স্বৈরাশাসকের তকমা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে অপসারণ হওয়া আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতিতে ফিরতে ১০৫ বছর অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা বিএনপি নেতা ড. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুল ইসলাম শামস। তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিন বছরের পরিণতির জন্য আওয়ামী লীগকে ২১ বছর নির্বাসনে যেতে হয়েছিলো। এবার গত ১৫ বছরের পরিণতির জন্য তাদেরকে আরও ১০৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এরপর যদি দেশের মানুষ দলটিকে ক্ষমা করেন, তারপর তারা রাজনৈতি করার চিন্তা করতে পারে।
মঙ্গলবার রাতে নান্দাইল উপজেলার নুতন বাজারে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুল ইসলাম শামস বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনের সময় দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, বাড়ি-ঘর লুট, দেশের সম্পদ লুটসহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে এ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ২১ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠিয়ে ছিলেন। ২০০৮ সালে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচনে ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে গত ১৫ বছর আবারও হত্যা, গুম, সকল ধরনের অনমানবিক নির্যাতন অত্যাচার করেছে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল রাজনৈতিক দল হতে পারে না। যারা ভোটের বিশ্বাস করে না, যারা কোনো নিয়ম নীতি তোয়াক্কা করে না। এমনকি প্রভু রাষ্ট্রের দাসত্ব করে দেশের সম্পদ লুটপাট করে ক্ষমতা দখল করে, তারা আর কোনদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, কালের বিবর্তনে এটা প্রমানিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ মানে জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ মানেই শহীদ জিয়াউর রহমান। আর সেই শহীদ জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া ও আমাদের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমান।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুল, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেতা বাবু পল্লব রায়, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাষ্টার, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম ফকির, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক রবিউল করিম ভূইয়া বিপ্লব ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন ফেরদৌস উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ফাহাদ আহমেদ খানসহ নেতৃবৃন্দ।
ড. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুল ইসলাম শামস জাতীয়তাবাদী ঘরনা হওয়ায় শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চাকুরী থাকা সত্বেও ২০১৮ সালে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার অপরাধ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ভাই (সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল বিএনপির সভাপতি) অধ্যাপক আকম রফিকুল ইসলাম নান্দাইল আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এমনকি তার আরেক ছোট ভাই বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুল। বলা হয়ে থাকে, এরই প্রতিফলন হিসেবে চৌকস অফিসারকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠনো হয়।

























