আমাদের উপর সাড়ে পনেরো বছর জুলুম হয়েছে, খুনি হাসিনার উপর যেন ন্যায়বিচার হয়। আমরা এমনটা বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে কোন বৈষম্য থাকবেনা। যেই তারুণ্যের বুকের রক্তের বিনিময়ে জাতি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে আমরা সেই তারুণ্য নির্ভর মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। একজন শিশু জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সে একজন নাগরিকের পূর্ন অধিকার ভোগ করবে। ২৬ অক্টোবর বগুড়ায় আলতাফুনেচ্ছা খেলার মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর ও জেলা শাখার আয়োজনে ২৬ শে অক্টোবর শনিবার বিকাল ২ টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমীর অধ্যক্ষ মোঃ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খাঁন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া জেলা পশ্চিম আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক, আমীর বগুড়া জেলা পূর্ব অধ্যাপক মাওলানা মোঃ নাজিম উদ্দিন, সহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মী বৃন্দ। এ সময় বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী থেকে আসা লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, দির্ঘদিন আমাদের মামলা-হামলা করে আমাদের অফিসে আগুন দিয়ে ককটেল নিক্ষেপ করে অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দলীয় নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনো প্রতিশোধ নিবো না। তবে যাদের পরিবার অন্যান্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা বিচার চাইলে আমরা সহযোগিতা করবো। বিতাড়িত ফ্যাসিবাদ সাড়ে ১৫ বছরে দেশের মানুষকে শুধু খুন, গুম উপহার দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদেরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। যারা অপরাধ করেছে, দূর্নীতি করেছে, লুটপাট করেছে, বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, মানুষকে হত্যা করেছে, লাশের মিছিল তৈরি করেছে, আয়নাঘর বানিয়েছে তাদের ছাড় দেওয়া হবেনা।
তিনি বলেন, যারা দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়েছিল সেই জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার তাদের নেই। তাদের নাম বাংলাদেশের জনগন শুনতে চায় না। তাদের কথা বলে জাতিকে ভয় দেখাবেন না। জাতিকে বোকা ভাববেন না। দেশের মানুষ যাদের গুলিকে ভয় করেনা সেইসব দূর্ধর্ষ খুনিদেরকে এদেশের মানুষ কখনোই আসতে দেবেনা। আগে তাদের বিচার হবে। যেই আদালতে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরকে অন্যায় ভাবে ফাঁসী দেওয়া হয়েছে এখন সেই আদালতেই তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আমরা চাই তাদের প্রতি যেন ন্যায় বিচার করা হয়। তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।
সূধী সমাবেশ শেষে সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন। পরে বগুড়ায় শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে ডাঃ শফিকুর রহমান সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ও শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এর আগে সকালে আমীরে জামায়াত একই ভেন্যুতে বগুড়া শহর ও জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

























