প্রফেসর গিয়াস উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু বিগত সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী একজন শিক্ষক বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, ব্যক্তিত্বহীন ও পতিত স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট একটি অখ্যাত বেসরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জনাব জসীম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন।
অধ্যক্ষ ক্য থিং অং শিক্ষকদের দাবীর মুখে জনাব প্রফেসর কামরুল আহসানকে সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করতে সম্মত হন। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারের দোসর দূর্নীবাজ, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী অধ্যক্ষ এবং তার সহধর্মীনি ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাবেক সাংসদ অত্র কলেজের ২০০৯- ২০২২ইং পর্যন্ত কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতির পদ কুক্ষীগত করে কলেজকে পরিবারতন্ত্রে রুপান্তরকারী অধ্যক্ষ সকল শিক্ষকের মতামতকে উপেক্ষা করে সকলের অগোচরে বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দানের জন্য ১৬.০৯.২০২৪খ্রি. তারিখে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে প্রস্তাব পঠান। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সকল শিক্ষকের দাবীর প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ পূর্বের প্রস্তাবনা বাতিল করে ২২.০৯.২০২৪খ্রি. কমিটির নতুন প্রস্তাবনা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয় বরাবর অনুমোদনের জন্য পাঠান।
যে প্রস্তাবনায় বিতর্কিত সাবেক অধ্যক্ষ জসীম উদ্দিনের নাম ছিল না। অধ্যক্ষ আবার সকল শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা করে পরিবর্তীত রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে স্বপদে বহাল থাকার নিমিত্তে তার অনুগত একজন শিক্ষককে দিয়ে সবার অগোচরে বাতিলকৃত পূর্বের ফাইল নিয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসির কাছে পাঠান। উক্ত শিক্ষক পরিবর্তিত রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ভিসি মহোদয়কে দিয়ে বাতিলকৃত ফাইল থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে ২৫.০৯.২০২৪খ্রি. অনুমোদন নিয়ে আসেন।