১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতাকর্মীদের পাশে নেই আওয়ামী লীগ

◉মামলা-গ্রেপ্তার আতঙ্কে ফেরারি জীবন
◉ গুজব প্রচারে নতুন করে চাপে পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা

শেখ হাসিনার পতনের পর কোণঠাসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন, আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান অজানা। দলের শীর্ষ নেতাদের কেউকেউ কারাগারে, বাকিদের বেশিরভাগই দেশের বাইরে আত্মগোপনে। এমন অবস্থায় হামলা-মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ফেরারি জীবন যাচ্ছে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। জেলা থেকে উপজেলা পর্যয়ের নেতারাও আত্মগোপনে। তাই বিপদগ্রস্ত এসব নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না। এরইমধ্যে শেখ হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁসসহ বিভিন্ন গুজবে কান দিয়ে নতুন করে চাপে পড়ছেন তারা।
সরকার পতনের পর গত দুই মাস ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন রাজবাড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা খাইরুল হাসান (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ৫ তারিখে পরিস্থিতি পুরো বদলে গেছে। আমার নামেও মামলা হয়েছে। বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এখন আমি ঘরছাড়া। নেতারা কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে। এখন সব দায়ভার আমাদের নেওয়া লাগছে। পরিবার ছেড়ে থাকতে হচ্ছে। এলাকায় ফিরলেই মারধর খেতে হবে, জেলে যেতে হবে এসব আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে।

এদিকে অনেক নেতাকর্মী এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বাড়ি ফেরার জন্য তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। যারা টাকা দিচ্ছেন না, তাদেরকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন জানান, জেলা থেকে কেন্দ্র সব পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তারাও আমার মতো ফেরারি। পরে এলাকায় যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে বাড়ি ফিরেছি। তারপরও স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছি না।
এদিকে গত ২৩ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে। সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে। ফলে অনিশ্চয়তায় কয়েক হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর শিক্ষা জীবন। ক্যাম্পাসগুলোতে হামলার স্বীকার হচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীরা তাদের ধরে পুলিশে দিচ্ছেন। ফলে অন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
তাদের একজন ফাহিম বলেন, দল আমাদের তার রাজনৈতিক গুটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু যখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন কোনো সুরক্ষা দেয়নি। হঠাৎ সরকার পতন হলো। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোটা আমার পক্ষে সেই সন্ধ্যায় সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল। তারপরও দলের শীর্ষ নেতারা বা ছাত্রলীগের নেতারা কেউই আমার খোঁজ নেননি।
তিনি বলেন, আমি সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম এবং জাতির সেবা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ক্যাম্পাসে পা রাখলে নানা গোলমেলে অভিযোগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিংবা আরও খারাপ কিছু আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে।

এদিকে দলের নেতৃত্ব শূন্যতার সুযোগে নেতাকর্মীরা চলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘গুজবে’ ভর করে। ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর আর মিডিয়ার সামনে আসেননি দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে না আসলেও তার ফোনালাপ ফাঁস নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। দেশেও নেতাদের নামে বক্তব্য, বিবৃতি ও প্রেসনোট আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু এসবের সত্যতা নিশ্চিত করার মতো মিলছে না কোনো মাধ্যম। নেতাদের কারও কাছেই কোনো মাধ্যমে পৌঁছানো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় গুজবনির্ভর হচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা পাচ্ছে, তাই শেয়ার করছে। ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আহ্বায়ক এবং সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সদস্যসচিব করে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি বার্তা প্রচার হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নামে। ঐ ফেসবুক পোস্টে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে সাহস যোগান নানক। যেগুলোর কোনটারই সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৩ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। বেলজিয়ামে অবস্থানরত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শেখ হাসিনা সেই ফোনালাপে বলেন যেভাবে ক্ষমতা ছাড়া দরকার সেভাবে সে ছাড়েনি। এর আগে তানভীর নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।

এছাড়া পুরনো ছবি ও ভিডিও দিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া, আওয়ামী লীগের নির্দেশনা’ সম্বলিত ভুয়া প্রেস রিলিজ শেয়ার দেওয়া, সরকার পতনের জন্য- মিষ্টির দোকান রেডি রাখার ঘোষনা দেওয়া এজাতীয় স্ট্যাটাস দিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। যে কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে দিশেহারা অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখন তাদের করনীয় নিয়ে হতাশায় পড়েছে তৃনমূলের কর্মীরা।
এদিকে গতকাল তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা পরিচিত ছিলেন, জনগণ তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগ কিন্তু একটা ফ্যাসিস্ট পার্টি। তৃণমূল পর্যন্ত তার কমিটি আছে, বাহিনী আছে। সে বাহিনী কিন্তু একই রকম ক্ষতিকারক। বাংলাদেশের জনগণের জন্য আসলে হুমকি। বড়দের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা জরুরি। আমরা সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি। যাতে তৃণমূলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ যারা আছে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যায়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

নেতাকর্মীদের পাশে নেই আওয়ামী লীগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

◉মামলা-গ্রেপ্তার আতঙ্কে ফেরারি জীবন
◉ গুজব প্রচারে নতুন করে চাপে পড়ছেন সংশ্লিষ্টরা

শেখ হাসিনার পতনের পর কোণঠাসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এখন ভারতে অবস্থান করছেন, আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান অজানা। দলের শীর্ষ নেতাদের কেউকেউ কারাগারে, বাকিদের বেশিরভাগই দেশের বাইরে আত্মগোপনে। এমন অবস্থায় হামলা-মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে ফেরারি জীবন যাচ্ছে টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। জেলা থেকে উপজেলা পর্যয়ের নেতারাও আত্মগোপনে। তাই বিপদগ্রস্ত এসব নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না। এরইমধ্যে শেখ হাসিনার কল রেকর্ড ফাঁসসহ বিভিন্ন গুজবে কান দিয়ে নতুন করে চাপে পড়ছেন তারা।
সরকার পতনের পর গত দুই মাস ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন রাজবাড়ি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা খাইরুল হাসান (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ৫ তারিখে পরিস্থিতি পুরো বদলে গেছে। আমার নামেও মামলা হয়েছে। বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এখন আমি ঘরছাড়া। নেতারা কোটি কোটি টাকা বানিয়েছে। এখন সব দায়ভার আমাদের নেওয়া লাগছে। পরিবার ছেড়ে থাকতে হচ্ছে। এলাকায় ফিরলেই মারধর খেতে হবে, জেলে যেতে হবে এসব আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে।

এদিকে অনেক নেতাকর্মী এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বাড়ি ফেরার জন্য তাদেরকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। যারা টাকা দিচ্ছেন না, তাদেরকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন একজন জানান, জেলা থেকে কেন্দ্র সব পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তারাও আমার মতো ফেরারি। পরে এলাকায় যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে বাড়ি ফিরেছি। তারপরও স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছি না।
এদিকে গত ২৩ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে। সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে। ফলে অনিশ্চয়তায় কয়েক হাজার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর শিক্ষা জীবন। ক্যাম্পাসগুলোতে হামলার স্বীকার হচ্ছেন তারা। শিক্ষার্থীরা তাদের ধরে পুলিশে দিচ্ছেন। ফলে অন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে।
তাদের একজন ফাহিম বলেন, দল আমাদের তার রাজনৈতিক গুটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু যখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন কোনো সুরক্ষা দেয়নি। হঠাৎ সরকার পতন হলো। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোটা আমার পক্ষে সেই সন্ধ্যায় সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল। তারপরও দলের শীর্ষ নেতারা বা ছাত্রলীগের নেতারা কেউই আমার খোঁজ নেননি।
তিনি বলেন, আমি সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম এবং জাতির সেবা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ক্যাম্পাসে পা রাখলে নানা গোলমেলে অভিযোগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিংবা আরও খারাপ কিছু আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে।

এদিকে দলের নেতৃত্ব শূন্যতার সুযোগে নেতাকর্মীরা চলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ‘গুজবে’ ভর করে। ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর আর মিডিয়ার সামনে আসেননি দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে না আসলেও তার ফোনালাপ ফাঁস নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। দেশেও নেতাদের নামে বক্তব্য, বিবৃতি ও প্রেসনোট আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু এসবের সত্যতা নিশ্চিত করার মতো মিলছে না কোনো মাধ্যম। নেতাদের কারও কাছেই কোনো মাধ্যমে পৌঁছানো যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় গুজবনির্ভর হচ্ছে দলটির নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা পাচ্ছে, তাই শেয়ার করছে। ৬ সেপ্টেম্বর সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আহ্বায়ক এবং সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সদস্যসচিব করে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি বার্তা প্রচার হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের নামে। ঐ ফেসবুক পোস্টে নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে সাহস যোগান নানক। যেগুলোর কোনটারই সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৩ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। বেলজিয়ামে অবস্থানরত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। শেখ হাসিনা সেই ফোনালাপে বলেন যেভাবে ক্ষমতা ছাড়া দরকার সেভাবে সে ছাড়েনি। এর আগে তানভীর নামে এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।

এছাড়া পুরনো ছবি ও ভিডিও দিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া, আওয়ামী লীগের নির্দেশনা’ সম্বলিত ভুয়া প্রেস রিলিজ শেয়ার দেওয়া, সরকার পতনের জন্য- মিষ্টির দোকান রেডি রাখার ঘোষনা দেওয়া এজাতীয় স্ট্যাটাস দিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। যে কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে দিশেহারা অবস্থা তৈরি হয়েছে। এখন তাদের করনীয় নিয়ে হতাশায় পড়েছে তৃনমূলের কর্মীরা।
এদিকে গতকাল তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা পরিচিত ছিলেন, জনগণ তাদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগ কিন্তু একটা ফ্যাসিস্ট পার্টি। তৃণমূল পর্যন্ত তার কমিটি আছে, বাহিনী আছে। সে বাহিনী কিন্তু একই রকম ক্ষতিকারক। বাংলাদেশের জনগণের জন্য আসলে হুমকি। বড়দের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা জরুরি। আমরা সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি। যাতে তৃণমূলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ যারা আছে এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যায়।