০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা করে না বেরোবি শিক্ষক আমীর শরিফ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক আমীর শরিফের বিরুদ্ধে প্রশাসনে থেকেই প্রশাসনের আদেশ অমান্যের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়,আআওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আমির শরীফ । শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এ দায়িত্ব পাওয়ার কথা।কিন্তু সেই নিয়ম তোয়াক্কা না করেই আমির শরীফ এই দায়িত্ব গ্রহন করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী পন্থি একটি অংশকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে এ নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষকরা পুনরায় রাজনীতি শুরু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।
গত বছরের ২৮ শে অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কিন্তু প্রশাসনে থেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোয় ঐ শিক্ষককে নিয়ে অস্বস্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও।
সূত্র জানায়, আওয়ামী সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের প্যানেল থেকে সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন আমীর শরিফ। ক্যাম্পাসের সুবিধাবাদী শিক্ষক হিসেবেও পরিচিত। আওয়ামী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমান প্রশাসনে বাগিয়ে নিয়েছেন প্রভোস্ট পদ।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হলের ডাইনিং পরিচালনায় ব্যার্থতা ও শিক্ষার্থীদের নিম্ন মানের খাবার পরিবেশনের ও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও এখনো হল থেকে অনেক পদদারী ছাত্রলীগ নেতাকে বের করেন নি এই শিক্ষক। এনিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আবাসন সমস্যায় জর্জরিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের সিট সংখ্যা বাড়ানোর পরিবর্তে দায়িত্ব নিয়েই প্রায় ১০০ টি সিট সংখ্যা কমিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয়ে আমির শরীফ বলেন,আমি এটা নিয়ে আপাতত কাজ শুরু করিনি,আগে সবার পরামর্শ নিব তারপর কাজ শুরু করব। নাহলে আমি এই দায়িত্ব থেকে সরে আসব।রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও আপনারা নির্বাচন করতেছেন এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা জানুয়ারির ২০ বা ২২ তারিখে। তাই নির্বাচন হওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতি আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে। প্রয়োজনে এখন আমি এ দায়িত্ব থেকে সরে আসব। রবিবারে ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো.শওকাত আলী বলেন, এ বিষয়টা উনাকে আমরা অবগত করেছি। কমিটিতে থাকবেন কিনা আজকে রাতের মধ্যেও হয়তো উনি সিদ্ধান্ত জানাবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

 প্রশাসনের সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা করে না বেরোবি শিক্ষক আমীর শরিফ

আপডেট সময় : ০৫:২৮:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক আমীর শরিফের বিরুদ্ধে প্রশাসনে থেকেই প্রশাসনের আদেশ অমান্যের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়,আআওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আমির শরীফ । শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ এ দায়িত্ব পাওয়ার কথা।কিন্তু সেই নিয়ম তোয়াক্কা না করেই আমির শরীফ এই দায়িত্ব গ্রহন করেন।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী পন্থি একটি অংশকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে এ নির্বাচনের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে শিক্ষকরা পুনরায় রাজনীতি শুরু করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে সাধারন শিক্ষার্থীরা।
গত বছরের ২৮ শে অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কিন্তু প্রশাসনে থেকেই প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোয় ঐ শিক্ষককে নিয়ে অস্বস্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও।
সূত্র জানায়, আওয়ামী সমর্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের প্যানেল থেকে সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন আমীর শরিফ। ক্যাম্পাসের সুবিধাবাদী শিক্ষক হিসেবেও পরিচিত। আওয়ামী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমান প্রশাসনে বাগিয়ে নিয়েছেন প্রভোস্ট পদ।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে হলের ডাইনিং পরিচালনায় ব্যার্থতা ও শিক্ষার্থীদের নিম্ন মানের খাবার পরিবেশনের ও অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও এখনো হল থেকে অনেক পদদারী ছাত্রলীগ নেতাকে বের করেন নি এই শিক্ষক। এনিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আবাসন সমস্যায় জর্জরিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের সিট সংখ্যা বাড়ানোর পরিবর্তে দায়িত্ব নিয়েই প্রায় ১০০ টি সিট সংখ্যা কমিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয়ে আমির শরীফ বলেন,আমি এটা নিয়ে আপাতত কাজ শুরু করিনি,আগে সবার পরামর্শ নিব তারপর কাজ শুরু করব। নাহলে আমি এই দায়িত্ব থেকে সরে আসব।রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও আপনারা নির্বাচন করতেছেন এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা জানুয়ারির ২০ বা ২২ তারিখে। তাই নির্বাচন হওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতি আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে। প্রয়োজনে এখন আমি এ দায়িত্ব থেকে সরে আসব। রবিবারে ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো.শওকাত আলী বলেন, এ বিষয়টা উনাকে আমরা অবগত করেছি। কমিটিতে থাকবেন কিনা আজকে রাতের মধ্যেও হয়তো উনি সিদ্ধান্ত জানাবেন।